Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
দাবি: সোশ্যাল মিডিয়া জগতে টুইটার ও ফেসবুক এই দুই জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইটের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত টুইটার। সম্প্রতি সেই টুইটারে এক প্রোফাইল নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। দাবি করা হয়েছে যে বাঙালি নোবেল জয়ী বিনায়ক অভিজিৎ নাকি দু-দুটো টুইটার প্রোফাইলের মালিক।
বিশ্লেষণ: ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে অর্থনীতির প্রফেসর ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিনায়ক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বের অর্থব্যবস্থা ও দারিদ্র দূরীকরণকে কেন্দ্র করে তার লেখা বইয়ের জন্য তাকে নোবেল পুরস্কার এনে দেয়। কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি পান এই বঙ্গসন্তান। বর্তমানে তিনি ম্যাসাচুসেট ইনস্টিটিউশন অফ টেকনোলজির অর্থনীতির প্রফেসর।
for their experimental approach to alleviating global poverty- বইটি লেখার সময় তিনি তার স্ত্রী এস্থার ডুফলো ও মিশেল ক্রেমের সহযোগিতা পেয়েছেন। বইটিতে তিনি পৃথিবীর অর্থব্যবস্থা ও তার সাথে দারিদ্রতার কি সম্পর্ক- তা তিনি বিশ্লেষণ করেছেন। কি করে এর অসম ব্যবস্থার সমাধান করা যাবে তা নিয়ে নিজের মতামত দিয়েছেন।
সম্প্রতি করোনার ফলে ধুঁকতে থাকা ভারতীয় অর্থনীতিকে কি করে আবার চাঙ্গা করা যাবে এই নিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কংগ্রেসের প্রধান সভাপতি রাহুল গান্ধীর সাথে আলোচনা সারেন। এই আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল করোনার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পরিযায় শ্রমিকদের আর্থিক ব্যবস্থা , কি ভাবে সমাজের নিম্নশ্রেণীর মধ্যে অর্থের যোগান দিতে হবে, ওয়েলফেয়ার সেন্টার গুলির কি পদক্ষেপ থাকবে, কংগ্রেসের জমানায় অৰ্থনীতির পসিটিভ দিকটি কি ছিল যা এখন পরে যাওয়া অর্থনীতিকে তুলে ধরতে সক্ষম হবে, এই বিষয় গুলোর দিকে আলোকপাত করা হয়েছিল।
কিন্তু আসল সমস্যার সূত্রপাত হয় এই মিটিংয়ের পর। যখন তার দুইটি টুইটার প্রোফাইল সামনে আসতে শুরু করে। একটিতে তার ‘ফলোয়ার’ এর সংখ্যা ১৬৯ জন ও অন্য প্রোফাইলটিতে ২৬.৬ হাজার। বেশি সংখ্যার যে প্রফাইলটি সেখানে তার বায়োতে লেখা অর্থনীতি সাহিত্যে তিনি নোবেল পেয়েছেন, এই টুইটার হ্যান্ডলটি তার দাড়াই পরিচালিত হয় এবং তার ইমেইল আইডি ও উল্লেখ করা আছে। তার স্ত্রীর সাথে তার ছবি দেওয়া ও সাথে লেখা দেরিতে হলে অবশেষে টুইটারে জয়েন করলাম।
যে প্রোফাইলটিতে ফলোয়ার্সর এর সংখ্যা কম সেখানে বায়োতে লেখা একোমোনিস্ট, নোবেল লিটারেচার এবং তার নিজের ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লেখা – আমার টুইটার প্রোফাইলে জয়েন করুন।
বিবিসি নিউজের এডিটরের একটি টুইট পাই যেখানে তিনি এই দুটি প্রোফাইলকে Fake বা ভুল বলে উল্লেখ করেছেন। তার করা টুইটের অনুযায়ী – আপনারা যারা টুইটারে আছেন তারা এই বার্তাটি শেয়ার করুন যে অভিজিৎ ব্যানার্জী নামক যে টুইটার প্রোফাইল গুই আছে তার একটাও আমার নিজের নয়, সেগুলি আমর নাম দিয়ে তৈরী করা। আমার কোনো প্রোফাইল নেই টুইটারে – অভিজিৎ ব্যানার্জী।
অর্থাৎ নোবেল জয়ী বিনায়ক অভিজিতের কোনো টুইটার প্রোফাইল নেই।
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ তিনিও টুইট করেন – নোবেল জয়ী অভিজিতের কোনো টুইটার প্রোফাইল নেই।
সর্বভারতীয় তৃণমূলের বিশিষ্ট ব্যক্তি মহুয়া মৈত্র ও সাকেত গোখলেও তাদের টুইটার প্রোফাইল থেকে এই fake id -র বিষয়টি শেয়ার করেছেন।
economics times, News 18 ,Financial Express , সংবাদপত্র গুলিও এথেকেও আমরা এই খবরের সম্পর্কে জানতে পারি।
অর্থাৎ টুইটারে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে যে দুইটি প্রোফাইল ছিল তা ভুয়ো। তিনি আসলে কোনো টুইটার ব্যবহার করেন না।
তার ভুঁয়ো প্রোফাইল গুলি টুইটার থেকে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।
ব্যবহৃত টুলস:
- Google search
- Media report
- Twitter search
ফলাফল: মিথ্যা।
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। )
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.