Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
সোশ্যাল মিডিয়াতে ইদানিং পাকিস্তানের মসজিদের নামে কিছু পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। পোস্টটি শেয়ার করে বলা হয়েছে পাকিস্তানের এক মসজিদে ভয়াবহ আগুন লাগার কারণে মৃত্যু হয়েছে অনেক মুসলিম ভাইদের। পোস্টটিতে দুটি ছবি দেখা যাচ্ছে, একটিতে আগুনে ভস্মীভূত মসজিদের ছবি এবং অন্য ছবিটিতে সাদা কাপড় পড়া কিছু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ পর পর শয্যাশায়ী।
এই ঘটনার নামে ফেসবুকে শেয়ার হওয়া কিছু পোস্টের অংশ দেওয়া হলো –
Fact -check / Verification
পাকিস্তানের মসজিদে আগুনের ফলে মৃত্যুর নামে ভাইরাল পোস্টে যে দুটি ছবি দেওয়া হয়েছে তার সথে পাকিস্তানের কোনো ঘটনার কোনো সম্পর্করই নেই, কারণ ছবি দুটি ভারতের।
আগুনে পোড়া মসজিদের ছবিটি কাশ্মীরের শ্রীনগরের।রিভার্স ইমেজ সার্চ করার পর কিছু লিংক আমাদের সামনে আসে, সেখানে pulitzercenter.com এ কাশ্মীরের দস্তগীর শাহিব মসজিদে আগুন লাগা সংক্রান্ত একটি রিপোর্টে ভাইরাল পোস্টের ছবিটি আমরা পাই। ২০১২সালের এই রিপোর্টে ছবিটির নিচে লেখা রয়েছে এই ঘটনাটি ঘটেছে ২০১২ সালের জুন মাসে। কীওয়ার্ড দিয়ে খোঁজার পর Times of India র রিপোর্ট পাই যেটি ২৬শে জুন ২০১২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। রিপোর্ট অনুসারে জুনে শ্রীনগরের খান্যারের প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো পীর দস্তগীর শাহিব প্রার্থনালয়ের কাঠের গম্বুজে শর্ট-সার্কিটের জন্য আগুন লাগে এবং কিছুক্ষনের মধ্যেই সম্পূর্ণ মসজিদটি আগুনের গ্রাসে চলে আসে।
NDTV র তরফ থেকে পাওয়া এই ঘটনার একটি সংবাদে বলা হয়েছে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা শতাব্দী প্রাচীন ও জনপ্রিয় এই মসজিদে আগুন লাগার কারণে ধর্মঘটের ডাক দেয়। জানা যায় ধর্মঘটের জন্য স্কুল, কলেজ, সরকারি ও বেসরকারি সমস্ত অফিস প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয় ছবিটি সিএএ -এনআরসি কেন্দ্রিক কারণ সাদা কাপড়ে ঢাকা মুসলিম ব্যক্তিদের একজনের বুকের কাছে একটি কাগজে CAA-NRC কথাটি লেখা রয়েছে। এই ছবিটি ২০২০ সালের Delhi riot এর আবহে ভাইরাল হয়েছিল।
ইউটুবে একটি ভিডিও পাই যেখানে এই ছবিটি আমরা পাই, ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছে ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ সালে। ভিডিওটির শীর্ষকটিকে আমরা গুগলে খোঁজার ফলে ফেসবুকের India Against CAA & NRC নামের পেজ থেকে এই ছবিটি উপলোড করা হয়েছে। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের বলে বলা হয়েছে।
আমরা গুগল থেকে পাকিস্তানে ২০২১ সালে মসজিদে আগুন লাগার তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য খবর পাইনি।
অর্থাৎ উপরোক্ত সমস্ত তথ্যগুলো অনুসারে পাকিস্তানের মসজিদে আগুন লাগার ঘটনার নামে যে দুটি ছবি ছড়িয়েছে তার মধ্যে একটি কাশ্মীরের ২০১২সালের পীর দস্তগীর মসজিদের ঘটনা ও অন্য ছবিটি ২০২০ সালে ঔরঙ্গাবাদের CAA & NRC প্রতিবাদ সভার।
Conclusion
সোশ্যাল মিডিয়াতে পাকিস্তানের মসজিদে অগ্নিসংযোগের ফলে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া মসজিদের নামে যে দুটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে তা পাকিস্তানের নয়। ২০১২ সালে শ্রীনগরের প্রায় ২০০ বছরেরও পুরোনো পীর দস্তগীর শাহিব প্রার্থনাগৃহে আগুন লাগার ছবি হলো প্রথমটি এবং দ্বিতীয় ছবিটি মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের ২০২০ সালের CAA & NRC বিলের বিরোধিতায় আয়োজিত সাদা কাফন পরে সারি দিয়ে শুয়ে থাকা মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের।
Result – Misplaced context
Our sources
Times of India- https://www.ndtv.com/srinagar-news/kashmir-tense-a-day-after-fire-destroyed-dastgeer-sahib-sufi-shrine-489858
pulitzercenter.com- https://pulitzercenter.org/stories/kashmir-sufi-salafi
YouTube video – https://youtu.be/YICWrBUVKDc
Facebook post- https://www.facebook.com/AgainstCAANRC/posts/135760571273437
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন ।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.