Authors
Claim: বাংলাদেশের বছর কুড়ির কলেজ ছাত্র হৃদয়কে যারা হত্যা করছে তাদের ফাঁসি হতে চলেছে
Fact: এই হত্যা কাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ, তাদের নিয়ে এই খুনের তদন্ত চলছে, ফাঁসির আদেশ এখনও আসেনি
ফেসবুকে সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে শিবলী সাদিক হৃদয়, তাকে হত্যা করে নাকি রান্না করা হয়েছে এবং যারা এর পেছনে আছে তাদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এর সাথে দাবি করা হচ্ছে, যারা মূল খুনি তাদের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে।
Fact check / Verification
ভাইরাল ভিডিওটিতে যে দাবি করা হয়েছে তা সঠিক নয়, হৃদয়ের হত্যাকারীদের এখনও ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়নি। এখনো তদন্ত চলছে।
গুগলে কীওয়ার্ড দিয়ে খোঁজার পর আমরা কালের কণ্ঠর ১৫ই সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট পাই, যেখানে হৃদয়ের ভাইরাল ছবিটি রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে হৃদয়কে ২৮শে অগাস্ট অপরহণ করে স্থানীয় কিছু উপজাতিরা। এর দুদিন পর তার মায়ের কাছে মুক্তিপনের জন্য ১৫লক্ষ টাকা চেয়ে ফোন যায়। তার মা বাবা জানায় তারা ওই টাকা দিতে অপারগ, শেষে দুই লক্ষ টাকায় রাজি হয় অপহরণকারীরা। ১লা সেপ্টেম্বর মুক্তিপনের দুই লক্ষ টাকা নিয়ে পূর্বনির্ধারিত জায়গায় হৃদয়ের বাবা উপস্থিত হয় এবং টাকা অপহরণকারীর হাতে তুলে দেন। ছেলে বাড়ি ফিরে যাবে বলা হলেও কযেকদিন না ফেরায় তার বাড়ি থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হয়।
কীওয়ার্ড সার্চ করে জানতে পারি কলেজ ছাত্র শিবলী হৃদয়কে হত্যা করায় বাংলাদেশের উপজাতি গোষ্ঠীভুক্ত ৫জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়, যার মধ্যে একজন গণপিটুনির স্বীকার হয়েছে এবং ধৃত তিনজন স্বীকারোত্তি দিয়েছে যে তারা অপরহণ করে খুন করেছে হৃদয়কে।
আমরা রিভার্স ইমেজ সার্চের সাহায্যে ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা জানতে পারি। ভাইরাল ভিডিওতে এক টিভি সাংবাদিককে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ রাজশাহী সেন্ট্রাল জেলের সামনে। আমরা এই ঘটনার আসল ভিডিওটি খুঁজে পাই চ্যানেল ২৪ এর ফেসবুক পেজে। এ বছর ২৭ শে জুলাই এই ভাইরাল ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। কীওয়ার্ড সার্চের সাহায্যে আমরা জানতে পারি এ বছর জুলাই মাসে এক অধ্যাপককে হত্যার অভিযোগে দুজন আসামিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় রাজশাহী সেন্ট্রাল জেলে। এ বিষয় বিস্তারিত জানা যাবে এখানে।
সুতরাং বোঝা যাচ্ছে পুরোনো একটি ফাঁসির ঘটনাকে হৃদয় হত্যার সঙ্গে জুড়ে ভাইরাল করা হয়েছে।
Result: False
Update: This article was revised on 28 September to incorporate additional information that came up in further investigation into the matter.
আপডেট : এই প্রতিবেদনটি ২৮ শে সেপ্টেম্বর সংশোধন করা হয়েছে , যেখানে বাড়তি অনুসন্ধান থেকে প্রাপ্ত অতিরিক্ত তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
Sources
Report published by Kaler Kontho, 15 Sept 2023
Report published by Channel 24, 27 July 2023
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।