Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: checkthis@newschecker.in
Coronavirus
দাবি: টুইটার থেকে সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে , দুটি মুসলিম বাচ্চা হাতে জলের গ্লাস ও ট্রে ধরে একটি ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। অনিন্দিতা নামের টুইটার প্রোফাইল থেকে এই ছবিটি আপলোড করা হয়েছে এবং দাবি করা হয়েছে- ‘ মাদ্রাসার বাচ্চারা শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে শ্রমিকদের ঠান্ডা জল দিয়ে তাদের তেষ্টা নিবারণ করছে। ‘ ১.৭ কে রিটুইট ও ৭.৯ কে লাইক পেয়েছে তার এই ছবিটি।

এই ছবিটির আরো কিছু সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারের পোস্ট নিচে দেওয়া হলো।

বিশ্লেষণ: লকডাউনকে কেন্দ্র করে টুইটার, ফেসবুক জুড়ে বর্তনামে বেশ অনেক পোস্ট, ছবি ঘোরাফেরা করছে। কোনটি লকডাউনের সাথে সম্পর্কিত কোনটি বহু পুরোনো ছবি কিন্তু এখন এই পরিস্থিতিকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা হচ্ছে।
এই ধরণেরই একটি ছবি আমরা পাই টুইটার থেকে যেখানে দাবি করা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে ঠান্ডা জল দিচ্ছে। কিন্তু এই ছবিটি ও এর সাথে যে ক্যাপশনটি ছিল যা যথেষ্ট সন্দেহজনক ছিল।
প্রথমত, এখন পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য যে ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানে প্রত্যেক শ্রমিককে মুখে মাস্ক পরে থাকতে দেখা গেছে। কিছু মানুষজন যারা ট্রেন বা স্টেশনের আশেপাশে থাকার ছবি আমরা পেয়েছি তাদেরও প্রত্যেকের মুখ মাস্কে ঢাকা না হলে রুমাল বা অন্য কোনো কাপড়ে ঢাকা। কিন্তু এই ছবিতে তেমন কোনো কিছুই আমাদের চোখে পরে না।


দ্বিতীয়ত, যে শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার ট্রেন পেয়েছে তাদের প্রত্যেককে সরকার ও পুলিশ প্রশাসন থেকে জলের বোতল, খাবার দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে বাচ্চা দুটিকে দেখা যাচ্ছে তারা জলের গ্লাস ও ট্রে ধরে দাঁড়িয়ে আছে, এবং ট্রেনের ভেতরে বসা কারোর হাতেই নিজস্ব জলের বোতল নেই। যেখানে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বলা হয়েছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে এবং খাবার ও পানীয় সম্পর্কে সচেতন থাকতে। অর্থাৎ এখানে এই নিয়ম অমান্য করা হয়েছে।

এই দুটি বিষয় চোখে পড়ার পর, আমরা ছবিটির Yandex search করি। জানা যায় ছবিটি এখকার নয়। ২০১৬ সালের ছবি যা এখন পুনরায় সোশ্যাল মিডিয়াতে পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠেছে।
টুইটার থেকে আমরা এই ছবিটির হদিস পাই যেখানে ২০১৬ সালে মে মাসে এই ছবিটি শেয়ার করা হয়। এর সাথে একটি ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে-‘ না হিন্দু খারাপ না মুসলিম খারাপ, সেই মানুষ খারাপ যে অন্যের সাথে বাজে ব্যবহার করে, যায় ভারত’ যেই সময়কার পোস্ট এটি সেই সময়ে এই পোস্টটি দেদার লাইক ও শেয়ার পেয়েছে।

Suvanappiriyan.blogspot.com থেকেও এই ছবিটি মে মাসে একটি পোস্টের সাথে শেয়ার করা হয়েছে।
একটি ফেসবুক পেজ নাম ‘সিলেটের মাটি’ -তে ২০১৭ সালে এই ছবিটি পোস্ট করা হয় এবং ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে, ‘ মাদ্রাসা পড়ুয়া নাবালকরা গরমে নাজেহাল পিপাসার্ত রেল যাত্রীদের মুখে ঠান্ডা পানি তুলে দিচ্ছে।’

টুইটারে ২০১৮ সালে এই ছবিটি Farhan jameel Khan নামের প্রোফাইল থেকে শেয়ার করা হয় এবং লেখা হয় – এরা সেই মাদ্রাসার যেখানে কখনো কখনো সিসিটিভি বা সন্ত্রাসবাদের শিক্ষা দেওয়া হয়। ‘

অর্থাৎ এই ছবিটির সম্পর্কে যে তথ্যগুলি আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনে আলোচনা করেছি, তা প্রমান করে এই ছবিটির সাথে বর্তমান পরিস্থির কোনো সম্পর্ক নেই। বছর চারেক আগে থেকেই এই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ ভাইরাল ও বহু ব্যবহৃত।
ফলাফল: অপ্রাসঙ্গিক
ব্যবহৃত টুলস:
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। )