Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
দাবি
চীনের মারণ ভাইরাস Covid-19 novel corona virus কে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বহু পোস্ট ভাইরাল হচ্ছে। তার মধ্যে একটি পোস্ট হলো যে ‘ উষ্ণ গরম জলে নুন দিয়ে গার্গেল করলে করোনা ভাইরাস ফুসফুস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনা’ । ফেসবুক থেকে সুস্মিতা মাইতি নামক একটি ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে এই পোস্টটি ১৫ই মার্চ এই পোস্টটি করা হয়, যেখানে ১.৮কে লাইক ও ৬১কে টি শেয়ার হয়েছে। নিচে এই ধরনের আরও কিছু পোস্টের লিংক দেওয়া হলো যেগুলি আমরা ফেসবুক থেকে পেয়েছি।
বিশ্লেষণ
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান প্রদেশ থেকে প্রথম উৎপত্তি হয় করোনা ভাইরাসের। ধীরে ধীরে এই মারণ রোগের জীবাণু চীনকে গ্রাস করার পর উৎপত্তি স্থলের সীমা ত্যাগ করে অন্যান্য দেশেও এর প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, আমেরিকা ভারত ইত্যাদি দেশ গুলিতেও করাল থাবা বসাতে শুরু করে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে এই করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত এমন অনেক পোস্ট আমরা দেখতে পাই যেখানে করোনা ভাইরাসকে নিয়ে সচেতনতা মূলক পোস্টও আছে আবার গুজব ছড়ানোর কিছু পোস্টও রয়েছে। কোথাও বলা হয়েছে গরম আবহাওয়াতে করোনার জীবাণু বেশিক্ষণ বাঁচেনা।
আমরা একটি পোস্ট পাই যেখানে বলেছে ফুসফুসে পৌঁছানোর আগে এই ভাইরাসটি গলায় থাকে চারদিন, এই সময়ে শুরু হয় শুকনো কাশি, গলা ব্যথা। এই সময়ে যদি কোনো ব্যক্তি প্রচুর পরিমানে জল খায় ও উষ্ণ জল দিয়ে অথবা ভিনিগার মেশানো জল দিয়ে গার্গেল করে তাহলে এই জীবাণু সেখানেই মারা যাবে এবং এই জীবাণুর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
কিন্তু এ তথ্যটি কতটা সত্যি? কারণ এই ধরণের কোনো তথ্য বা নির্দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে এখনও পর্যন্ত আসেনি।
আমরা Google keywords search -এর দ্বারা আমরা এই খবরের সম্পর্কে অনুসন্ধান করা শুরু করি। BBC ও GMA News এর প্রতিবেদন আমরা পাই। সেই প্রতিবেদনে গুলিতে বলা হয়েছে যে ভাইরাল এই পোস্টটির কোনো সত্যতা নেই। বেশি পরিমানে জল খেলে বা গার্গেল করলে করোনা ভাইরাস কমে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটেও আমরা এমন ধরণেরন কিছু ‘মিথ’ -এর উল্লেখ পাই।
করোনা ভাইরাসের এই মহামারী রূপের সামনে দাঁড়িয়ে এমন কোনো খবর বা দাবির উপর বিশ্বাস করতে মানা করা হয়েছে। কারণ এই ধরণের খবর গুলি শুধু জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে।
আমাদের অনুসন্ধানের দ্বারা প্রাপ্ত সবরকম তথ্য গুলিকে ভালো করে যাচাই করার পর আমরা এই সিদ্ধান্তে এসেছি যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল এই পোস্টটির দাবি সম্পূর্ণ ভুল। করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
টুলস
- Google keyword search
- Media report
ফলাফল: বিভ্রান্তিকর Misleading
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে)
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.