Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
সম্প্রতি ফেসবুকে ও হোয়াট্সঅ্যাপে করোনা ভাইরাসকে নিয়ে একটি ভাইরাল বার্তায় বলা হয়েছে ‘আগামী 20 ঘন্টা ভারতের মধ্য চাপ WHO ICMR এর ভারতকে সতর্কতা- WHO ICMR বলেছে যে যদি 20 ঘন্টার মধ্যে ভারত না সংযত হয় তো ভারত কাল রাত 11 টার পরে “THIRD STEP” সুতরাং “কম্যুনিটী ট্রান্সমিশন” এ প্রবেশ করে যাবে। ‘এই বার্তাতে আরও বলা হয়েছে যদি কাল রাত অর্থাৎ ২০শে এপ্রিলের মধ্যে ভারতে কমিউনিটি স্প্রেড শুরু হয় তাহলে প্রায় পঞ্চাশ হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু হবে ভারতে। কারণ ভারতে জনঘনত্ব অনেক বেশি।
ফেসবুকে এই বার্তাটি যথেষ্ট ভাইরাল হয়েছে–
Fact -check / Verification
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসে পৌঁছেছে। এবারের করোনা ভাইরাস আগের বারের থেকে আরও বেশি ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকেরা। শক্তি বাড়িয়ে আক্রমণ করছে সাধারণ মানুষদের। জানা গেছে এই বছরের করোনার উপসর্গ গত বছরের তুলনায় আরও ভয়ঙ্কর । রুগী করোনার পরীক্ষা করার পর রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে অথচ শরীরে রয়েছে করোনার উপসর্গ। ফলে লোকে খুব সহজেই আক্রান্ত হচ্ছে এই ভাইরাসে।
‘আগামী 20 ঘন্টা ভারতের মধ্য চাপ WHO ICMR এর ভারতকে সতর্কতা’ এই বার্তাটিতে বলা হয়েছে জনগণ করোনাকে নিয়ে সতর্ক না হলে ভারতে ভয়ঙ্কর ভাবে ছড়াতে থাকবে কম্যুনিটী ট্রান্সমিশন।যা ভারতের মতো অধিক জনসংখ্যার দেশের পক্ষে খারাপ।
‘আগামী 20 ঘন্টা ভারতের মধ্য চাপ WHO ICMR এর ভারতকে সতর্কতা’ এই ভাইরাল ম্যাসেজে বলা হয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ সতর্ক বার্তা দিয়েছে ভারতের প্রবেশ করা এই নতুন করোনা ভাইরাসটি ২০শে এপ্রিলের মধ্যে পঞ্চাশ হাজারের মতো লোককে পরলোকে পাঠাবে। এর সাথে এই বার্তায় কিছু পালনীয় টিপ্সও দেওয়া হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে যেমন প্রতিদিন এক ঘন্টা করে রোদে থাকতে, নাকে সর্ষের তেল লাগাতে, ধূপ, ধুনো,কর্পুর ও লবঙ্গ দিয়ে বাড়িতে ধোয়া দিতে আরও অনেক কিছু।
‘আগামী 20 ঘন্টা ভারতের মধ্য চাপ WHO ICMR এর ভারতকে সতর্কতা’ এই ধরনের কোনো সতর্ক বার্তা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ থেকে দেওয়া হয়নি
‘আগামী 20 ঘন্টা ভারতের মধ্য চাপ WHO ICMR এর ভারতকে সতর্কতা’ এই বিষয়ে গুগলে কীওয়ার্ড দিয়ে খোঁজার পর বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের এমন কোনো বার্তা আমরা পাইনি যাকিনা প্রমান করে আগামীকালের মধ্যে করোনা ভারতে সবচেয়ে ভয়াল রূপ নেবে এবং প্রায় পঞ্চাশ হাজারের মতো মানুষের তাতে মারা পড়বে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার একটি টুইটার পোস্ট আমরা পাই যেটি WHO এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার টুইটার পেজ থেকে টুইট করা হয়েছে ৬ই এপ্রিল। এই টুইটে বলা হয়েছে WHO থেকে এমন কোনো সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়নি যেখানে কিনা বলা হয়েছে ১৫ই এপ্রিলের মধ্যে ভারতে ৫০,০০০ এর মতো মানুষের মৃত্যু হবে করোনায়। অর্থাৎ ফেসবুক ও হোয়াট্সঅ্যাপে যে দাবি করা হয়েছে করোনা ভাইরাস নিয়ে তা মিথ্যে।
ICMR এর টুইটার পেজ থেকেও আমরা এই ধরণের কোনো সতর্কতামূলক বার্তা পাইনি।
Livemint এর একটি রিপোর্ট আমরা পাই যেখানে ICMR এর ডিজি বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন ভারতে করোনা দ্রুত বিস্তার করার কারণ হলো ভারতবাসীরা করোনা ভাইরাস থেকে দূরে থাকার বিষয়গুলোকে ঠিক মতো মেনে চলেনি। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল,ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে করোনার এই নতুন ভাইরাসটিকে যেখানে আগের থেকে আরও ভয়ঙ্কর বলা হয়েছে ভারতের তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত পরিমানে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা এই ভাইরাসকে আরও সাহায্য করছে বিস্তার করতে। এছাড়াও এই ভাইরাসটি দুইবার মিউট্যান্ট করা যা এর শক্তির পরিমান আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
Conclusion
‘আগামী 20 ঘন্টা ভারতের মধ্য চাপ WHO ICMR এর ভারতকে সতর্কতা’ সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করোনা ভাইরাসকে নিয়ে এই বার্তায় বলা হয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ থেকে সতর্ক করা হয়েছে আগামীকালের মধ্যে করোনা ভাইরাস কম্যুনিটি স্প্রেড করবে যেখানে প্রায় পঞ্চাশ হাজারের মতো লোক মারা যাবে। আমাদের অনুসন্ধানে এটি প্রমাণিত যে এই ধরণের কোনো বার্তা WHO বা ICMR থেকে দেওয়া হয়নি।ভাইরাল এই ম্যাসেজটি জাল।
Result- False
Our sources
WHO tweet- https://twitter.com/WHOSEARO/status/1379296571141939200
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.