Authors
Claim: বোরখা না পরায় বাংলাদেশে হিন্দু মহিলাদের এই ভাবে মারধর করা হচ্ছে।
Fact: ভাইরাল দাবিটি ভুয়ো। বোরখা না পরায় বাংলাদেশে হিন্দু মহিলাদের মারধর করা হয়নি।
সোশ্য়াল মিডিয়ায়তে একটি ভিডিয়ো ঘুরছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে একজন মহিলাকে তাড়া করছে এবং মারছে এক যুবক। ভিডিয়োটি ফেসবুকে পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে যে, বোরখা না পরায় বাংলাদেশে হিন্দু মহিলাদের এই ভাবে মারধর করা হচ্ছে।
Fact Check/ Verification
ভিডিয়োটির একটি কি-ফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায় যে, পয়লা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের সংবাদমাধ্য়ম Prothom Alo–র ওয়েবসাইটে একই ধরনের একটি ছবি সম্বলিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শ্য়ামলী এলাকায় যৌনকর্মীদের উপর চড়াও হয়েছিল এক যুবক। অভিযুক্তের নাম ছিল রাসেল সুলতান। মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ায়ে পড়েছিল ঘটনার ভিডিয়ো। পুলিশকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্য়বস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সোশ্য়াল ওয়েলফেয়ার দফতরের উপদেষ্টা শরমিন এস মুর্শিদ।
২৯ অগাস্ট খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল Dhaka Tribune-এর ওয়েবসাইটেও। ডাক্তার ফৌজিয়া মুসলিম, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রধান ঘটনার নিন্দা করেছিলেন এবং দোষীর উপযুক্ত শাস্তিও চেয়েছিলেন।
উপরে পাওয়া তথ্য থেকে, আমরা HM Russell Sultan-এর ফেসবুক অ্য়াকাউন্টটি খুঁজে পাই। যদিও সেখানে ভাইরাল ভিডিয়োটি দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে ২৯ অগাস্টের আরও একটি লাইভ ভিডিয়ো দেখতে পাওয়া যায়, যেখানে দোষী নিজের মুখেই স্বীকার করেছে যে, “শ্য়ামলী এলাকায় যৌনকর্মীদের মারধর করেছেন।”
এরপর নিউজ চেকারের তরফে সরাসরি এইচ এম রাসেল সুলতানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, “শ্যামলী স্কোয়য়ার এলাকায় আমার শ্বশুর বাড়ি এবং আমার স্ত্রী আগস্ট মাসে অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য মহিলাদের নিয়ে শ্যামলী চত্বর দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা যৌনকর্মীরা, আমাকে দেখে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত। যেটা আমার পরিবারের জন্য অস্বস্তিকর বিষয় ছিল। কয়েকদিন ধরে আমি ওঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু বোঝেনি। যৌনকর্মীদের সেখান থেকে চলে যেতেও বলেছিলাম, কিন্তু শোনেনি। তাই ২৯ অগাস্ট আমি কয়েকজনকে পাইপ দিয়ে মারধর করি।”
এরপর যখন ভাইরাল দাবিটি সম্পর্কে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তখন তিনি স্পষ্টভাবে জানান, “বোরখা না পরার জন্য তিনি কোনও হিন্দু মহিলাকে মারধর করিনি, তারা সকলেই যৌনকর্মী ছিল”।
Conclusion
সুতরাং এখন স্পষ্ট যে, ভাইরাল দাবিটি ভুয়ো। বোরখা না পরায় বাংলাদেশে হিন্দু মহিলাদের মারধর করা হয়নি।
Result: False
(বি: দ্র:- আমাদের উদ্দেশ্য, সত্যতা যাচাইয়ের জন্য় শুধুমাত্র ভাইরাল সাম্প্রদায়িক দাবিটিকে খণ্ডন করা। আমরা কোনওভাবেই উক্ত ব্যক্তির আচরণকে সমর্থন করি না।)
Sources
Our Sources
Article Published by prathamalo on 1st sep 2024
Article Published by dhaka tribune on 4th sep 2024
Video streamed HM Rusel Sultan facebook account on 29th Aug 2024
Telephonic Conversation with HM Rusel Sultan
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।