Authors
পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে ৩৫টি আসন জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বিজেপি, তার মধ্যে অন্যতম কৃষ্ণনগর। যেখানে ‘রানিমা’কে প্রার্থী করেছে পদ্ম শিবির। অন্যদিকে তৃণমূলের প্রার্থী, লোকসভায় ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডে’ অভিযুক্ত এবং পরে বহিষ্কৃত মহুয়া মৈত্র। বৈশাখের প্রখর রোদকে তোয়াক্কা না করেই জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি।
আর মহুয়া মৈত্রর প্রচার পর্বের একটি ভিডিয়ো ঘিরেই এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যে ভিডিয়োটিতে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে এক সাংবাদিক মহুয়া মৈত্রকে প্রশ্ন করছেন “আপনার এনার্জির উৎস কী?” এবং এরপর কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর উত্তরে দ্বিধাবিভক্ত নেটিজেনরা। কেউ বলছেন তিনি বলেছেন, ‘সেক্স’, আবার কেউ বলছেন ‘এগস’ বলেছেন মহুয়া। এমনই একটি ভিডিয়ো ফেসবুকে পোস্ট করে একজন লিখেছেন, “মহুয়া মৈত্র কোথায় থেকে এনার্জি পায় একটু ভালো করে মন দিয়ে শুনুন” (আর্কাইভ লিঙ্ক)
@KanchanGupta নামের এক ব্য়বহারকারী এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিয়োটি পোস্ট করে ইংরেজিতে লিখেছেন, “তৃণমূলপন্থী ‘স্বাধীন’ সাংবাদিক তমাল সাহা এবং কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের মধ্যেকার কথোপকথন”। (আর্কাইভ লিঙ্ক)
যদি ভাইরাল ভিডিয়োটিকে সম্পাদিত বা এডিটেড বলে দাবি করেছেন ‘নিউজ দ্য় ট্রুথ’ (এনটিটি) নামের ওই ইউটিউব চ্যানেলটির সাংবাদিক তমাল সাহা, যিনি মহুয়া মৈত্রর সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তমাল সাহা ইংরেজিতে লেখেন, “যেহেতু ওটা আমার নেওয়া সাক্ষাৎকার, তাই আমি স্পষ্ট করে জানাতে চাই যে, আমি মহুয়া মৈত্রকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘তোমার সকালের এনার্জির উৎস কী’ উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘এগস (ডিম, আন্ডা)’ কিন্তু ভাবতে অবাক লাগছে কীভাবে ভক্তরা ভিডিয়োটিকে এডিট করেছে, সেটা তারপর শুনতে লাগছে সেক্স। অডিওটিতে কারসাজি করা হয়েছে।” ওই এক্স পোস্টে সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারের লিঙ্কটিও দিয়ে দেন তমাল সাহা।
১৩ এপ্রিল, এনটিটি-র ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড হওয়া সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি আমরা পরীক্ষা করে দেখার চেষ্টা করি। ওই সাক্ষাৎকারের ২.৩৫ মিনিটে ভাইরাল ভিডিয়োটি খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানকার অডিওর গতি কমিয়ে অর্থাৎ অডিওটিকে স্লো-মোশানে আমরা শোনার চেষ্টা করি এবং মহুয়া মৈত্রকে উত্তরে ‘এগস…এগস…’ বলতে শোনা যায়।
এরপর Newschecker-এর তরফে তমাল সাহার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি যা লিখেছেন, সেটাই তাঁর অফিসিয়াল বক্তব্য বলে তিনি জানান এবং সেটাই আমাদের ব্যবহার করতে বলেন।
কিন্তু আসলে ঠিক কী বলেছেন মহুযা মৈত্র? সেই নিয়ে জোর চর্চা নেট-পাড়ায়।