Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: checkthis@newschecker.in
Fact Check
ওসমান হাদির হত্যায় অভিযুক্তদের এবং শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদে, বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করেছে জনতা।
ভাইরাল ভিডিয়োটি সাম্প্রতিক না, ২০২২ সালের। সেটির সঙ্গে শরিফ ওসমান হাদির মৃত্য়ু এবং তার পরবর্তী বিক্ষোভের কোনও সম্পর্ক নেই।
গত ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি। সিঙ্গাপুরে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৮ ডিসেম্বর হাসপাতালে তাঁর মৃত্য হয়। আর এরপর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। মিটিং, মিছিলের পাশাপাশি, দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে অফিস ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় প্রতিবাদীরা। সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠান ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে পড়েছে একটি বিশাল মিছিল ও জমায়েতের ভিডিয়ো। যা পোস্ট করে অনেকেই দাবি করেছেন যে, ওসমান হাদির হত্যায় অভিযুক্তদের এবং শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার প্রতিবাদে, বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করেছে জনতা। (আর্কাইভ লিঙ্ক)

Evidence
ভাইরাল ভিডিয়োর শুরুতেই মিছিলের যে ফ্রেমটি দেখতে পাওয়া যায়, সেটার রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায় যে, suel1002 নামের একটি টিকটক অ্যাকাউন্টে একই দাবি-সহ ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছিল। তবে, সেই ভিডিয়োতে প্রতিবাদীদের হাতে যে বড় ফ্লেক্সটি দেখতে পাওয়া যায়, সেটার নীচের দিকে ইংরেজিতে লেখা ছিল ‘June’ এবং ‘Islami Andolon Bangladesh’।

এরপর, সেই সূত্র ধরে সার্চ করলে দেখা যায়, ২০২২ সালের ১৬ জুন, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম AP News-এর ওয়েবসাইটে, একই ধরনের ছবি-সহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ইংরেজিতে যার শিরোনাম ছিল, ‘Thousands march in Bangladesh over comments about Islam’। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, বিজেপির দুই নেতার দ্বারা, মহম্মদ পয়গম্বর সম্পর্কে কুমন্তব্য করার প্রতিবাদে সেই বিক্ষোভ মিছিল হয়েছিল। ‘Islami Andolon Bangladesh’ সংগঠনের হাজার হাজার সদস্য, বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের উদ্দেশে মিছিল করেছিল। ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন প্রতিবাদীরা।

এছাড়া, AP News-এর প্রতিবেদনে প্রকাশিত ছবির সঙ্গে ভাইরাল ভিডিয়োর ফ্রেমের একাধিক মিল পাওয়া যায়। দুটো ছবিতেই, বিভিন্ন বাড়ি এবং মিছিলের অগ্রভাগে থাকা মানুষের অবস্থানের মিল পাওয়া যায়।

The Business Standard ও The Daily Star-এর মতো বাংলাদেশের অন্যান্য সংবাদমাধ্যম ওই সময়, একই ছবি ও তথ্য-সহ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
প্রসঙ্গত, শরিফ ওসমান হাদির মৃত্য়ুর পর থেকে সমগ্র বাংলাদেশে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তার আঁচ পড়েছে চট্টগ্রামে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনের বাসভবনে। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হটায়। এই পরিস্থিতিতে গুলশানে ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়।
Verdict
এখান থেকে স্পষ্ট যে, ভাইরাল ভিডিয়োটি সাম্প্রতিক না, ২০২২ সালের। সেটির সঙ্গে শরিফ ওসমান হাদির মৃত্য়ু এবং তার পরবর্তী বিক্ষোভের কোনও সম্পর্ক নেই।
Sources
Tiktok post by suel1002
Report by AP News
Runjay Kumar
December 16, 2025
Tanujit Das
December 6, 2025
Runjay Kumar
November 29, 2025