Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
দাবি:
সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম একটি টুইট করেছেন যেখানে তিনি বিজেপির জাতীয় সাধারণ সেক্রেটারি রাম মাধবকে গণশক্তি প্রকাশিত একটি খবরের ভুল ব্যাখ্যা করার জন্য দায়ী করেছেন। নিচে মহঃ সেলিমের টুইট দেওয়া হলো।
বিশ্লেষণ:
২৬শে জুন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের টুইটার থেকে আমরা একটি টুইট পাই যেখানে তিনি বিজেপির জাতীয় সাধারণ সেক্রেটারি ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকের এক কালের কার্যনির্বাহক রাম মাধবকে তুলোধনা করে ক্ষমা চাইতে বলেছেন জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে গণশক্তির ছাপা খবরের ভুল ব্যাখ্যা করার জন্য। ইন্ডিয়া টুডের একটি আলোচনাতে তিনি বাংলার কমিউনিস্ট পার্টি দ্বারা প্রকাশিত সংবাদপত্রে ভারতীয় ও চীনের সেনাদের মধ্যে সীমান্ত যুদ্ধ নিয়ে প্রকাশিত একটি খবরের ভুল ব্যাখ্যা করেন।
১৯শে জুন ইন্ডিয়া টুডের পক্ষ থেকে একটি ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করা হয় যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাম মাধব ও ইন্ডিয়া টুডের নিউজ ডিরেক্টর রাহুল কানওয়াল। গালওয়ান উপতক্যায় ভারত ও চীনের মধ্যে যে সেনা সংঘর্ষ বাধে, তাতে প্রাণ হারায় ২০ জন ভারতীয় সন্তান। চীনের এই অতর্কিত অথচ আগে থেকে প্ল্যান করা আক্রমণের সামনে ভারতীয় সেনারা উচিত জবাব দিলেও প্রাণ যায় ২০ জন সৈনিকের। এই বর্বর আচরণের বিরুদ্ধে সারা দেশ উত্তাল। ১৯শে জুনের সাক্ষাৎকার রাম মাধব গণশক্তি সংবাদ পত্রের প্রকাশিত ভারতীয় সেনাদের নিয়ে একটি খবর কিছুটা অংশ তুলে ধরেন। ৪৪ সেকেন্ডের ঐ ভিডিওয় রাম মাধব যে কথা গুলি ইংরেজিতে বলেছেন তার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়- আমি খুবই আশ্চর্য যে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির প্রকাশিত সংবাদ পত্র, যে কিনা আজও ভারতীয় সেনাদের দিকে আঙ্গুল তুলছে গালওয়ান সীমান্তে উত্তেজনা তৈরী হওয়ার জন্য। আমার কাছে একজনের দ্বারা ঐ সংবাদপত্রের একটি ক্লিপিং আসে যেখানে ভারতীয় সেনাদের দায়ী করা হয়েছে এই সীমান্ত যুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার জন্য । আমি বুঝতে পারি কমিউনিস্টদের। এরা নিজের পঞ্চম কলামিস্ট রূপে প্রতিস্থাপন করে। পূর্বে সোভিয়েত ও এখন চীনের কমিউনিস্টদের কথা আমরা সবাই জানি। নিচে আমরা ইউটুবের থেকে পাওয়া সম্পূর্ণ ভিডিওটি দিলাম।
কিন্তু রাম যে খবরের কথা এখানে তুলে ধরেছেন তা পুরোপুরি সত্য নয়। কলকাতায় গণশক্তি প্রকাশিত হয় যা সিপিএমের বহুপুরোনো প্রকাশনা। গণশক্তির ১৬ ০ ১৭ তারিখের অনলাইন এডিশন আমরা খুঁজলে ১৭ঐ জুন আমরা সীমান্তে দুইদেশের মধ্যে উত্তেজন নিয়ে প্রকাশিত খবর পাই। প্রথম ও দ্বিতীয় পাতায় প্রকাশিত খবরের শীর্ষক হলো ‘লাদাখ সীমান্তে সংঘাত, মৃত্যু দুই উভয় পক্ষেই‘ .. প্রকাশিত পুরো খবরটি পড়লে জানা যাবে, রাম মাধব যে অংশের কথাটি বলছেন তা আসলে বেজিংয়ের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান ।তিনি মন্তব্য করেন যে – দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা চরমে ছিল, কথা-বার্তার দ্বারা তা কিছুটা স্থিত হলেও ভারতীয় সেনাদের তরফ থেকে সীমা লঙ্ঘনের কান্ড ঘটার পর সংঘর্ষের সূচনা হয়। এই উধৃতিটি তিনি কমিউনিস্ট পার্টির ভারতীয় সেনাদের দায়ী করার কারণ রূপে সাক্ষাৎকারের বলেন , যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর ও অর্ধ সত্য। এই বক্তব্য আসলে চীনের বিদেশ মন্ত্রক ঝাওয়ের।
২৬শে জুন মহঃ সেলিমের ঐ টুইটের পর রাম মাধব ও টুইট করে বলেন যে মহঃ সেলিমের দাবিই সত্যি। আমার উচিত হয়নি whats app থেকে পাওয়া এই খবরের উপর বিশ্বাস করা। সেলিমের মতো একজন বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ যখন এই দাবি করেছেন আমি মেনে নিচ্ছি যে এটাই সত্যি।
এই ঘটনার সত্যতা বিচার না করেই কলকাতায় গণশক্তির অফিস ঘেরাও করে বাংলা বিজেপির মহিলা মোর্চা বাহিনী যার প্রধান সভাপতি অগ্নিমিত্রা পাল। এই ঘেরাওয়ের ঘটনা Socialnews.xyz ও The Print এর থেকে বাংলার সিপিএমের দ্বারা বিজেপির এই ‘ভুল’ নিয়ে নিন্দা প্রকাশ করার রিপোর্ট পাই।
অর্থাৎ বিজেপির রাম মাধব কমিউনিস্ট পার্টির প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্রের ছাপা খবরের যে অংশের উল্লেখ করেছে তা বিভ্রান্তিকর।
ব্যবহৃত টুলস:
- Google search
- Youtube search
- Media reports
ফলাফল: বিভ্রান্তিকর Misleading
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। )
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.