Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
সম্প্রতি ফেসবুকে বিধাননগরের গর্ব মমতা নামের পেজ থেকে বিজেপি কর্মীদের মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনার ভিডিও ছড়িয়েছে। ভিডিওটির সাথে দাবি করা হয়েছে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে দলেরই অন্য এক কর্মী ধর্ষণ করেছে। ভিডিওটি পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে বাংলার মা বোনেরা বিজেপির থেকে সুরক্ষিত থাকুন।
বাংলায় বিজেপি কর্মীদের মহিলাদের উপর অত্যাচারের দাবিতে ভাইরাল এই ভিডিওটি ফেসবুকে কতজন পোস্ট করেছে তা এখানে দেখা যেতে পারে –
বিজেপি কর্মীদের মহিলাদের উপর অত্যাচারের নামে তৃণমূলের ফ্যান পেজ থেকে ছড়ানো ভিডিওটি Crowdtangle এর তথ্য অনুসারে যথেষ্ট ভাইরাল হয়েছে-
বিজেপি কর্মীদের মহিলাদের উপর অত্যাচারের নামে তৃণমূলের ফ্যান পেজ থেকে ছড়ানো ভিডিওটি যথেষ্ট ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের আগে তৃণমূল যেমন থেকে বিজেপি কর্মীদের মহিলাদের উপর অত্যাচারের দাবি করেছে তেমনি বিজেপিও পাল্টা আক্রমণ করেছে রাজ্যের শাসক দলকে।
Fact -check / Verification
বিজেপি কর্মীদের মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা এবং সহকর্মীর স্ত্রী, মেয়েকে ধর্ষণ করেছে এই ঘটনা নতুন নয়। বাংলার মহিলারা বিজেপির হাতে যে সুরক্ষিত নয় তা নিয়ে বরাবর অভিযোগ জানিয়ে এসেছে রাজ্যের শাসকদল।
সোশ্যাল মিডিয়াকে মাধ্যম করে বাংলায় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলের একে অপরের দিকে দোষারোপ করার ভাইরাল দাবি ও পোস্টের তথ্য যাচাই করেছি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাল দাবিগুলো বিভ্রান্তিকর অথবা মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে।
বিজেপির কর্মীর দলের অন্য কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ঘটনা বলে জানা গেছে। যে কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে তাকে রাতের বেলায় দলের অন্যান্য কর্মীরা এসে কাজের বাহানায় ডেকে নিয়ে যায় এবং ওনার স্ত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতা। ভাইরাল ভিডিত্তটি News ১৮ বাংলা চ্যানেলর দ্বারা সম্প্রচারিত হয়েছে। এই সূত্র ধরে আমরা অনুসদ্ধান শুরু করি। কীওয়ার্ড দিয়ে খোঁজার পর আমরা আসল ভিডিওটি পাই।
বিজেপি কর্মীদের মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা স্বরূপ দলেরই কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার ভিডিও ঘটনাটি দুই বছর পুরোনো
ইউটুব থেকে News ১৮ বাংলার এই ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছে ২৭শে এপ্রিল ২০১৯ সালে। অর্থাৎ এই ঘটনাটি বর্তমানের নয়।
নির্যাতিতার স্বামীকে দলের একটি কাজে ডেকে নিয়ে যায় কাটোয়ার বিজেপির কিছু কর্মী এরপর ঐ ব্যক্তির ঘরে ঢুকে তার স্ত্রীকে একা পেয়ে মুখ হাত বেঁধে ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছে নির্যাতিতা নিজেই এবং এতে হাত রয়েছে কাটোয়ার জনপ্রিয় বিজেপি নেতা কর্মীদের। সকালে স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে কাটোয়া থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালায়।
এই ঘটনা নিয়ে এই সময়ের ২৮শে এপ্রিল ২০১৯ সালে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে বিজেপির দুই নেতা সুরজিৎ সরকার ও চঞ্চল মন্ডল এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। চঞ্চলকে এই ঘটনায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো সুরজিৎ। আরও জানা গেছে নির্যাতিতার চিৎকারের আওয়াজ পেয়ে আশেপাশের সকলে ছুটে এসে সুরজিৎ সরকার ও চঞ্চল মন্ডলকে ধরে ফেলে। পরে এই ঘটনাটি জানাজানি হতেই কাটোয়া বিজেপির অন্য কর্মীরা এসে এই দুই অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
যদিও পূর্ব বর্ধমানের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সীমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার লোকসভা ভোটের জন্য বিজেপির হয়ে কাজ করলেও তার পরিবার থেকে কেউই সক্রিয় বিজেপি করে না।
বাংলায় বিজেপি কর্মীদের মহিলাদের উপর অত্যাচারের নামে তৃণমূলের ফ্যান পেজ থেকে ছড়ানো ভিডিও যেখানে বলা হচ্ছে বিজেপির এক কর্মী সহকর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছে এই ঘটনাটি বঙ্গের ভোটের আবহে পুনরায় ভাইরাল হয়েছে। আসলে এই ঘটনাটি ২০১৯ সালের।
Conclusion
বাংলায় বিজেপি কর্মীদের মহিলাদের উপর অত্যাচারের নামে ভাইরাল হয়েছে দুই বছর পুরোনো একটি ভিডিও। এই ভিডিওটি ছড়িয়েছে তৃণমূলের ফ্যান পেজ থেকে। পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০১৯ সালে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় বিজেপির কর্মীর দ্বারা অন্য কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনাটি পুনরায় ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে।
Result- Misleading
Our sources
News ১৮ বাংলা- https://www.youtube.com/watch?v=Hou3VDZgAPk&t=6s
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.