Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: checkthis@newschecker.in
Coronavirus
দাবি: করোনার এই পরিস্থিতিতে অনেক ধরণের খবর আমরা জানতে পারছি। কোথাও পরিযায় শ্রমিকদের মাইলের পর মাইল পায়ে হেটে বাড়িতে ফেরার খবর তো কোথাও খাবার ও জল না থাকার জন্য শিশু মৃত্যুর খবর। তৃণমূলের দেবাশীষ কুমার যিনি কলকাতার মেয়র পরিষদের আসনে আসীন , তিনি সম্প্রতি তার ফেসবুক থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওটিতে লেখা আছে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালে দলিত মহিলার রান্না খাবার লাথি মেরে ফেলে দিলো। বিজেপির শাসন কালে মানুষে মানুষে এই দ্বন্ধ বিপদ ডেকে আনছে।
বিশ্লেষণ: দেবাশিস কুমারের শেয়ার করা এই ভিডিওটা যেন প্রশ্ন করছে করোনাগ্রস্থ পরিস্থিতিতে যখন দেশ জুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার হাহাকার কানে আসছে, খাবার ও জল না পেয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে, সেখানে খাবার সমাজের কোন শ্রেণীর মানুষ তৈরী করেছে, সেই খাবার খেলে ‘জাত’ চলে যাবে এই ধরণের নিক্কার জনক বিষয়গুলি ঘটছে আর সরকার পক্ষ থেকে কেন কোনো কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এই ঘটনা যেন প্রাচীন কালের বর্ণ ব্যবস্থার কথা স্মরণ করিয়ে দিলো যখন দলিত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করা মানুষ সমাজে মানুষ বলে গণ্য করা হতো না। তাদের ছোঁয়া খাবার, জল বা কোনো জিনিস ছুঁয়ে দিলে জাত চলে যেত, এই ধারণার প্রচলন ছিল। দেবাশীষ কুমার যে ঘটনাটিকে নৈনিতালের বলে তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে আপলোড করেছেন সেটি আসলে বিহারের ঘটনা।
Mirrornews.com সংবাদ সংস্থাও এই ঘটনাকে নৈনিতালের বলে খবর ছেপেছে।
যে ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে সেখানে একটি বাড়ি দেখা যাচ্ছে। বাড়ির রং হালকা নীল ও গাঢ় নীল। সাথে একটি নাম ও দেখা যাচ্ছে তাহলো মাধোপুর যা বিহারের মধুবনী জেলার অন্তর্গত।
আমরা এই সূত্র ধরে গুগল সার্চ করার পর প্রথম সারির হিন্দি দৈনিক সংবাদপত্র Dainik Jagran থেকে আমরা এই ঘটনার বিবরণ পাই। মূল ঘটনাটি হলো- সাহারঘাট মধ্য বিদ্যালয়কে করোনা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রূপান্তরিত করা হয়। এখানে ২৫জন পরিযায়ী শ্রমিকদের এনে কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছিল। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ওই বিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ থেকে। গ্রামেরই এক মহিলার উপর দায়িত্ব চলো তাদের জন্য রান্না করার। তিনি রান্না করে স্কুলের বেঞ্চের উপর খাবারের প্লেট সাজিয়ে খাবার পরিবেশন করছিলেন, তখন এই এই ঘটনাটি ঘটে। শ্রমিকদের মধ্যে কয়েকজন অকারণ ঝামেলা বাধায় ঐ মহিলার করা রান্না নিয়ে। পরিষ্কার জানিয়ে দেয় যে তারা ওই খাবার খাবে না, আর লাথি মেরে খাবারের থালা সুদ্দু বেঞ্চ ফেলে দেয়। এই ঘটনার কথা স্কুলের প্রধান শিক্ষক হরিদেব প্রসাদ জানার পর তিনি স্কুলে যান এবং ঐ মহিলা ও ঘটনা স্থলে উপস্থিত আরো লোকজনদের জিজ্ঞাসা করে জানেন সম্পূর্ণ ঘটনাটি কি।
এর পর তিনি বিডিও অফিসারকে পুরো ঘটনাটি জানান। তিনি পুরো ব্যাপারটি জেনে বলেন যে যে মহিলাটি রান্না করেছেন তিনি তার প্রাণ হাতে নিয়ে সেন্টারে থাকা শ্রমিকদের জন্য খাবার বানিয়ে দিয়েছেন, উল্টে তার সাথে এই অমানবিক ব্যবহার যা খুবেই ঘৃণ্য অপরাধ। তিনি দোষীদের বিরুধ্যে এফআইআর করার ব্যবস্থা করেন এবং তাদের যেন উপযুক্ত শাস্তি হয় তার জন্যও পুলিশি ব্যবস্থা নেন।
অর্থাৎ দলিত মহিলার তৈরী করা খাবার লাথি মেরে ফেলে দেওয়ার ঘটনা উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের নয়, বিহারের মধুবনী জেলার মাধোপুর পুর গ্রামের।
ব্যবহৃত টুলস:
ফলাফল: বিভ্রান্তিকর
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। )
Tanujit Das
July 5, 2025
Salman
July 5, 2025
Tanujit Das
July 4, 2025