Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
Claim: বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে যখন তিনি মাছের ব্যবসা করতেন তখনকার
Fact: যে ছবিটিকে অনুব্রত মন্ডলের বলে দাবি করা হচ্ছে তা শেওড়াফুলির এক সাধারণ মাছ ব্যবসায়ীর ছবি
ফেসবুকে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের নামে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে ছবিটি তখনকার যখন তিনি মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন।
ভাইরাল ছবিতে ব্যক্তির গায়ে হলুদ গেঞ্জি, লুঙ্গি ও গলায় মাফলার জড়ানো এবং তাকে মাছের কাটতে দেখা যাচ্ছে। এই ছবিটি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে ইনি অনুব্রত মন্ডল। তিনি যখন মাছের ব্যবসা করতেন ছবিটি তখনকার।
Fact check / Verification
ফেসবুকে অনুব্রত মন্ডলের নামে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সেরকমই একটি ছবির কমেন্টে আমরা দেখি একজন লিখেছেন ছবির ব্যক্তিটি শেওড়াফুলির এক মৎস ব্যবসায়ী, বীরভূমের অনুব্রত মন্ডল নন।
এই সূত্র ধরে আমরা ফেসবুকেই ‘শেওড়াফুলি মাছ বিক্রেতা’ কীওয়ার্ড দ্বারা খোঁজার পর বেশকিছু ফেসবুক পোস্ট পাই। এই পোস্টে বলা হয়েছে শেওড়াফুলি মাছ বাজারের মাছ বিক্রেতার ছবিকে অপ্রাসঙ্গিক ভাবে অনুব্রত মন্ডলের নামে ছড়ানো হয়েছে ফেসবুকে। ইনি একজন সাধারণ মাছ বিক্রেতা, তৃণমূল, বা অনুব্রত মন্ডলের সাথে এনার নাম জড়ানোর কোনো অর্থ নেই।
গরুপাচার কাণ্ডে গত বছর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন অনুব্রত। দোলের সময় আসানসোলের সংশোধনাগার থেকে জোকার ESI থেকে যাবতীয় শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে ইডির সাথে দিল্লী পৌঁছন অনুব্রত মন্ডল। শেষ সংবাদ অনুযায়ী আপাতত তিনদিন ইডির হেফাজতে থাকবেন তিনি।
অনুব্রত মন্ডল ও ওনার কন্যা সুকন্যা মন্ডল শিক্ষক নিয়োগ ঘটনায় নানা গোলযোগের কারণে ইডি ও সিবিআই এর জেরার মুখে পড়েন। এই সময় অনুব্রত নাটকীয় উত্থানের কথা প্রকাশ পায়। বীরভূমের অতি সাধারণ ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন অনুব্রত। বাবার মুদিদোকান ছিল, পড়াশোনার পাঠ না চুকিয়েই তিনি দোকানে বসতে শুরু করেন। এরপর শুরু করেন মাছের ব্যবসা। বিয়ে পর ওনার ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় এবং প্রোমোটিংয়ের ব্যবসা থেকে ধীরে ধীরে রাজনীতির জগতে নিজের পসার বাড়ান।
ওনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে বেশকিছু ছবি আমরা ভাইরাল ছবিটির সাথে মিলিয়ে দেখেছি। ‘শেওড়াফুলি র মাছ ব্যবসায়ীর গালে আঁচিল রয়েছে কিন্তু অনুব্রতর মুখে তা নেই। এছাড়ও দুজনের মুখে বেশকিছু অমিল আছে।
Hindustan Times ও TV9 Banglaর রিপোর্টেও এই মাছ ব্যবসায়ীর ছবির কথা উঠে এসেছে। শেওড়াফুলির সুকুমার হালদার গত ৩০ বছর ধরে তিনি ওখানকার মাছ বাজারে তার দোকান আছে। শেওড়াফুলির নিমাইতীর্থ ঘাটের কাছে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন সুকুমার। ওনার ছবি ওনার অজান্তে তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুল দাবি সমেত ছড়ানোর জন্য খুব বিব্রত হয়ে আছেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে বলা যেতে পারে ফেসবুকে অনুব্রত মন্ডলের নামে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে তা অন্য ব্যক্তির, অনুব্রতর নয়।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে ফেসবুকে অনুব্রত মন্ডলের নামে অন্য ব্যক্তির ছবিকে ঘিরে ভুল দাবি করা হচ্ছে। ব্যক্তি আসলে শেওড়াফুলির একজন সাধারণ মাছ ব্যবসায়ী।
Result – False
Our Sources
Facebook post
Hindustan Times Bangla report, published on 11 Aug 2022
Anubrata Mondal’s Facebook post of 24 Dec 2021
Hindustan Times report,published on 9 March 2023
TV9 Bangla report, published on 9 March 2023
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
