Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
দাবি
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে করোনার লকডাউন নিয়ে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, দাবি অনুসারে যা কিনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে এসেছে ভারতের লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে। এই ম্যাসেজ আমাদের কাছে হোয়াটস্যাপের দ্বারা আসে যেখানে লেখা আছে , বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ভারতের লকডাউনের সময়সীমা জুন মাস পর্যন্ত ধাপে ধাপে বাড়ানোর তালিকা তৈরী করেছে । ভাইরাল হওয়া এই ম্যাসেজের লিংক নিচে দেওয়া হলো।
বিশ্লেষণ
করোনার অতিমারীর কারণে বিশ্বের প্রতিটি দেশেই এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমেরিকা, ইতালি ইরানের মতো শক্তিধর দেশ গুলিও এই ভাইরাসের কাছে মাথা নত করে ফেলেছে। এই ভাইরাস প্রমান করেছে যে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলেই এই রোগকে হারানো সম্ভব নয়।
ভারতও এই তালিকার মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হয়ে উঠেছে। কেরল থেকে প্রথম এই রোগে আক্রান্ত রুগী ধরা পরে এখন তা সারা ভারতে ছড়িয়ে গেছে। এই পর্যন্ত ভারতে ১২৩৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ও ৪১৪ জন প্রাণ হারিয়েছে।
হোয়াটস্যাপ থেকে আমাদের কাছে এই ইমেজ আসে যেখানে লেখা আছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা থেকে এই মহামারী রোগকে প্রতিরোধ করার জন্য লকডাউন ধাপে ধাপে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পোস্টটিতে লকডাউনের যে কালপঞ্জি বর্ণনা করা হয়েছে তা হলো- লকডাউন হবে এক দিনের জন্য, যেখানে দেখা হবে এই এক দিনের লকডাউন জনগণের উপর কেমন প্রভাব ফেলছে। এরপর বেশি সময়ের জন্য শুরু হবে লকডাউন যেমন প্রথম লকডাউন হবে ২১ দিনের যা ২৪শে মার্চ থেকে ১৪ই এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে। পাঁচদিনের বিরতি দিয়ে ফের ২০শে এপ্রিল থেকে ১৮ই মে পর্যন্ত এই লকডাউনের দ্বিতীয়টি পর্যায় চলবে। এই লকডাউন থাকবে ২৮ দিনের। মাঝে আবার ৫ দিনের বিরতি দিয়ে পুনরায় ২৫শে মে থেকে ১০ই জুন পর্যন্ত এই লকডাউনের তৃতীয় বা অন্তিম পর্যায় চলবে।
কিন্তু এই বার্তাটির সত্যতা কতটা? ইতিমধ্যে ভারতে যদিও লকডাউনের সময় সীমা বাড়ানো হয়েছে তবুও এই ম্যাসেজের অনুযায়ী এমন কোনো সরকারি বিজ্ঞপ্তি এই পর্যন্ত আমাদের সামনে আসেনি।
এই ম্যাসেজের সত্যতা জানার জন্য আমরা গুগলে সার্চ করার সময় PIB থেকে এই টুইট সামনে আসে।
Claim : A so-called circular, said to be from WHO is floating around on whatsapp, saying that it has announced a lockdown schedule.
Fact : @WHO has already tweeted it as #Fake ⬇️https://t.co/GB7rQ0t9lJ pic.twitter.com/3M5RBLoA3i
— PIB Fact Check (@PIBFactCheck) April 5, 2020
যেখানে এই এক ম্যাসেজের সম্পর্কে একটি পোস্ট করা হয়েছে। এই পোস্টে বলা হয়েছে যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘুরতে থাকা এই ধরণের ম্যাসেজের কোনো বাস্তবতা নেই। এই টুইটের উপরে WHO এর উল্ল্যেখ থাকায় আমরা WHO এর টুইটার প্রোফাইল গিয়ে এই পোস্টটির ব্যাপারে কোনো টুইট করা হয়েছে কিনা জানতে গেলে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকেও এই ভাইরাল বার্তা কে Fake বা মিথ্যা বলা হয়েছে।
Messages being circulated on social media as WHO protocol for lockdown are baseless and FAKE.
WHO does NOT have any protocols for lockdowns. @MoHFW_INDIA @PIB_India @UNinIndia— WHO South-East Asia (@WHOSEARO) April 5, 2020
ANI থেকে এই বার্তা সম্পর্কে কেবিনেট সচিব রাজীব গুবা এর বয়ান আমরা পাই, লকডাউনের ভাইরাল পোস্টটি দেখে তিনি আশ্চর্য । তিনি বলেছেন – লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর এই ধরণের কোনো প্রকার তালিকা সরকার থেকে প্রকাশ করা হয়নি।
I’m surprised to see such reports, there is no such plan of extending the lockdown: Cabinet Secretary Rajiv Gauba on reports of extending #CoronavirusLockdown (file pic) pic.twitter.com/xYuoZkgM5e
— ANI (@ANI) March 30, 2020
অর্থাৎ সরকারি এমন কোনো প্রমান নেই যে WHO দ্বারা লকডাউনের যে কালপঞ্জী তৈরী করা হয়েছিল যা কিনা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে।
আমাদের সব রকম অনুসন্ধানের পর যে তথ্য সামনে উঠে এসেছে, সেখানে এই ধরণের কোনো বার্তার অস্তিত্বের কোনো প্রমান নেই। এই বার্তাটি ভুল।
ব্যবহৃত টুলস
- Google search
ফলাফল: মিথ্যা Fake
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে)
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.