দাবি
বিহারে অতিবর্ষণের কারণে শুরু হয়েছে বন্যা। এই বন্যাকে কেন্দ্র করে একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে ঘরের টিনের চালের ওপরে বিছানা ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে বসে আছে বিপদে পড়া মানুষরা। বন্যার জলে ঘর পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার জন্য তাদের ঘরের চালে আশ্রয় নিতে হয়েছে।
ফ্যাক্ট-চেক
প্রতি বছরের মত এই বছরেও বিহারের জনসাধারণ বন্যার প্রকোপে পড়েছে। একে করোনা তার উপর বন্যা, জনসাধারণ বিশেষত কর্মহীন দরিদ্র মানুষদের যেন শিরে সংক্রান্তি এসে দারিয়েছে। বন্যায় বিহারের পূর্ণিয়া, কাটিহার, কৃষাণগঞ্জ এলাকা সব থেকে বেশি ক্ষতি গ্রস্ত। টুইটারে #kishanganj ও #seemanchol দিয়ে একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। ছবি শেয়ার করে বিহারের প্রশাসনিক দ্বায়িত্বে থাকা সরকার, নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য নীতীশকুমার, লালুপ্রসাদ, ও তেজপ্রতাপ যাদবকে এই ছবিটিতে ট্যাগও করা হয়েছে।
কিন্তু এই ছবিটি বিহারের নয় বাংলাদেশের বন্যার ছবি।

ছবিটি আমরা InVid টুলের দ্বারা সার্চ করার পর Klevo.net নামক একটি ওয়েবসাইট সামনে আসে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে বন্যার কিছু ছবি আমরা পাই, যেখানে বিহারের বন্যার নাম দিয়ে শেয়ার করা এই ছবিও আমরা পাই।
২০১৯ সালে বাংলাদেশে ধরলা নদীর বাঁধের জল ছাড়ার পর বাংলাদেশের কিছু অঞ্চল গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ৩০০র ওপর বিদ্যালয় জলমগ্ন হয়ে থাকার জন্য বন্ধ করে দিতে হয়েছিল স্কুল। প্রায় ২৮০০০০মানুষ গৃহহীন হয়ে যান ও ১০০,০০০ হেক্টর ফসলি জমি জলের তলায় চলে যায়।
গুগলে আমরা যখন বাংলাদেশ বন্যা ২০১৯ লিখে সার্চ করি তখন এই বন্যা নিয়ে যাবতীয় রিপোর্ট আমাদের সামনে আসে। The New Humanitarian ,Dhaka Tribune ও আমাদের অধিকারপত্র নামের সংবাদ পত্রের থেকে আমরা এই ভয়ঙ্কর বন্যার ঘটনা জানতে পারি। The New Humanitarian সংবাদের রিপোর্টে ঘরের চালের উপর বসে থাকা মানুষদের ছবিটি আমরা পাই।

আমাদের অনুসন্ধানের দ্বারা প্রমাণিত যে বিহারের বন্যার নাম করে ঘরের চালের উপর জীবনযাপনের জিনিস নিয়ে বসে থাকা মানুষদের ছবি আসলে বাংলাদেশের, বিহারের নয়।
ব্যবহৃত টুলস
- Google keyword search
- Invid search
- Media reports
ফলাফল
অপ্রাসঙ্গিক Misplaced context
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। )