Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাইদের কর্ম জীবন নিয়ে একটি বার্তা। বলা হয়েছে বাংলার রাজনীতিতে মমতা ব্যানার্জীর পরিবার নিয়ে অনেকে অনেক মন্তব্য করেন। এবার জানার পালা প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের লোকজন কিভাবে করে খাচ্ছে। নিচে আমরা সেই ভাইরাল বার্তাটি দিলাম।
শুধু ব্যানার্জী পরিবার নয়, মোদী পরিবার কিভাবে করে কম্মে খাচ্ছে একবার দেখুন। এ সম্পর্কে খুব একটা প্রচার কিন্তু নেই:
————————————
১) সোমাভাই মোদী: ইনি অবসরপ্রাপ্ত হেল্থ অফিসার। বর্তমানে গুজরাট রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান। বয়স: ৭৫।
২) অমৃতভাই মোদী: আগে একটি প্রাইভেট সংস্থায় কাজ করতেন। এখন আমেদাবাদ ও গান্ধীনগরের সবচে বড় রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। বয়স: ৭২।
৩) প্রহ্লাদ মোদী: একটি রেশনের দোকান ছিল। এখন আমেদাবাদ ও ভদোদরায় হুন্ডাই, মারুতি ও হোন্ডার শোরুমের মালিক। বয়স: ৬৪।
৪) পঙ্কজ মোদী: তথ্য দপ্তরে কাজ করতেন, এখন গুজরাট রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সহ-সভাপতি। বয়স: ৫৮।
৫) ভোগীলাল মোদী: একটি মুদীখানার মালিক আজ আমেদাবাদ, সুরাট ও ভদোদরার রিলায়েন্স মলের মালিক। বয়স: ৬৭।
৬) অরবিন্দ মোদী: ছিলেন স্ক্র্যাপ মাল বিক্রেতা। এখন স্টীল, রিয়েল এস্টেট ও কনসট্রাকসন কোম্পানীর মালিক। বয়স: ৬৪।
৭) ভরত মোদী: কাজ করত একটা পেট্রোল পাম্পে। এখন আমেদাবাদে একটা পেট্রোল পাম্পের মালিক। বয়স: ৫৫।
৮) অশোক মোদী: একটি মুদী ও ঘুড়ির দোকানের সামান্য মালিক থেকে রিলায়েন্স মলের অংশীদার। বয়স: ৫১।
৯) চন্দ্রকান্ত মোদী: একটি ‘গোশালা’র কর্মী থেকে আমেদাবাদ ও গান্ধীনগরে নয়টি বৃহৎ ডেয়ারী প্রোডাকশন সেন্টারের মালিক। বয়স: ৪৮।
১০) রমেশ মোদী: একজন স্কুল শিক্ষক আজ ৫ টি স্কুল, ৩ টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি ও মেডিকেল কলেজের মালিক। বয়স: ৫৭।
১১) ভার্গব মোদী: যার টিউশনি করে দিন কাটত আজ সে রমেশ মোদী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্যতম অংশীদার।বয়স:৪৪।
১২) বিপিন মোদী: আমেদাবাদ লাইব্রেরীতে সামান্য কাজ করত। আজ প্রকাশনা সংস্থার মালিক। ঐ সংস্থা থেকেই কেজি থেকে ১২ ক্লাস পর্যন্ত সব স্কুল বই প্রকাশনার দায়িত্বে।বয়স: ৪২।
এদের পরিচয়:
১-৪ নরেন্দ্র মোদীর ভাই।
৫-৯ মোদীর ভাইপো / ভাতিজা।
১০ জগজীবন মোদী, কাকা, তার ছেলে।
১১-১২ জয়ন্তীলাল মোদী, কনিষ্ঠতম কাকা, তার ছেলে।
Fact check / Verification
প্রধানমন্ত্রীর ভাইদের নিয়ে যে পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে তা সঠিক নয়। গুগলে এই লিস্টে দেওয়া মোদীর ভাইদের নাম নিয়ে খোঁজার পর সম্পূর্ণ তথ্য আমরা পাই। ModiNama, The Lallantop ও India Today
১. সোমাভাই মোদী– ৭৫ বছরের সোমাভাই মোদী যিনি ভাদনগরে একটি বৃদ্ধাশ্রম চালান। ২০১৫ সালে পুনের একটি এনজিও থেকে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে জন সমক্ষে জানান যে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বড়ো দাদা।
২. অমৃতভাই মোদী– ৭২ বছর বয়সী অমৃতভাই মোদী যিনি গুজরাটে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। জানা যায় তিনি বর্তমানে আহমেদাবাদের ঘটলোদিয়াতে একটি চার কামরার ঘরে তার ছেলে সঞ্জয় তার স্ত্রী তাদের দুই ছেলে মেয়ের সাথে থাকেন। ২০০৫ সালে তিনি শুধুমাত্র ১০,০০০ টাকা মাইনে পান।
৩. প্রহ্লাদ মোদী– ৬৬ বছরের প্রহ্লাদ মোদীর রেশনের দোকান আছে এবং তিনি গুজরাটের রেশন দোকানের অ্যসোসিয়েশনের প্রধান। মোদী যখন গুজরাটের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি তখন গুজরাটের রেশন দোকানে লুটতরাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন, প্রহ্লাদ মোদী তখন নরেন্দ্র মোদীর এই সিদ্ধান্তের সমালোচক ছিলেন।
৪) পঙ্কজ মোদী: মোদীর ভাইদের মধ্যে একজন হলেন পঙ্কজ মোদী যিনি গুজরাটের তথ্য বিভাগে কর্মরত। সব ভাইদের মধ্যে পঙ্কজই মোদীর সাথে দেখা করতে পারেন কারণ তিনি ওনাদের মা হীরাবেনের সাথে থাকেন।
৫) অশোক মোদী: খুড়তুতো ভাই অশোক মোদী একটি ঠেলা গাড়িতে করে ঘুড়ি, খেলনা, বাজি ও কিছু খাবারের সামগ্রী বিক্রি করতেন। কিছু বছর পর তিনি একটি ৮X ৪ ছোট দোকান ভাড়া করেন এবং একেই সামগ্রী সেখানে বিক্রি করেন। উনি ও ওনার স্ত্রী বিনা সপ্তাহে এক জৈন ব্যবসায়ীর দ্বারা গরিব বাচ্চাদের খাওয়ানোর কাজে থাকেন।উনি খাবার রান্না করেন ওনার স্ত্রী বাসন ধোয়ার কাজ করেন।
৬) ভরত মোদী: অশোক মোদীর দাদা ভরত মোদী লালওয়ারার কাছে একই পেট্রল পাম্পে কাজ করেন।মাসিক আয় মাত্র ৬০০০ টাকা। ভাদনগরে উনি ওনার বাড়িতে ১০দিন পর পর আসেন যেখানে ওনার স্ত্রী খাবার,দৈনন্দিন জিনিস বিক্রি করেন।
৭) চন্দ্রকান্ত মোদী: আহমেদাবাদের একটি সেবাপ্রতিষ্ঠানে গৌশালাতে কাজ করেন।
৮)অরবিন্দ মোদী: ভাঙাচোরা তেলের টিন, বাতিল হয়ে যাওয়া জিনিসপত্র বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেনেন।
৯)ভোগীলাল মোদী: ভাদনগরে একটি মুদিখানা দোকান চালান ভোগিলাল মোদী।
Conclusion
প্রধানমন্ত্রীর ভাইদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়ালো ভুল তথ্য। কঠিন জীবনসংগ্রামে লিপ্ত নরেন্দ্র মোদীর ভাইদের সঠিক তথ্য আমাদের এই প্রতিবেদনে পান।
Result – Fake
Our sources
India Today – https://www.indiatoday.in/magazine/news-makers/story/20170109-narendra-modi-extended-family-gujarat-brothers-830102-2016-12-29
Modinama –https://www.facebook.com/ModiNama1/photos/a.1384357931606324/1714657588576355/
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন ।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.