Authors
Claim: বিজেপি নেতা হয়েও বিজেপিকে হটানোর ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
Fact: ভিডিয়োটি পুরনো। যখন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে ছিলেন ভাইরাল ভিডিয়োটি সেই সময়ের।
১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে লোকসভা ভোট। ৪ জুন ভোট গণনা। জোরকদমের প্রচার শুরু করে দিয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রবল আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাদের।
এবার সেই শুভেন্দু অধিকারীরই একটি ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যেখানে মঞ্চের উপর থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে বিজেপি হটানোর ডাক দিতে শোনা যাচ্ছে। ক্লিপটি ফেসবুকে পোস্ট করে একজন লিখেছেন, “সত্য একদিন এভাবেই সামনে আসবে। বিজেপি হচাও দেশ বাঁচাও। এবার মীরজাফর বলছে”।
Fact Check/ Verification
ভাইরাল ক্লিপের একটি কিফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে আমরা দেখতে পাই, ২০২০ সালের পয়লা ডিসেম্বর ওই ভাইরাল ক্লিপের একটি বড় সংস্করণ ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন Santu Sona Chakraborty নামের এক ব্যক্তি। ৩০ মিনিট ২৯ সেকেন্ড দীর্ঘ ওই ভিডিয়োর ২৬ সেকেন্ডে শুভেন্দু অধিকারীকে মঞ্চ থেকে ‘বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও’-এর স্লোগান দিতে শোনা যায়। একই ভিডিয়োর ১ মিনিট সময়ে তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, “২৯ তারিখ কিছু বাহারি এসেছিলেন। বাংলা বলতে জানে না, বাংলা পড়তে জানে না, বাংলা লিখতে জানে না। বাংলায় কথা বলতে জানে না। তাঁরা এখানে এসেছিলেন।” অর্থাৎ এখান থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায়, শুভেন্দু অধিকারী মুখ থেকে বিজেপিকে হটানোর স্লোগান দেওয়া ভিডিয়োটি পুরনো, সাম্প্রতিক নয়।
এছাড়া ওই ভিডিয়োর শুরুতেই শুভেন্দু অধিকারীকে পরিবহন মন্ত্রী, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বলে সম্মোধন করতে শোনা যায় সঞ্চালককে।
ভিডিয়োটি আসলে কবেকার?
এরপর আরও তদন্ত করলে একই ভিডিয়ো খুঁজে পাওয়া যায় শুভেন্দু অধিকারীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও। ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভিডিয়োটি সেখানে পোস্ট করা হয়েছিল। ওই পোস্টের বিবরণে লেখা ছিল, “কাঁথি রেলস্টেশন সংলগ্ন মাঠে কেন্দ্রের দুর্নীতিগ্রস্থ সাম্প্রদায়িক ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী বি.জে.পি সরকারের পতনের দাবিতে বিশাল জনসভা থেকে সরাসরি।”
বিজেপিতে শুভেন্দু
২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর, অর্থাৎ ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে, মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার আগে তৃণমূলের সমস্ত দলী পদ ও রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি।
Result: Missing Context
Conclusion
ফলে এখন এটা স্পষ্ট করে বলা যায় যে, বিজেপি নেতা হিসেবে বিজেপিকে হটানোর ডাক দেননি রাজ্যর বিরোধী দলনেতা। তিনি যখন তৃণমূলে ছিলেন ভাইরাল ভিডিয়োটি সেই সময়ের।
Sources:
Video posted By Suvendu Adhikari
Newschecker’s own investigation