Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
এই বছরের উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের আবহে একটি পোস্ট ফেসবুকে ছড়িয়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকে সাঁওতালি মাধ্যমে প্রথম হয়েছে অনিমা মুর্মু। ফেসবুকে অনেকেই এই পোস্টটি শেয়ার করেছে।
কিছুদিন আগে রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ শিক্ষা পর্ষদ। পাস্ ফেল মিলিয়ে এই বছরের পাশের হার প্রায় ৯৭% . বলে জানা গেছে।
Fact – check / Verification
মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরেই কিছুদিনের ব্যবধানের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করেছে রাজ্য শিক্ষা পর্ষদ। দ্বাদশ শ্রেণীর ফল প্রকাশের দিন মুর্শিদাবাদ জেলার কৃতি ছাত্রীর নাম ও তার ধর্মকে বার বার উল্লেখ করার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি শ্রীমত মহুয়া দাস। ফল প্রকাশের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বারংবার বলেন এই বছর মুসলিম লেডি গার্ল রুমানা ৪৯৯ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে এবং এরপর থেকে বিশেষত গেরুয়া শিবির থেকে উঃ মাঃ সভাপতির এহেন বক্তব্যের জন্য নানারকম দাবি উঠেছে। যদিও কৃতি ছাত্রী রুমানা সুলতানা নিজেও বলেছে তার ধর্মকে প্রাধান্য না দিয়ে তার কৃত্বিতকে প্রাধান্য দিলে সে আরও বেশি খুশি হতো।
উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের আবহে ভাইরাল দাবি উচ্চমাধ্যমিকের সাঁওতালি মাধ্যমে প্রথম হয়েছে অনিমা মুর্মু, এই খবরটি সত্যি কি মিথ্যে তা যাচাই করা শুরু করি কারণ, প্রতি বছর দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সাক্ষাৎকার দেখানো হয় মিডিয়া চ্যানেলগুলোতে, কিন্তু অনিতা মুর্মুকে কোনো সংবাদ আমরা পাইনি।
উচ্চমাধ্যমিকে সাঁওতালি মাধ্যমে প্রথম হয়েছে অনিমা মুর্মু এই খবরটি ২০১৯ সালের যা এখন আবার সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়েছে
উচ্চমাধ্যমিকের সাঁওতালি মাধ্যমে প্রথম স্থান পেয়েছে অনিতা মুর্মু এই দাবির সাথে অনিতার ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেই ছবিটির রিভার্স ইমেজ করার পর করিমপুর জগন্নাথ হাই স্কুলের ফেসবুক পেজের দুটি লিংক পাই যেখানে আমরা এই ভাইরাল ছবিটি দেখি। ২০১৯ সালের মে মাসে এই ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল এবং সাথে লেখা রয়েছে অনেক শুভকামনা রইলো।
এই ঘটনাটির বিশদ বিবরণ পাওয়ার জন্য গুগল কীওয়ার্ড দ্বারা অনুসন্ধান শুরু করি এবং এই সময় ও বর্তমান পত্রিকার প্রকাশিত খবর আমাদের সামনে আসে। ২০১৯ সালের উচ্চমাধ্যমিকে সাঁওতালি মাধ্যমে প্রথম হয়েছিল জঙ্গলমহলের অনিমা মুর্মু ও সনকা হেমব্রম। জঙ্গলমহলের দিনমজুর পরিবারের এই কন্যাদুটির নাম রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক মেধা তালিকায় প্রকাশের পর শোরগোল পরে যায়। কঠিন পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে নিজের কৃতিত্বকে ছিনিয়ে আনতে পেরে খুশি হয়েছিল বাঁকুড়ার পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু হাই স্কুলের এই দুই ছাত্রীর পরিবার।
Conclusion
ফেসবুকে ভাইরাল উচ্চমাধ্যমিকে সাঁওতালি মাধ্যমে প্রথম হয়েছে অনিমা মুর্মু – এটি পুরোনো খবর। আমাদের অনুসন্ধানের দ্বারা জানতে পারি ২০১৯ সালের ঘটনাটি বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশের আবহে ফের ফেসবুকে ছড়িয়েছে।
Result- Misleading
Our sources
Bartaman Patrika- https://bartamanpatrika.com/detailNews.php?cID=17&nID=168534&P=6&nPID=20190529
Facebook post – https://www.facebook.com/181306285267259/photos/a.1772553329475872/2434544563276742/
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.