Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: checkthis@newschecker.in
Fact Check
ফেসবুক থেকে আমরা সম্প্রতি ভাইরাল একটি পোস্ট পেয়েছি যেখানে হিন্দিতে বাংলাদেশের একমাত্র বৌদ্ধমঠের উপর তাবলীগি জামাতের হামলার কথা বলে হয়েছে। হিন্দি ভাষায় ভাইরাল হওয়া এই পোস্টটির বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়- বাংলাদেশের একমাত্র বৌদ্ধ মঠ যা দলিত মানুষরা মিলে বানিয়েছিলো, তাবলীগি জামাতের নেতারা মিলে সেই মঠে ভাঙচুর চালিয়ে গৌতম বুদ্ধের সব মূর্তি নষ্ট করে ফেলছে।
ভাইরাল দাবি সমেত এই পোস্টের কিছু লিংক আমরা নিচে শেয়ার করলাম।
বাংলাদেশের বৌদ্ধ মঠের যে পোস্টগুলো ভাইরাল হয়েছে, সেই ছবিগুলো নিয়ে আমরা গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। খোঁজার পর ‘আজ রামুর ট্রাজিডির ৭ বছর’ লেখা একটি লিংক আমরা পাই। লিংকে ক্লিক করার পর বাংলাদেশের রামু নামক জায়গার ২০১২ সালের ঘটনা আমরা জানতে পারি। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফেসবুকে একটি পোস্ট ছড়িয়ে পরে যেখানে কোরানশরীফকে কেন্দ্র করে অপমানজনক কথা লেখা ছিল। উত্তম বড়ুয়া নামের ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এই খবরটি ভাইরাল হওয়ার পরেই স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায় হামলা চালায় রামুর বৌদ্ধ মঠে। কার্যত ভেঙে ফেলা হয় মূর্তি, আগুন লাগানো হয়েছিল ওই মঠে। এমনকি আশেপাশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই তান্ডবের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মঠের শিষ্যরা পুলিশের কাছে রিপোর্ট দায়ের করে। পরেরদিন অর্থাৎ ৩০শে সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের সদর, উখিয়া, ও টেকনাফ উপজেলায় শুরু হয় অসন্তোষ। দুর্বৃত্তরা বৌদ্ধবিহার জ্বালানোর পর কক্সবাজারে গোলযোগ শুরু করে।
এই ঘটনা কেন্দ্রিক কিছু কীওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করার CNN , কালের কণ্ঠ-এর সংবাদ পাই। ধর্মীয় অবমাননাকর পোস্টের ফলে এই হামলা হয় শান্তিপ্রিয় ধর্ম বৌদ্ধমঠে। যদিও পরে জানা যায় যে এই পোস্ট যে প্রোফাইল থেকে করা হয়েছিল তা একটি ফেক প্রোফাইল ও খবরটিও ছিল ফেক। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎপরতায় যদিও মঠের অবস্থা পরিবর্তন করে পুরোনো চেহারা ফেরানো হয়, তবুও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এই ঘটনা সহজে ভোলেনি।
Reuters এর একটি ফেসবুক পোস্ট পাই যেখানে ২০১২ সালের এই ঘটনার বর্ণনা আমরা পাই।
BBC বাংলার একটি রিপোর্ট আমরা পাই যেখানে রামুর বৌদ্ধমঠের এই ঘটনার বছর কেটে গেলেও উপযুক্ত শাস্তি মেলেনি মূল দোষীদের।
বাংলাদেশে তাবলীগি জামাতকে উদ্দেশ্য করে রামুর বৌদ্ধমঠ আক্রমণের যে দাবি করা হয়েছে, তা আসলে আট বছরের পুরোনো ঘটনা। ২০১২ সালে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে।
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন ।