Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: checkthis@newschecker.in
Coronavirus
দাবি:সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছুদিন আগে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে যেখানে কিছু জুতো, ফ্যান্সি ব্যাগ, ছেলেদের ওয়ালেটের উপর ফাংগাস বা ছাতা পড়া শেয়ার করা হয়েছে। বলা হচ্ছে যে এই গুলি সব চামড়ার ব্যাগ, জুতো। শপিং মলের সেন্ট্রাল এসি বন্ধ থাকার জন্য এই চামড়ার জিনিসের উপর ফাংগাস পরে গেছে। যখন শপিংমল গুলো ওপেন হবে এবং আবার যখন আগের মতো এসি চলতে শুরু করবে, এই ফাংগাস গুলো হাওয়ার দ্বারা ছড়িয়ে পড়বে আর আমাদের ফুসফুসে ঢুকে ভয়ঙ্কর রোগ-ব্যাধিকে ডেকে আনবে। তাই বন্ধুরা লকডাউনের পর যখন শপিংমল গুলো খুলবে কয়েক মাস মল গুলিতে যাবেন না।




বিশ্লেষণ:করোনা ভাইরাসের অতিমারীর কারণে ভারতে স্কুল-কলেজ, সিনেমা হল, শপিংমল গুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কবে তা আবার পুনরায় খুলবে তাও জানা নেই। স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে যেমন পড়াশুনা করতে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর সমস্যা হচ্ছে, মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের মতো পরীক্ষাও স্থগিত রাখা হয়েছে। তেমনি শপিংমল, সিনেমা থিয়েটার বন্ধ থাকার ফলে বহু লোকের রুজি-রোজগারে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে দামি চামড়ার জুতো, ব্যাগ জিনিসের উপর ফাংগাস ধরে যাওয়ার ছবি ও কয়েক মাস মল গুলিতে না ঢোকার পরামর্শ দেওয়া ভাইরাল পোস্ট বেশ চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করেছে। ফেইসবুক, টুইটার জুড়ে এই ভাইরাল ছবির বেশ দ্রুত বিচরণ আমার দেখতে পাই।
জনপ্রিয় সাংবাদিক রোহিনী সিংহ এই পোস্টটি শেয়ার করেছেন ১২ই মে তার টুইটার প্রোফাইল থেকে।

এই পোস্টটি ভারতে বেশ ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা ভারতের কোনো শপিংমলের কিনা তা নিয়ে আমাদের সংশয় ছিল কারণ, এই ঘটনার সাথে আর একটি ছবি শেয়ার হয়েছে যেখানে এই ফাংগাস ধরার ঘটনাকে মালয়েশিয়ার শপিংমলের বলা হয়েছে।

আসলে এটি কোথাকার ঘটনা জানার জন্য আমরা ছবিতে দেওয়া জুতোর ছবির Google reverse image সার্চ করি। খোঁজার পর আমাদের সামনে যে পেজটি আসে, সেখানে মালয়েশিয়ার শপিংমলের উল্লেখ পাই।


Daily Mail UK-র একটি রিপোর্ট আমাদের সামনে আসে যেখানে লেখা আছে, মনে করা হচ্ছে মালয়েশিয়ার সাভা নামক জায়গার শপিংমল ও সেন্ট্রাল এসি করোনার লকডাউনের জন্য বন্ধ থাকার জন্য দামি-দামি লেদারের জুতো, ব্যাগ, বেল্ট, ছেলেদের ওয়ালেটের উপর ফাংগাস ধরে গেছে। মালয়শিয়াতে MCO (Malaysia’s Movement Control Order) ১৮ই মার্চ থেকে জুনের ৯ তারিখ পর্যন্ত লকডাউন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু জায়গার দোকান, মল খোলার অনুমতি পাওয়া গেছে । নিয়মের আওতায় থেকে এই দোকান,মল গুলি খোলা রাখা হবে। মলের কর্মচারীরা মলে প্রবেশ করে মহামূল্য এই চামড়ার জিনিসের উপর ফাংগাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করে। তারাই এই ছবিগুলি শেয়ার করেছে বলে দাবি করা খেয়েছে। লকডাউনের ফলে মল ও মলের ভেতরের এসি বন্ধ ছিল প্রায় দুই মাস, তাছাড়া এই জুতো, ব্যাগ, বেল্ট গুলিও এই দুই মাসে কেউ ধরেও দেখেনি। তার ফলেই ফাংগাস ধরেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ছবি গুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে ৪৪ হাজার বার শেয়ার করা হয়েছে। এই ছবি গুলো দেখে কয়েক জন মন্তব্য করেছে যে, লকডাউনের ফলে বিশ্বের অর্থনীতির যে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা এই ছবি গুলো দেখলে বোঝা যায়। এই বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরার ফলে মানুষজন সচেতন হয়েছে যা বেশ প্রশংসনীয়।
টুইটার থেকে Newshub -র একটি রিপোর্ট আমাদের সামনে আসে যেখানে এই ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। চামড়ার প্রসাধন সামগ্রী ও জুতো, ব্যাগ, বেল্টের উপর ফাংগাস পরিষ্কার করার জন্য যদিও ইতিমধ্যে মালয় সরকার তৎপরতার সাথে কাজ শুরু করে দিয়েছে তার প্রমান পাওয়া যায়।
এছাড়াও Mashable SE Asia, Mothership-র ওয়েবসাইট থেকেও আমরা এই ঘটনার বিবরণ পাই। যেখানেই এই ঘটনাকে মালয়েশিয়ার বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
CGTN– থেকেও এই ঘটনার ভিডিও আমরা পাই যেখানে একে মালয়েশিয়ার ঘটে বলেই বর্ণিত করা হয়েছে।
টুইটার থেকে আমরা Daily Mail UK-এর অন্য একটি রিপোর্ট আমরা পাই যেখানে মালয়েশিয়ার সিনেমাহলের বসার সিটেও ফাংগাস ধরে যাওয়ার ঘটনার কথা জানতে পারি যা ঘটেছে ইফো শহরের ওয়েস্টার্ন পার্ক এলাকার সিনেমাহলে।
অর্থাৎ ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়াতে চামড়ার প্রসাধন ও জুতো,ব্যাগের উপর ফাংগাস ধরে যাওয়ার যে ছবি গুলি শেয়ার করা হয়েছে, সেগুলি আসলে মালয়েশিয়ার।
ব্যবহৃত টুলস:
ফলাফল: ভুল দাবি।
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। )
Tanujit Das
November 24, 2025
Tanujit Das
November 22, 2025
Tanujit Das
November 22, 2025