চোর সন্দেহে যুবককে মারধরের ভিডিয়োটি উত্তরপ্রদেশের নয়, জানুন সম্পূর্ণ তথ্যটি

এক কিশোরকে হাত-পা বেঁধে মারধরের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে যে, সেটি উত্তরপ্রদেশের ভিডিয়ো এবং সেখানে চোর সন্দেহে এক হিন্দু যুবককে নির্মম ভাবে মারধর করেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যরা। 

Evidence: কীভাবে প্রমাণ মিলল?

সংবাদ প্রতিবেদন

• ২২ আগস্ট ২০২৫ তারিখে Dainik Bhaskar ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একই ফ্রেম-সহ প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেখান থেকে জানা যায়—কিষাণগঞ্জ জেলার বাহাদুরগঞ্জে লোহাগাড়া হাটের বাসিন্দা নুর আলমের ছেলে মাসুম রাজা (১৮)-কে চুরির অভিযোগে লাইট পোস্টে বেঁধে মারধর করা হয়েছে।

• একইদিনে Prabhat Khabar-এও ভিডিওটি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় এবং সেটিকে কিষাণগঞ্জের ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়।

পুলিশের প্রতিক্রিয়া

ভিডিওটি পোস্ট হওয়ার পর কিষাণগঞ্জ পুলিশ এক্স হ্যান্ডেলে রিপ্লাই দিয়ে জানায়, ঘটনাটি বাহাদুরগঞ্জ থানা এলাকায় ঘটেছে। মামলা নথিভুক্ত হয়েছে (কেস নম্বর 369/25) এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এফআইআর তথ্য

এফআইআরে উল্লেখ রয়েছে, প্রায় ১০-১৫ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। তাদের মধ্যে মোজাম, টাকি ও মহম্মদ ইজহার আসরাফের নাম রয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, কিশোরের নামে মিথ্যে চুরির অপবাদ দিয়ে, অভিযুক্তরা সারানদা গ্রামের একটি জনমানসহীন স্থানে তাকে তুলে নিয়ে যায়। তাকে ধর্ষণ করে এবং এরপর একটি লাইট পোস্টের সঙ্গে বেঁধে মারধর কর। কিশোরের মাথা-সহ সারা শরীরে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। 

থানার বক্তব্য

বাহাদুরগঞ্জ থানার অফিসার সন্দীপ Newschecker-কে জানান- ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। তিনি স্পষ্ট করেন যে, ঘটনাটির সঙ্গে কোনও জাতিগত বা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের যোগ নেই। নির্যাতিত কিশোর ও অভিযুক্তরা একই সম্প্রদায়ের।

Explainer: বিভ্রান্তির কারণ

• ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্তরপ্রদেশের বলে ছড়ানো হয়েছে।
  
• এর সঙ্গে জাতিগত বিদ্বেষের রঙ জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
  
• অথচ বাস্তবে এটি বিহারের স্থানীয় একটি অপরাধমূলক ঘটনা।
  

Verdict

ভাইরাল ভিডিয়োটি বিভ্রান্তিকর। এটি উত্তরপ্রদেশের নয়, বিহারের কিষাণগঞ্জ জেলার ঘটনা। নির্যাতিত কিশোর ও অভিযুক্তরা একই সম্প্রদায়ের।

FAQ Section
Q1. ভাইরাল ভিডিওটি কি উত্তরপ্রদেশের?
না। এটি বিহারের কিষাণগঞ্জ জেলার বাহাদুরগঞ্জ থানার এলাকায় ঘটেছে।
Q2. ভিডিওতে কাকে মারধর করা হয়েছে?
নুর আলমের ছেলে মাসুম রাজা নামে স্থানীয় এক ১৮ বছরের কিশোরকে।
Q3. অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
হ্যাঁ। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে (কেস নম্বর 369/25) এবং পুলিশ তদন্ত করছে।
Q4. ঘটনার সঙ্গে কি কোনো সাম্প্রদায়িক যোগ রয়েছে?
না। ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা একই সম্প্রদায়ের। পুলিশের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, এটি সম্পূর্ণ অপরাধমূলক ঘটনা।
Q5. ভিডিওটি কেন বিভ্রান্তিকর ভাবে ভাইরাল হলো?
পুরনো ভিডিওটিকে উত্তরপ্রদেশ ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতার দাবি দিয়ে ছড়ানো হয়েছে, যা ভুল।

Sources
Report- Dainik Bhaskar
Kishanganj Police X post
Telephonic Conversation With SHO Bahadurganj PS