Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
আমাদের হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বরে 9999499044 একটি বার্তা এসেছে যেখানে বলা হয়েছে কানাডা মহামারী নিরসনের পথ দেখালো বিশ্বকে। করোনার বিরুদ্ধে কানাডার আলবার্টায় লকডাউন,মাস্ক পড়া,সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, ভ্যাকসিন নেওয়ার মতো বিষয়ের উপর কোর্টে কেস করেছিল আলবার্টাবাসী এবং তাতে নাগরিকদের জয় হয়েছে, লকডাউন,মাস্ক পড়া কোর্ট থেকে বাতিল করেছে । নিচে সম্পূর্ণ বার্তাটি দেওয়া হলো –
মহামারি নিরসনে কানাডা পথ দেখাল
করোনার বিরুদ্ধে আদালতের লড়াইয়ে জয়ী হল কানাডার নাগরিক। কানাডার আলবার্টা প্রদেশে, লকডাউন, মুখোশ এবং জোরপূর্বক ভ্যাকসিনেশন সবই বাতিল করা হয়েছে।
করোনাকে এখন সরকারি “মহামারি” এর পরিবর্তে “ফ্লু ভাইরাস” হিসাবে উল্লেখ করা হচ্ছে। আদালতের রায়ের পর করোনার অস্তিত্ব না থাকায় পুরো প্রদেশে আতঙ্কের অবসান হয়েছে।
আসলে কানাডিয়ান নাগরিক প্যাট্রিক কিং সহ আরও হাজার হাজার মানুষ করোনার নামে জোর করে লকডাউন, মাস্ক এবং টিকা দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। যাঁরা সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে এবং জরিমানা আরোপ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার তাদের কড়াকড়ি আরোপ করেছে। প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আইন লঙ্ঘনের জন্য প্যাট্রিককে ১২০০ ডলার জরিমানাও করেছিল।
প্যাট্রিক, যিনি করোনার পরিচয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল ছিলেন। তিনি জানতেন যে বর্তমানের মহামারিটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং এর কোনো অস্তিত্ব নেই। তিনি সুযোগ পেয়ে আদালতে গিয়ে করোনা কেলেংকারি ফাঁস করেন।
প্যাট্রিক আদালতে নিজের অবস্থান নিয়ে বিচারককে জানান, যখন করোনাই নেই, তখন বিধিনিষেধ থাকবে কেন? প্যাট্রিক সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন যে, “প্রথমে আদালতে প্রমাণ করুন যে, করোনার বৈজ্ঞানিক অস্তিত্ব আছে, তারপর আমি জরিমানা দেব এবং মুখোশ পরব।”
করোনার বৈজ্ঞানিক অস্তিত্ব আছে তা প্রমাণ করতে সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এখানে সরকারের গলায় একটা হাড় আটকে গেল !
সরকারের মন্ত্রীরা অবশেষে হাল ছেড়ে দেন এবং স্বীকার করেন যে, “বৈজ্ঞানিকভাবে করোনা ভাইরাসের কোনো অস্তিত্ব নেই। কারণ আমরা কখনো ভাইরাসটিকে আইসোলেট করিনি। অর্থাৎ আমাদের কাছে করোনা প্রমাণের কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।”
প্যাট্রিক জবাব দিলেন — “জজ, যখন করোনা নেই, তাহলে লকডাউন, মাস্ক এবং তারপর জোর করে টিকা কেন? মনে রাখবেন, বিজ্ঞানের জগতে ভাইরাসটিকে “আইসোলেট” না করে টিকা দেওয়া ১০০ শতাংশ অসম্ভব। কারণ আইসোলেট করার পরেই ভাইরাসটির ABC কীভাবে কাজ করে তা জানা সম্ভব। তবেই এই হিসাব অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ওষুধ প্রস্তুত করা হয়।
যদিও বর্তমান করোন ভাইরাসটি কখনোই আইসোলেট করা হয়নি, যে ভ্যাকসিনগুলি তৈরি করা হয়েছে সেগুলি সমস্ত অনুমানের উপর ভিত্তি করে, যা একটি স্বাধীন সংস্থা দ্বারা অনুমোদিত হয়নি। সংক্ষেপে, বর্তমানে বিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য হল ভাইরাসকে আইসোলেট
এই একই বার্তা সমেত পোস্ট ফেসবুকেও ছড়িয়েছে
করোনা ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন আবিষ্কৃত হওয়ার পর অনেকেই দাবি করেছে ওমিক্রন হয়তো করোনা ভাইরাসের মতো ততটা মারাত্মক নয় কারণ, ওমিক্রন খুব দ্রুত বিস্তার করে, সংক্রমণ ক্ষমতাও বেশি কিন্তু এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা খুব দ্রুত সুস্থও হয়ে উঠছে।
আমরা জানতে পারি কানাডার আলবার্টা প্রদেশে করোনা ভাইরাস, COVID 19 এর পেছনে আসল বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি, মুখে মাস্ক পড়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার মতো বিধি নিষেধ গুলো আসলেই কার্যকরী কিনা তা নিয়ে অনেকেই আলবার্টা কোর্টে কেস ফাইল করেছিল। এই কেসের পরিমান ২০২০ সালের থেকে ২০২১এ বেশি দেখা যায়। অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বারবারা পেরি জানান, করোনা আক্রান্তদের ক্রমাগত সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে আলবার্টার কিছু শপিং মল, বা রেস্টুরেন্ট বন্ধ করার ঘটনা ঘটে, এবং এর পর থেকেই কেস করার সংখ্যা বাড়তে থাকে। আলবার্টার জনগণ দাবি করতে থাকে প্রমান করা হোক মাস্ক, ভ্যাকসিন, এবং আরও অন্যান্য যেসব বিধি নিষেধ আনা হয়েছে সরকারের তরফ থেকে তা করোনা ভাইরাসকে আটকাতে সক্ষম।
Fact check / Verification
সত্যিই কি জনগণের কোর্ট কেসের পর আলবার্টায় লকডাউন, মাস্ক পড়া কোর্ট থেকে বাতিল হয়েছে না এই বার্তাটি অসত্য জানার জন্য আমরা অনুসন্ধান চালাই। গুগলে কিছু কীওয়ার্ড দিয়ে খোঁজার পর আমরা Reuters ও AP র সত্যতা যাচাইয়ের দুটি রিপোর্ট পাই যা ২০২১ সালের অগাস্ট মাসের। রিপোর্ট অনুসারে কানাডার আলবার্টায় কোর্ট অফ কুইন্স অফ আলবার্টায় দেশভক্ত প্যাট্রিক কিংকে তোলা হয় কারণ সে সোশ্যাল মিডিয়াতে আলবার্টার করোনা বিধি শিথিল করার কারণকে মিথ্যে দাবি সমেত পেশ করেছিল। ২০২১ সালের এই রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্যাট্রিক জরিমানা দিয়েছিলো কারণ মহামারী ও মাস্ক পরার বিরোধী মিছিলে সে অনেক বেশি লোকজন নিয়ে উপস্থিত ছিল। প্যাট্রিক কোর্টে কেস করেছিল করোনা ভাইরাস আসলে জাল, এই ধরণের কোনো ভাইরাসের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু যখন কোর্ট থেকে তার এই দাবির সাথে মিলে যায় এমন কোনো প্রমান পেশ করার কথা বলা হয়ে তখন সে ব্যর্থ হয় তা প্রমানে।
আলবার্টায় করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার বিধি শিথিল করা হয়েছিল কারণ আলবার্টায় আগে থেকেই নির্ধারিত করোনা টিকারণ নিজের লক্ষ্যে পৌঁছেছিল। কিন্তু এই শিথিলতা নিয়ে প্যাট্রিক কিংয়ের মতো আরো কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা নিজের মতো করে আলবার্টা কোর্টের নোটিশকে জাল করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়াতে থাকে।
কানাডার আলবার্টায় লকডাউন,মাস্ক পড়া কোর্ট থেকে বাতিল করেছে এই দাবিটি মিথ্যে
২০২১ সালের কানাডার আলবার্টায় লকডাউন, মাস্ক পড়া কোর্ট থেকে বাতিল করেছে এই দাবিটি ভাইরাল হলেও এই বছরও তা ফেইসবুক, হোয়াট্সঅ্যাপে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা জানার চেষ্টা করি মাস্ক পড়া বা ভ্যাকসিন না নেয়ার মতো কোনো নির্দেশ আলবার্টা সরকার থেকে দেওয়া হয়েছে কিনা। টুইটারে আমরা Alberta Government এর কিছু ট্যুইট পাই যেখানে সরকার থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকা নেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করার কথা বলেছে।
আলবার্টা সরকারের তরফ থেকে ২২শে জানুয়ারি সর্বশেষ করোনা আক্রান্তদের সংখ্যার একটি পরিমাপ ট্যুইট করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে ২১শে জানুয়ারি ২৪ ঘন্টায় সেখানে নতুন ভাবে ৩৫৯২টিকেস সামনে এসেছে।, ১,১৯২ জন হাসপাতালে ভর্তি। অর্থাৎ এই ক্রমবর্ধমান সংখ্যা দেশে বলা যেতে পারে মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বা করোনা টিকা গ্রহণ করার মতো বিষয়গুলো আলবার্টা থেকে মুছে যায়নি।
আলবার্টায় লকডাউনকে নিয়ে একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে আলবার্টার পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টরের সংগঠন Covid এর নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের বিস্তারকে রুখতে লকডাউনেই কথা বললেও আলবার্টা প্রধান জেসন কেনি এখনই লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল কানাডার আলবার্টায় লকডাউন, মাস্ক পড়া কোর্ট থেকে বাতিল করেছে কারণ সেখানকার জনগণ লকডাউন, মাস্ক পড়ার মতো বিষয়কে কোর্ট কেস করেছিলো এবং এতে আলবার্টার সরকার প্রমান করতে পারেনি করোনা ভাইরাস আদৌও আছে কিনা – এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যে।
Result: False
Our Sources
Alberta Govt. official tweet –
https://twitter.com/YourAlberta/status/1485281427419582464
https://twitter.com/YourAlberta/status/1484658343410954240?s=20
AP News- https://apnews.com/article/fact-checking-375728144848
Reuters – https://www.reuters.com/article/factcheck-alberta-case-idUSL1N2PE0EX
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.