Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
Claim
ফেসবুকে সম্প্রতি এক বৃদ্ধের ছবির সাথে দাবি করা হয়েছে – ৩২ বছর ধরে এই বৃদ্ধের মৃতদেহ অক্ষত রয়েছে। যখন তাকে কবর থেকে তুলে আনা হয়েছিল তখন ওনার দেহ সম্পূর্ণ অক্ষত ছিল। মৃতদেহ দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো ওনার উপর আল্লাহের কৃপা রয়েছে, এটি একটি সম্মানজনক মৃত্যু।
এই একই ছবি সাথে একটি ভিডিও আমরা পাই যেখানে একটি মৃতদেহকে কবর থেকে তুলে আনা হচ্ছে।দাবি করা হয়েছে এই বৃদ্ধি ‘হাফেজ’. মারা যাওয়ার পড়েও আল্লাহের্ কৃপায় ওনার দেখো অক্ষত আছে।
ভাইরাল ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক বৃদ্ধকে গলা পর্যন্ত মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে এবং ওনাকে ঘিরে কিছু লোকজন রয়েছে। যদিও এই ছবিটি কোথাকার এবং কেনই বা ৩২ বছর কবর খোড়া হলো সেই নিয়েও অনেকে প্রশ্ন করেছে কমেন্ট বক্সে। কেউ কেউ দাবি করেছে এটি ভুল তথ্য।
Fact
৩২ বছর ধরে এই বৃদ্ধের মৃতদেহ অক্ষত রয়েছে এই দাবিতে যে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে সেই ছবিটির রিভার্স ইমেজ করার পর জানতে পারি ছবিটি ২০১৯ সাল থেকেই ইন্টারনেটে রয়েছে। কোথাও বলা হয়েছে এটি ৩২ বছর আগে মারা যাওয়া ব্যক্তির দেহ, আবার কোথাও বলা হয়েছে এটি ৩৬ বছর পুরোনো ঘটনা।
এই পর্যায়ে আমরা Muslim Community ও Duniya batabbas নামের ফেসবুক পেজের লিঙ্ক পাই। এখানে এই ছবিটি ২০১৯ সালের ৫ই জুলাই ও ১৮ই অক্টোবরে আপলোড করা হয়েছিল।
অনুসন্ধান আরো এগিয়ে নিয়ে যাই এবং পুনরায় রিভার্স ইমেজ করার পর আমরা বেশকিছু ফেসবুকের লিঙ্ক পাই যেখানেই ছবিটিকে আপলোড করা হয়েছিল। তার মধ্যে থেকেই আমরা Ali Sheraji নামের এক পাকিস্তানের লেখকের ফেসবুকের লিঙ্ক পাই। এখানে এই ছবিটিকে ২২শে জুন ২০১৯ সালে আপলোড করে হয়েছিল। এখানে এই বৃদ্ধের আরো দুটি ছবি পাই।
উর্দু ভাষায় লেখা ক্যাপশনের বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়- ‘এক বোন আমায় সকাল থেকে মেসেজ করে বলছে তার বাবা বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়েছে এবং জ্ঞান ফিরছে না। আমাকে তার বাবার জন্য দোয়া করতে বলেছে বোনটি। পোস্টটিতে আমিন লিখে সবাই শেয়ার করুন ‘ .
অন্যদিকে ছবিটির সাথে যে ভিডিওটি রয়েছে সেখানে গলে যাওয়া একটি গলে যাওয়া মৃতদেহ দেখা যায়। যেটির সাথে বৃদ্ধের ছবির কোনো মিল নেই। যদিও আমরা ভিডিওটির কোনো উৎস খুঁজে পাইনি।যে বৃদ্ধের ছবি এখানে রয়েছে তিনি বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়েছিলেন বলে ওনাকে এই ভাবে মাটির নিচে রাখা হয়েছে। কোনো মানুষে বিদ্যুৎপৃষ্ট হলে গলা বা বুক পর্যন্ত মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয় যাতে ব্যক্তিটি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।
অর্থাৎ না তো এই বৃদ্ধ ব্যক্তিটি হাফেজ,আর না এনার ৩২ বছর আগে মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাল ছবিটি তিন বছর আগের এবং বিদ্যুৎপৃষ্ট হওয়ার পর জ্ঞান ফেরানোর জন্য ওনার উপর এই ভাবে মাটি দিয়ে রাখা হয়েছিল।
Result : False
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.