Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
Claim – মানসিক চাপ কত বেশি বা কম তা বুঝতে সাহায্য করবে এই ছবি
Fact – এই ছবিটির সাথে মানসিক চাপ উপলব্ধি করার কোনো সম্পর্ক নেই, যিনি ছবিটি এঁকেছেন তিনি দাবি করেছেন এই ছবিটি শুধু মাত্র একটি দৃষ্টিভ্রম বা Optical Illusion ছবি
ফেসবুকে একটি দৃষ্টিভ্রমের ছবির সাথে দাবি করা হচ্ছে এই ছবিটির দিকে তাকিয়ে থাকলে মানসিক চাপ বোঝা যাবে। যখন তাকিয়ে থাকবেন তখন যদি ছবিটি নড়াচড়া না করে তাহলে বুঝতে হবে আপনি শান্ত, যদি ছবিটি আস্তে আস্তে ঘুরতে থাকে তাহলে অল্প চাপ আছে এবং যদি বেশি জোরে ঘোরে তাহলে জানতে হবে আপনি যথেষ্ট মানসিক চাপের মধ্যে আছেন।
নানা রকম রঙের উপর কালো রং দিয়ে ডিজাইন করা এই ছবিটির তাকালে মনে হবে ছবিটি নিজে থেকেই চলছে। ছবিটির সাথে বলা হয়েছে ছবিটি একজন একজন জাপানিজ স্নায়ুবিদ তৈরী করেছেন।
Fact check / Verification
দৃষ্টিভ্রমের এই ছবিটির দিকে তাকিয়ে থাকলে মানসিক চাপ বোঝা যাবে এই দাবিটি ভুল।
গুগলে ‘Optical illusion stress level’ কথাটি লিখে খোঁজার পর NDTV, BBC ও Reuters এর লিংক পাই।
NDTV র ৯ই জানুয়ারি ২০১৯ সালে একটি রিপোর্ট পাই এই ছবিটিকে নিয়ে। রিপোর্টে বলা হয়েছে জাপানের স্নায়ুবিদ ইয়ামামোটো হাসিমা এই ছবিটির শ্রষ্টা, ছবিটির দেখলে যদি ছবিটির স্থির থাকে তার মানে কোনো মানসিক চাপ নেই আর চলতে শুরু করলে বুঝতে হবে আপনি মানসিক চাপের মধ্যে আছেন। এমনও বলা হয়েছে যদি ছবিটি দ্রুত ঘোরে তাহলে জানবেন আপনার মানসিক স্থিতি ভালো নয়।
এখানে এটি ইনস্টাগ্রামের পোস্ট পাই, Yurii Perepadia নামের যিনি আসলে এই দৃষ্টিভ্রমের ছবিটিকে বানিয়েছেন। ২০১৮ সালের ১৯শে নভেম্বর নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এই ছবিটি পোস্ট করে তিনি লেখেন ২০১৬ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর তিনি এই Optical Illusion ছবিটি বানিয়েছিলেন। এটি বানাতে তিনি আকিওশি কীটাওকা ধরণ ব্যবহার করেন। ছবিতে সাদা ও কালো রঙের দাগের কারণে যিনি ছবিটিকে দেখছেন তিনি ভাবেন ছবিটি সচল, আসলে তেমন কোনো কিছুই না। তিনি আরো জানিয়েছেন জাপানের স্নায়ুবিদ ইয়ামামোটো হাসিমাকোনো ব্যক্তি আছেন কিনা তিনি জানেন না।
BBC ২০১৮ সালের ২২শে নভেম্বরের রিপোর্টে শিল্পী ইউরির মন্তব্য ছাপা হয়েছে। ৫০ বছরের ইউক্রেনের শিল্পী BBCকে জানিয়েছেন প্রথমে তিনি ফেসবুকে ছবিটি দেখেন যেখানে তিনি জাপানের স্নায়ুবিদের কথাটি পড়েন। পরে সেটি সর্বত্র ছড়িয়ে যায়। তিনি পোস্টকারীকে ব্যক্তিগত ভাবে জানান এবং কপিরাইট করার চেষ্টা করেন। তবুও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এরপর তিনি নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে ছবিটিকে পোস্ট করে আসল তথ্য দেন এবং ধীরে ধীরে সেটি জনসমক্ষে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা বোঝে এটি বিভ্রান্তিকর দাবি ছাড়া কিছুই নয়।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে ফেসবুকে দৃষ্টিভ্রমের ছবির সাথে দাবি এই ছবিটির দিকে তাকিয়ে থাকলে মানসিক চাপ বোঝা যাবে আসলে ভুল। ছবিটির শিল্পী নিজে জানিয়েছেন এই ছবিটির সাথে মানসিক চাপ জানতে পারার কোনো সম্পর্ক নেই।
Result – False
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.