রবিবার, ডিসেম্বর 22, 2024
রবিবার, ডিসেম্বর 22, 2024

HomeFact CheckFact Check: হাত-পা-মুখ বেঁধে ছাত্রলিগের নেত্রীকে শাস্তি আন্দোলনকারীদের? ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা জানুন 

Fact Check: হাত-পা-মুখ বেঁধে ছাত্রলিগের নেত্রীকে শাস্তি আন্দোলনকারীদের? ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা জানুন 

Claim: আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলিগর এক সদস্যাকে শাস্তি দিচ্ছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

Fact:  ভাইরাল ভিডিয়োটি একটি পথ নাটিকার। কোনও ছাত্রলিগের নেত্রীকে শাস্তি দেওয়ার নয়। 

বিপুল জনরোষের মুখে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা, এরপর দেশত্যাগ, বর্তমানে ভারতে রয়েছেন আওয়ামী লিগের নেত্রী তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে দেশ-শাসনের দায়িত্ব। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীদের হত্যার বা মারধরের খবর আসছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে লিগের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের উপর অত্যাচারে ভয়াবহ সব ছবি ও ভিডিয়ো। 

যার মধ্যে একটিকে ঘিরে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে। যে ভিডিয়োতে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় এবং সবুজ রঙের একটি পোশাক পরে, মাটিতে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে এক মহিলা। নেটিজেনদের একাংশের দাবি ওই মহিলা আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র সংগঠনের সদস্যা এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাঁকে শাস্তি দিচ্ছেন। ভিডিয়োটি ফেসবুকে পোস্ট করে লেখা হয়েছে, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী কে সংস্কার করা হচ্ছে।” 

Fact Check/ Verification

ভিডিয়োটির একটি অংশে, মহিলাটির থেকে অনতি দূরে  ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ লেখাটি দেখতে পাওয়া। এরপর ভাইরাল ভিডিয়োর একটি অংশের রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন এক্স ব্যবহারকারী দাবি করেছেন যে, ভিডিয়োটি একটি পথনাটিকার। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এক পড়ুয়ার আত্মহত্যার প্রতিবাদে যা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এই সূত্র ধরে ইন্টারনেটে কিওয়ার্ড সার্চ করলে, ২০২৪ সালের ১৭ মার্চ Prothom Alo-র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি খবর আমাদের নজরে পড়ে। যেখানে লেখা ছিল, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় আজ রোববারও প্রতিবাদী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। আজ সন্ধ্যার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ সমাবেশ, মশালমিছিলসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।”   

ওই প্রতিবেদনে প্রকাশিত একটি ছবিতে উক্ত মহিলাকেও দেখতে পাওয়া যায়। ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল, “অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনাটি নিয়ে পারফর্মিং আর্ট প্রদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা”।

Channel 24-এর প্রতিবেদনেও মহিলাকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে।

এরপর The News 24– এর একটি প্রতিবেদন আমাদের নজরে পড়ে। যেখানে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, উক্ত মহিলার নাম তৃষ্ণা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের একজন ছাত্রী এবং তিনি ছাত্রলিগের নেত্রী নন। সংবাদমাধ্যমকে তৃষ্ণা জানিয়েছিলেন, ”আমি কখনই কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ছিলাম না। এই ভিডিওটিতে আমি অভিনয় করেছি। অবন্তিকা আপুর মৃত্যুর বিচার চেয়ে মোমবাতি প্রজ্বলনের দিন একটি পথ নাটকে অভিনয়ের দৃশ্য এটি। এ ঘটনার পর আমার আত্মীয় ও পরিচিতরা আমাকে ফোন দিয়ে ঘটনা জানতে চেয়েছেন। ওনারাও এটাকে নির্যাতনের ঘটনা ভেবেছিলেন।”

নিউজচেকারের তরফে তৃষ্ণার একজন বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি আমাদের জানিয়েছেন যে, তৃষ্ণা একজন হিন্দু। কিন্তু ভিডিয়োটি আত্মহত্যার প্রতিবাদে হওয়া একটি পথ নাটিকার।

Conclusion

সুতরাং এখন এটা প্রমাণিত যে, ভাইরাল ভিডিয়োটি একটি পথ নাটিকার। কোনও আওয়ামি লিগ নেত্রীকে শাস্তি দেওয়ার নয়। 

Result: Missing Context

(With reporting inputs from Runjay)

Sources
Report by Prothom Alo
Video by Channel 24
Report by The News 24

Most Popular