Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: checkthis@newschecker.in
Fact Check
দাবি
সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্প্রতি দুটি পোস্ট বেশ ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল পোস্টদুটি দিলীপ ঘোষ ও কৈলাশ বিজয়বর্গীকে নিয়ে। করোনার এই ভয়াবহ পরিস্থিতে বাঙালিদের উদ্দেশ্যে বাংলার বিজেপির সভাপতি ও পর্যবেক্ষক নেতা বাঙালিদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে কটূ মন্তব্য করেছেন।
প্রথম দাবি
ফেসবুক জুড়ে শেয়ার হয়েছে দিলীপ ঘোষের একটি উক্তি যেখানে তিনি বলেছেন যে- বাঙালিদের বাড়িতে যতই খাবার থাকুক না কেন তারা খাবার নেই নেই বলে চিৎকার করবে। ৪.৪কে শেয়ার হয়েছে এই পোস্টটি। নিচে পোস্টটির লিংক দেওয়া হলো।
দ্বিতীয় দাবি: রাজ্যের বিজেপি পর্যবেক্ষক নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গী সমগ্র বাঙালি জাতিকে উদ্দেশ্যে করে বলেছেন যে বাঙালিকে যতই খাবার দাও না কেন, খাবার পাইনি বলে সারাদিন কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করবে।
বিশ্লেষণ
বাঙালি খাদ্যরসিক প্রাণী নামে সারা বিশ্বে পরিচিত। সেই পরিচিতি নিয়ে এই ধরণের নক্কার জনক মন্তব্য ফেসবুক জুড়ে ঝড় তুলেছে। কিন্তু ফেসবুকে ভাইরাল এই পোস্ট গুলি কত খানি সত্য? সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এই পোস্টের বিরুদ্ধে যদিও ইতিমধ্যে বিরোধী দল গুলি একে অপরের দিকে কাদা ছোঁড়াছুড়ি শুরু করে দিয়েছে।
প্রথমে আমরা দিলীপ ঘোষের নাম করে যে পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে তার বাস্তবতা কতটা তা জানার চেষ্টা করি। এই পোস্টে যে ছবিটি দেওয়া হয়েছে তার Google reverse Image search করলে ‘দিলীপ ঘোষ পুনরায় বাংলায় বিজেপির সভাপতি’ এই একটি লেখা আমাদের সামনে আসে। এই সংক্রান্ত তথ্য পেতে আমরা ইউটুবে দিলীপ ঘোষের পুনরায় সভাপতি নিযুক্ত হওয়ার সময় কালের সব কনফারেন্সের ভিডিও গুলি খুঁজতে থাকি। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের একটি প্রেস কনফারেন্সের ভিডিও আমরা পাই । এখানে দিলীপ ঘোষ ও আরও অন্যান্য বিজেপি কর্মীগণ নভেম্বর মাসে একটি প্রেস কনফারেন্সের দ্বারা ডেঙ্গু কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় তাই নিয়ে তিনি তার মতামত জানাচ্ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য মন্ত্রী ও মেয়রকে যদিও এই কনফারেন্সে এক হাত নিয়েছেন। তার মতে কলকাতায় তৃণমূলের যত বড় বড় নেতা মন্ত্রীরা আছেন তাদের বাড়ির, অফিসের আশপাশ সমসময় পরিষ্কার রাখেন। কোথাও জল জমতে দেন না, মশা হবে কোথা থেকে। কিন্তু সব স্থানে এই ধরণের পরিষেবা নেই। তাই ফি বছর বাংলার সাধারণ মানুষেরা ডেঙ্গুর মতো রোগের কবলে পরে।
এই পোস্টটিতে যে কথাটি লেখা আছে তার সময়কাল হলো এখন অর্থাৎ করোনার ফলে রাজ্যের প্রতিটা জায়গার দোকান,বাজার বন্ধ করে রাখা হয়েছে যাতে বাজারে যাওয়ার মানে লোকজন বেশি ভিড় জমাতে না পারে। যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান বাজার খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দিলীপ ঘোষের কোনো প্রেস কনফারেন্স বা কোনো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে এই ধরণের কোনো উক্তির কোনো প্রমান আমরা পাইনি। অর্থাৎ এই পোস্টটি মিথ্যা।
দ্বিতীয় পোস্টটির ছবিও আমরা আগের মতো Google Reverse Image Search করি এবং সিএএ নিয়ে বাংলায় কৈলাশ বিজয়বর্গীর ভিডিও আমরা পাই।
নিউস ১৮ বাংলার একটি ভিডিও আমরা পাই। যেখানে তিনি বাংলায় বিজেপির সক্রিয় বিরোধী দল তৃণমূল কে সিএএ নিয়ে আক্রমণ করেন। বাংলার বিজেপির পর্যবেক্ষক নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গী মমতা ব্যানার্জীর উদ্দেশ্যে বলেন যে বামফ্রন্টের আমলে তিনি সিএএ নিয়ে নিজের ইতিবাচক মতামত দিলে এখন কেন এর বিরোধিতা করছেন? তিনি শুধু মাত্র এই সিএএ নিয়ে রাজনীতি করে চলেছেন।
১২ই ডিসেম্বর ২০১৯ সালে এই ভিডিওটি আপলোড হয় যার সাথে করোনার কোনো যোগাযোগ নেই। অর্থাৎ এই পোস্টটির ও কোনো বাস্তবতা নেই।
আমাদের অনুসন্ধানের থেকে প্রাপ্ত সমস্ত প্রমান গুলি কে ভালো করে যাচাই করার পর আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে উপরিক্ত দুটি পোস্ট মিথ্যা। এই পোস্টগুলি বাস্তববর্জিত।
ব্যবহৃত টুলস
ফলাফল: মিথ্যা Fake
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে)
Paromita Das
October 27, 2021
Paromita Das
September 20, 2021
Paromita Das
August 6, 2020