Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
দাবি:
সম্প্রতি বা ভারত-চীনের মধ্যে যুদ্ধ নিয়ে সোশ্যাল একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে। পোস্টটিতে যে ছবি দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তির পিঠে ক্ষতর দাগ। সারা পিঠ জুড়ে এই দাগ লক্ষ করা যাচ্ছে। ছবিটির সাথে দেওয়া বিবরণে বলা হয়েছে ইনি হলেন ভারতীয় সেনা সুরেন্দ্র সিংহ যিনি ও তার সহযোদ্ধারা চীনা সৈনিকদের আক্রমণে আহত হয়েছেন। ৩০০-৪০০ জন ভারতীয় সেনাদের যখন ২০০০-২৫০০ জন চৈনিক সেনাদের সাথে লড়তে হয়েছিল তখন তারা তারের রড, খুঁটি, পাথর দিয়ে ভারতীয় সেনাদের উপর আক্রমণ চালাতে থাকে, ফলে সেনাদের অনেকেরই এই ধরনের আঘাত লাগে। নিম্নে এই ছবিটির শেয়ার হওয়া কিছু পোস্ট আমরা দিলাম।
https://www.facebook.com/paritosh.barman.9404/posts/2635441633374038
https://www.facebook.com/paritosh.barman.9404/posts/2635441633374038
বিশ্লেষণ: ভারত ও চীনের মধ্যে গালওয়ান প্রদেশ সীমান্তে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ২০ জন ভারতীয় সৈনিকের যুদ্ধ ক্ষেত্রে প্রাণ হারানোর খবর পাই। সম্প্রতি প্রতিটি মিডিয়া চ্যানেল ও সংবাদ পত্র এই খবর বের করেছে যে চীনারা অনেক আগে থেকেই এই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। স্পষ্ট করে বলতে গেলে, সীমান্তে যুদ্ধের সময় চীনের সেনারা এমন কিছু ধারালো অস্ত্রের প্রয়োগ করে যা এই দাবিকে প্রমাণ করে। সংবাদসূত্রের থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুসারে, লোহার রড যেখানে ধারোলো পেরেক পোতা ছিল তা দিয়ে হামলা করা হয় ভারতীয় সেনাদের উপর। এছাড়াও বড়ো মাপের পাথর, লাঠি প্রভৃতি।
এই ঘটনার পর ফেসবুকে একটি ছবি ভাইরাল হয় যার উল্লেখ আমরা আমাদের আগের অংশে বলেছি। ছবিটির বিবরণে লেখা আছে – Abhijit Roy
Follow · June 19 ·
#যুদ্ধে_আহত_সৈনিক…!
#চীনা_সৈনিকের_হামলায়_আহত_জওয়ান সুরেন্দ্র সিং তার বাড়িতে তার বাবা ও স্ত্রীকে বলছেন….
#আমরা_৩০০_৪০০_জন_ছিলাম আর ওরা ছিল ২০০০-২৫০০। হঠাৎ আমারা ওদের ঘেরার মধ্যে চলে আসি কিছু বোঝার আগেই।কারন আলোচনায় শর্ত ছিল কেউ কোনো অস্ত্র রাখবেনা কিন্তু ওরা বিশ্বাসঘাতকতা করলো। ওদের কাছে তারের রড়,খুঁটি,বড় পাথর আগে থেকেই মজুত ছিল। যার দ্বারা ওরা হঠাৎ আঘাত করে…!!
#যদিও_আমাদের_কাছে_কিছুই_ছিল_না… তবুও আমরা হার মানিনি। আমরা আমাদের হাতকে অস্ত্র বানাই এবং এক একজনের উপর প্রতিরোধ গড়ে তুলি এবং আঘাত করি। কিন্তু আফসোস আমরা আমাদের ২০ জন সাথীকে বাঁচাতে পারলাম না।তারা লড়তে লড়তে বীরগতি প্রাপ্ত হলো…
দেশরক্ষায় প্রতিটি জওয়ানকে আমার সেলাম…
লেখা পড়ে জানা গেল যে যার ছবি এখানে ব্যবহার করা হয়েছে তিনি একজন ভারতীয় সেনা যিনি যুদ্ধে ক্ষেত্রে চীনের আক্রমণের মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু যে ছবিটি ব্যবহার করে এই দাবি করা হয়েছে, সেই ছবিটি বেশ পুরুনো। ভারত-চীনের যুদ্ধের সাথে যার কোনো সম্পর্ক নেই।
ভাইরাল ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করার পর জনাতে পারি ছবিটি থাইল্যান্ডের সাথে সম্পর্কিত।
সিঙ্গাপুরের board.postjung.com নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে আমরা এই ছবিটি পাই। ওয়েবসাইটিতে যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তা হলো, স্পেশাল ফোর্সে যোগ দেওয়া সোজা কথা নয়। যে ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে তা এই স্পেশাল ফোর্সের প্রশিক্ষণের এক ব্যক্তির।
এই বিশেষ সেনা বাহিনীরা সাধারণত আলাদা হয় অন্য সেনাদের তুলনায়। এদের প্রশিক্ষন ব্যবস্থাও আলাদা হয় সেনাদের থেকে। নির্বাচিত বিশেষ বাহিনী সেনাদের উপর প্রশিক্ষণের নাম চলে অমানবিক অত্যাচার, পিঠে হাতে, পায়ে ও শরীরে অন্যান্য স্থানে এই ধরণের ভয়ানক ক্ষত হয়ে যায়। তাদের তারপর বরফের জলে চোবানো হয়। যে ওয়েবসাইটি আমরা পাই সেখানে লেখা আছে নিজেরদের সন্তানদের এই পাশবিক অত্যাচারের থেকে দূরে রাখুন। সেনা বাহিনীতে তাদের পাঠানোর আগে এই ঘটনা মনে করুন।
সেনাদের আগে থাকে এই বিশেষ বাহিনী যারা যেকোনো কিছুর বিনিময়ে দেশকে শত্রুদের হাত থেকে রক্ষা করবে। যারা এই বিশেষ প্রশিক্ষণ সহ্য করে যাবে তারা পরিচিত হবে স্পেশাল ফোর্স রূপে, আর অনেকে আছে যারা এই ট্রেনিংয়ে শারীরিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হয়, তারা বাদ পরে যায়।
এই বিশেষ প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত একটি ইউটুবের ভিডিও ও ফেসবুক পোস্ট আমরা পাই যেখানে এই বিশেষ বাহিনীর প্রশিক্ষনের নাম বর্বরতার নিদর্শন আমরা দেখতে পাই।
ব্যবহৃত টুলস:
- Google reverse image search
- Youtube search
- Facebook search
ফলাফল:অপ্রাসঙ্গিক Misplaced context
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। )
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.