Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
গত বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরে জনসভা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জনসভায় উপস্থিত বিশিষ্ট বিজেপি নেতা মন্ত্রীদের সামনে বাংলায় মতুয়া ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে একগুচ্ছ প্রস্তাব আনেন অমিত শাহ।
ফেসবুকে মমতা ব্যানার্জী সাপোর্টার্স নামের একটি পেজ থেকে একটি পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে ‘ঠাকুরনগরের অমিত শাহ জনসভায় নাগরিকত্ব আইন বা CAA নিয়ে কোনো কিছু স্পষ্ট করে বললেনি শাহ। মতুয়া সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্য মাথা উঁচু করে সম্মানের সহিত দেশে নাগরিকত্ব নিয়ে বাঁচাবে। বিজেপি সরকার সেই সম্মান টুকুও দিতে ব্যর্থ আর এই কারণে দলে দলে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূলে যোগদান করছে ।
ফেসবুকে এই পোস্টটি ২হাজারের মতো প্রতিক্রিয়া পেয়েছে এবং চারশো উননব্বইয় বার শেয়ার হয়েছে।
Fact check / Verification
মমতা ব্যানার্জীর নামের ফ্যান পেজ থেকে অমিত শাহের ঠাকুরনগরের জনসভায় CAA নিয়ে যে দাবি করা হয়েছে তা ভুল, কারণ গৃহমন্ত্রী এই সভায় দাঁড়িয়ে মতুয়া, নমঃশুদ্র সম্প্রদায়কে ভারতের নাগরিকত্ব প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।
বিজেপির ইউটুব চ্যানেল থেকে আমরা ১১ই ফেব্রুয়ারির বাংলাদেশ ও বাংলার সীমান্তে অবস্থানকারী ঠাকুরনগরের অমিত শাহের জনসভার ভিডিওটি পাই। মঞ্চে বিজেপি সাংসদ ও মতুয়া সম্প্রদায়ের শান্তনু ঠাকুর সভায় উপস্থিত প্রত্যেক ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা ও সাংসদের সম্মান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মঞ্চে আসার অনুরোধ জানান। অমিত শাহ মঞ্চে ঠাকুরবাড়ির বড়মা, হরিচন্দ্র ঠাকুর ও গুরুচন্দ্র ঠাকুরকে স্মরণ করে নিজের ভাষণ শুরু করেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যেদিন বঙ্গের ভোটে জয়ী হয়ে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় নিজের দায়িত্ব কাঁধে নেবেন তার কিছুদিনের মধ্যেই ঠাকুরনগরের স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে ‘শ্রীধাম ঠাকুরনগর’ রাখা হবে ,মোদী সরকারের আয়ুষ্মান যোজনা, এবং কিষান সম্মান নিধি শুরু হবে বলে জানান। নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বার বার মতুয়া সম্প্রদায়ের লড়াই, আত্মবলিদানের কথা তুলে ধরেছেন জনগনের সামনে।
এর পর তিনি বহুপ্রতীক্ষিত বিষয় ভারতের নাগরিকত্ব নিয়ে বলতে শুরু করেন। স্বাধীনতা ও ১৯৭১ সালে বাংলা দু-ভাগে ভাগ হওয়ার পর বাংলাদেশ থেকে চলে আসা সকল স্মরণার্থীদের প্রতি কংগ্রেস সরকারের উদাসীন ব্যবহারের কথা মনে করিয়ে বলেন, কংগ্রেস এই স্মরণার্থীদের ভারতবাসী রূপে পরিচয় দেওয়ার কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে তা বাস্তবায়িত হয়নি। তাই বিজেপি সরকার ২০১৮ সাল থেকে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে এবং ২০১৯ সালে আইন প্রণয়ন করে।
তিনি জানিয়েছেন ২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া করোনা ব্যাধির কারণে CAA তে ব্যাঘাত ঘটলেও করোনা টিকাকরন সম্পন্ন হলেই মতুয়া সম্প্রদায় ও বাংলার অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভারতের নাগরিকত্ব দেবে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার। এর সাথে সাথে তিনি আরো একটি উল্লেখযোগ্য দাবি করেছেন যে ভারতে বসবাসকারী কোনো মুসলিম ভাই-বোনেদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না।
শুধু ভিডিওটি নয় গুগল থেকে Times of India, Hindustan Times, Outlook,ও Economics Times এর রিপোর্ট থেকেও অমিত শাহের এই প্রস্তাবের কথা জানা যায়। বলা হয়েছে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট এই পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে ভোট দিয়ে যে সমর্থন জানিয়েছে, তারই ঋণ শোধ করবে বিজেপি সরকার মতুয়া ও আরো অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান করে।
Conclusion
ঠাকুরনগরের জনসভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের একটি ফেসবক বুক পেজ থেকে দাবি করা হয়েছে গৃহমন্ত্রী মতুয়াদের CAA নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। কিন্তু এই দাবি ভুল, ঠাকুরনগরের জনসভায় শাহ জানিয়েছেন করোনা টিকাকরণ শেষ হওয়ার পর মতুয়া ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
Result- Misleading
Our sources
Outlook India- https://www.outlookindia.com/website/story/india-news-caa-after-covid-19-vaccination-amit-shah-reiterates-in-bengal/373962
Times of India- https://timesofindia.indiatimes.com/india/caa-after-covid-vaccine-drive-ends-shah-in-bengal/articleshow/80871533.cms
Hindustan Times – https://www.hindustantimes.com/india-news/caa-to-be-enforced-after-vaccination-drive-shah-101613067078726.html
BJP YouTube channel- https://www.youtube.com/watch?v=p4vucBT_f_Q
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন ।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.