Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ পাওয়ার আবহে ফেসবুক ও টুইটারে একটি মসজিদের ওজুখানার ফোয়ারা ছবি ছড়িয়েছে যাকে জ্ঞানবাপীর ওজুখানা বলে দাবি করা হচ্ছে। ফেসবুকে সাপ্তাহিক মীযান নামের একটি অনলাইন পত্রিকা এই ছবিটিকে পোস্ট করে দাবি করেছে ভাইরাল ছবিতে জলের মাঝখানে যে স্তম্ভকে দেখা যাচ্ছে তাকেই জ্ঞানবাপীর মসজিদের শিবলিঙ্গ বলে উল্লেখ করেছে হিন্দুপক্ষের আইনজীবীরা।
টুইটারেও একই দাবি সমেত এই ফোয়ারার ছবিটি ভাইরাল হয়েছে। এখানে টুইটারের কিছু পোস্ট দেখা যেতে পারে।
বারাণসীর কাশি বিশ্বনাথ ধামের পাশে অবস্থিত জ্ঞানবাপী মসজিদকে (Gyanvapi Mosque) নিয়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে। গতবছর বারাণসীর পাঁচ মহিলা এই মসজিদে মন্দিরের কিছু অংশ দেখতে পেয়ে পুজো করার দাবিতে কোর্ট কেস করে এবং তারপর আসল সত্য কি জানার জন্য বারাণসী আদালতে আবেদন জানায় এবং তারপর থেকেই ঘটনার মোড় পুরো ঘুরে যায়। ১৬ই মে হিন্দুত্ববাদী পক্ষের আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন এবং ওনার সহকারীরা মসজিদের ভেতর ঘুরে দেখার পর দাবি করেন মসজিদের ওযুখানার কুয়োতে রয়েছে শিবের লিঙ্গ। যদিও এই নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসেনি সুপ্রিমকোর্ট। ওযুখানার কুয়োর পাথরের স্তম্ভ যাকে হিন্দু দেবতা শিবের লিঙ্গ বলে দাবি করা হচ্ছে সেই আবহে হিন্দু ও মুসলিম দুই ধর্মের মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে তাদের নিজস্ব মতামত শেয়ার করে চলেছেন।
Fact check / Verification
জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ পাওয়ার আবহে জ্ঞানবাপী ফোয়ারার দাবিতে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে তার সত্যতা জানার জন্য আমরা প্রথমে ছবিটির রিভার্স ইমেজ করি। এই পর্যায়ে আমরা mosque ablution pool area লেখাটি আমরা দেখি এবং সাথে কিছু লিংক পাই যেখানে কলকাতার নাখোদা মসজিদের নাম দেখি।
Wikiwand নামের একটি ওয়েবসাইট পাই যেখানে জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) ওযুখানার ফোয়ারা বলে দাবি করা হচ্ছে তা কলকাতার নাখোদা মসজিদের (Nakhoda Masjid) বলা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ফোয়ারা যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সেই একই ছবি এখানেও রয়েছে।
যেহেতু ছবিটি আমরা Wikiwand থেকে পেয়েছি এবং এই ওয়েবসাইটিকে খুব সহজেই যে কেউ সম্পাদিত করতে পারে তাই আমরা আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য নাখোদা মসজিদের ওযুখানার ছবি খুঁজি। এই পর্যায়ে আমরা পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে নাখোদা মসজিদের ছবি পাই। মধ্য কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা চিৎপুরের বড়বাজারে অবস্থিত কলকাতার অন্যতম সেরা মসজিদ নাখোদা। আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে জাকারিয়া স্ট্রিট ও রবীন্দ্রসরণীর ঠিক মধ্যস্থলে ১৯২৬ সাল থেকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে গুজরাটের কচ্ছের বাসিন্দা আবদার রহিম ওসমানের নির্মিত নাখোদা মসজিদ। বলা হয় এই মসজিদে নাকি এক সঙ্গে প্রায় ১০ হাজার নামাজী প্রার্থনা করতে পারেন। শুধু মাত্র মুসলিমদের জন্য নয়, অন্য ধর্মের মানুষদের জন্যও এই নাখোদা মসজিদ একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র।
পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন ওয়েবসাইটে আমরা নাখোদা মসজিদের বিভিন্ন অংশের ছবি পাই যেখানে ওযুখানার ছবিও রয়েছে। এই ওযুখানার ছবির সাথে আমরা মিল পাই সোশ্যাল মিডিয়াতে জ্ঞানবাপীর ওযুখানার নাম ছড়ানো ছবিটির। ভাইরাল ছবিটি দেখে মনে হতে পারে ফোয়ারাটি জলাশয়ের কোনাকুনি করে বোসনি, কিন্তু না। উক্ত ছবিটি তোলা হয়েছে উপরের ছাদ থেকে তাই ছাদের কার্নিদের কিছু অংশও এখানে দেখা যাচ্ছে।
এর আগেও আমরা এই ধরণের একটি ফোয়ারার ছবির সত্যতা যাচাই করেছি যা জ্ঞানবাপী মসজিদের আবহে ভাইরাল হয়েছিল
জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ পাওয়ার আবহে ভাইরাল নাখোদা মসজিদের ফোয়ারার ছবি
রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট ছাড়াও আমরা Xmart Explorar নামেরে একটি ইউটুউব চ্যানেল থেকেই ২০১৯ সালের ১৯শে মে আপলোড করা নাখোদা মসজিদকে নিয়ে করা একটি ভিডিও পাই। ভিডিওটিতে ৪ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের মাথায় এই মসজিদের ওযুখানার দৃশ্যটি রয়েছে যার সাথে মিল রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল ছবিটির।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ পাওয়ার আবহে যে ওযুখানার ফোয়ারার ছবিটি ছড়িয়েছে তা কলকাতার নাখোদা মসজিদের। জ্ঞানবাপী মসজিদের ওযুখানার কুয়োতে পাওয়া স্তম্ভকে হিন্দু পক্ষ দাবি করেছেন অতি শিবলিঙ্গ এবং এই দাবির সাথে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়ালো নাখোদা মসজিদের ওযুখানার ফোয়ারার ছবি যার জ্ঞানবাপী মসজিদের ঘটনার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।
Result: False context / False
Our sources
Nakhoda Masjid’s images from DEPARTMENT OF TOURISM GOVERNMENT OF WEST BENGAL website
Images from Wikiwand
YouTube video published on 19th May 2019
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.