Authors
Claim: আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, “আজ সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হল। তৃণমূল অনেকটাই এগিয়ে। বিজেপির অর্জুন, লকেট ফেল করছে। এবারও সিপিএম শূন্য।”
Fact: পঞ্চম দফার ভোটের পর তৃণমূলের এগিয়ে এবং বিজেপি পিছিয়ে সংক্রান্ত কোনও প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি আনন্দবাজার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে ভুয়ো স্ক্রিনশট।
সোমবার অর্থাৎ ২০ মে, পঞ্চম দফার ভোট শেষ হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে একটি স্ক্রিনশট। যেখানে আনন্দবাজার পত্রিকার মাস্টহেড ব্যবহার করে লেখা হয়েছে, “আজ সাতটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হল। তৃণমূল অনেকটাই এগিয়ে। বিজেপির অর্জুন, লকেট ফেল করছে। এবারও সিপিএম শূন্য।” স্ক্রিনশটটি অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। (আর্কাইভ লিঙ্ক)
Fact Check/ Verification
তদন্তের শুরুতে, আমরা ইন্টারনেটে প্রতিবেদনের শিরোনামটি সার্চ করি। কিন্তু ইন্টারনেটে আমরা এমন কোনও প্রতিবেদন খুঁজে পাইনি, যা আনন্দবাজার প্রকাশ করেছে।
এরপর আনন্দবাজার পত্রিকার ওয়েবসাইটে অনুসন্ধান করেও আমরা এই শিরোনাম সম্বলিত কোনও প্রতিবেদন খুঁজে পাইনি।
এরপর ভাইরাল প্রতিবেদনের ফন্টের সঙ্গে আমরা আনন্দবাজার পত্রিকার ফন্টের তুলনা করে দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু সেক্ষেত্রেও পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। ভাইরাল স্ক্রিনশটের ফন্ট এবং আনন্দবাজার পত্রিকার আসল ফন্টের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
নির্বাচনী আবহে আনন্দবাজার পত্রিকার মাস্টহেড ব্যবহার করে বহু ভুয়ো স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে ওই সংবাদমাধ্যম গোষ্ঠীকেও সরব হতে দেখা গিয়েছে। পয়লা মে ভুয়ো স্ক্রিনশট সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল আনন্দবাজার গোষ্ঠী এবং সেখানে তাঁরা কয়েকটি পদ্ধতি বলেছিলেন, যার সাহায্যে যাচাই করলে এই ধরনের ভাইরাল সত্যতার প্রমাণ মিলতে পারে।
ওই প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি লিখেছিল, “আনন্দবাজার অনলাইনের খবরের শিরোনামের স্ক্রিনশট হয়ে যা যা বিভিন্ন ইনবক্সে ঘোরে বা ফেসবুক অথবা এক্সের (সাবেক টুইটার) ফিডে ভেসে বেড়ায়, সেগুলি সত্য কি না, তা যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনের বাংলা শিরোনামটি গুগলে গিয়ে ‘সার্চ’ করুন। তা হলেই জানা যাবে আনন্দবাজার অনলাইন ওই খবর প্রকাশ করেছে কি না। সাধারণত এই ধরনের ভুয়ো খবরে মাস্টহেড-সহ শিরোনামের স্ক্রিনশট ছাড়া আর কিছু থাকে না। সচেতন পাঠক মাত্রেই জানেন, শুধু শিরোনাম দিয়ে কোনও খবর হয় না। শিরোনামের পরে পুরো খবরটি থাকে। তা ছাড়াও, আনন্দবাজার অনলাইনের বিশেষ ‘ফন্ট’ রয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভুয়ো স্ক্রিনশটে ভিন্ন ‘ফন্ট’ ব্যবহার করা হয় এবং হচ্ছে। তবে এই ধরনের কারিগরেরা ক্রমশ তাঁদের কাজে দড় হয়ে উঠছেন। ফলে তুলনায় কাছাকাছির ‘ফন্ট’ও ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই কারণেই প্রাথমিক সাবধানতাটুকু আরও জরুরি।” এই পন্থায় খোঁজ করেও আমরা দেখেছি যে ভাইরাল স্ক্রিনশটে কোনও অস্তিত্ব ইন্টারনেটে নেই।
এই বিষয়ে জানার জন্য নিউজচেকারের তরফে ইতিমধ্যে আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁদের উত্তর পেলে এই প্রতিবেদনে আপডেট করা হবে।
Conclusion
তবে এখান থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, পঞ্চম দফার ভোটের পর তৃণমূলের এগিয়ে এবং বিজেপি পিছিয়ে সংক্রান্ত কোনও প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি আনন্দবাজার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে ভুয়ো স্ক্রিনশট।
Result: False
Source
Newschecker’s own investigation