রবিবার, ডিসেম্বর 22, 2024
রবিবার, ডিসেম্বর 22, 2024

HomeFact Checkমেক্সিকোর ভূমিকম্পের নাম দিয়ে পুরোনো ভূমিকম্পের কিছু ছবি ভাইরাল হলো সোশ্যাল...

মেক্সিকোর ভূমিকম্পের নাম দিয়ে পুরোনো ভূমিকম্পের কিছু ছবি ভাইরাল হলো সোশ্যাল মিডিয়াতে

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

দাবি:

২২শে জুন মেক্সিকোয় এক ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটে যায় রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৪।  মেক্সিকোর ভূমিকম্প নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু পোস্টও ভাইরাল হয় #prayformexico সমেত, যেখানে কিছু বিল্ডিংয়ের ভেঙ্গে পরে যাওয়া, রাস্তার উপর পড়ে থাকা ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষ, প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরে কান্নার কিছু ছবি।  আমরা ভাইরাল এই পোস্টের কিছু অংশ নিচে দিলাম।  

Archive

বিশ্লেষণ:

গত ২২শে জুন মেক্সিকোর দক্ষিণ তটরেখা ধরে শুরু হয় ভূমিকম্প ৬.৮ মাইল অঞ্চল জুড়ে ।  স্থানীয় সময় সকাল ১১.২৯ মিনিটে শুরু হয় এই কম্পনের উপকেন্দ্র ছিল ওক্সাকা রাজ্যের  জুড়ে সান্টা মারিয়া জাপটিটালিয়ান।  অনেক বহুতল বাড়ি ভেঙে যায় এই কম্পের ফলে এবংহ মেক্সিকো সরকারের মতে ৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে।  

 ফেসবুকে মেক্সিকোর ভূমিকপের নাম দিয়ে যে ছবি গুলি ছড়ানো হয়েছে তার মধ্যে অনেক ছবিই এই ঘটনার সাথে সম্পর্কিত নয়।  

প্রথম ছবি: এই ছবিতে আমরা এক মহিলাকে দেখি  যিনি খুব করুন ভাবে কাঁদছেন এবং তার প্রিয়জনেরা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। 

ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করার পর জানতে পারি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও এমনি এক ভয়ংকর ভূমিকম্প হয় মেক্সিকোতে যারা মাত্রা ছিল ৭.১।  এই ছবিটি সেই সময়কার যা ২০২০ সালের কম্পের সময় ভাইরাল হচ্ছে।  CNN, Cbsnews এদের ওয়েবসাইট থেকে এই ভূমিকম্পের রিপোর্টে আমরা এই ছবিটি পাই।

দ্বিতীয় ছবি: এই ছবিটিতে বৃহৎ বহুতল ভেঙ্গে পড়লে যেমন ধূসর ধোয়ার সৃষ্টি হয়, তেমনি ধোঁয়ায় ঢাকা রাস্তা ও বিল্ডিংয়ের ধ্বংসাবশেষ আমরা দেখতে  পাই।

 

এই ছবিটি আসলে ১৯৮৫ সালে মেক্সিকোর ভূমিকম্পের ছবি।  ১৯৮৫ সালে সান্টা মারিয়া লা রিবেরিয়াতে ঘটে যায় মেক্সিকোর ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ানক ভূমিকম্প যার মাত্রা ছিল ৮।  স্থানীয় সময় সকাল ৭টা  ১৭ মিনিট নাগাদ শুরু হয় এই ভূমিকম্প।  এই কম্পনের ফলে প্রায় ৫ হাজার লোকের প্রাণ চলে যায়।  এখনোও বহুমানুষ যারা এই ভূমিকম্পের ফলে তাদের সব কিছু হারিয়েছেন সরকারি সহযোগিতার দিকে তাকিয়ে  আছেন।  Reuters এর একটি ফীচার আর্টিকেলে ও HUFFPOST থেকে আমরা এই ছবিটি পাই।  

তৃতীয় ছবি: এই ছবিটিও  ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের  ভূমিকম্পের ছবি।  রাস্তার উপর কোনো এক বিল্ডিংয়ের ভাঙ্গা অংশ পরে আছে ও উদ্ধারকারীরা দাঁড়িয়ে আছে তার উপর।

২০১৭ সালের   রিপোর্ট পাই যেখানে এই ছবিটি দেওয়া হয়েছে। CNBC  এর একটি রিপোর্ট অনুসারে এই কম্পনের ফলে প্রায় ১০০ জন মেক্সিকোবাসীর প্রাণ চলে যায়।  Hindustan Times এর একটি পাই যেখানে সারা বিশ্ব থেকে মেক্সিকোর উদ্দেশ্যে টুইট করে জানানো হয়  এই খারাপ সময়ে মেক্সিকোর পাশে পুরো বিশ্ব আছে।

চতুর্থ ছবি: বিপদজনক অবস্থায় থাকা একটি বহুতলের ছবি আমরা এখানে পাই। 

এই ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করার পর জানতে পারি এটি আসলে চীনের তাইওয়ান প্রদেশের ভূমিকম্পের ছবি।  ২০১৮ সালে ফেব্রূয়ারি মাসে এই দুর্যোগ নেমে আসে তাইওয়ানের উপর , রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.১। Itv news , Stlucianewsonline.com এদের ওয়েবসাইট থেকে এই ভূমিকম্পের রিপোর্টে আমরা এই ছবিটি পাই।

পঞ্চম ছবি: অর্ধেক ভেঙ্গে পরে থাকা বাড়ির যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে এই বছর মেক্সিকোর ভূমিকম্পের নাম করে তা আসলে ২০১৭ সালের ভূমিকম্পের।  ScienTology Newsroom এর ওয়েবসাইট থেকে আমরা এই ছবি সমেত ঐ ভূমিকম্পের রিপোর্ট পাই।

১৯৮৫ সালের ও ২০১৭ সালে মেক্সিকোর ও ২০১৮ সালের তাইওয়ানের ভূমিকম্পের ছবি গত ২২শে জুন ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের বলে চিহ্নিত করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করা হচ্ছে।  

ব্যবহৃত টুলস:

  • Google reverse image search
  • Media reports

ফলাফল: অর্ধ-সত্য Partly False

(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। ) 

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Paromita Das
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Most Popular