রবিবার, ডিসেম্বর 22, 2024
রবিবার, ডিসেম্বর 22, 2024

HomeCoronavirusপুরীর মন্দিরের ধ্বজায় আগুন লাগা করোনা ভাইরাসের অশনি সংকেতের ডাক! আগুন লাগার...

পুরীর মন্দিরের ধ্বজায় আগুন লাগা করোনা ভাইরাসের অশনি সংকেতের ডাক! আগুন লাগার সত্যি কারণ জানুন এই প্রতিবেদনে

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

দাবি

গত কিছুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে , এই ভিডিওটি হলো পুরীর মন্দিরের পবিত্র ধ্বজায় আগুন লাগার ভিডিও।  প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে বলেছে যে করোনা ভাইরাসের কারণে এই পবিত্র ধ্বজায় আগুন লেগেছে। নভেল করোনা ভাইরাসের মহামারী রূপ ধারণ করেছে আর সারা পৃথিবীতে তার বিস্তার ঘটেছে, অশনি সংকেত দেওয়ার জন্যই ওই পতাকায় আগুন লেগেছে।  Facebook ও YouTube থেকে প্রাপ্ত এই ঘটনার কিছু ভিডিও আমরা নিচে দিলাম।  

https://www.facebook.com/avijit.dalal.90/videos/2557973414416516/?t=0

বিশ্লেষণ

শতাব্দী প্রাচীন জগন্নাথ মন্দির, এই বিংশ শতাব্দীর তীর্থ ক্ষেত্রের অন্যতম প্রাণ কেন্দ্র। আজ শয়ে শয়ে ভক্তের সমাগম হয় উড়িষ্যার পুরীর এই জগৎ বিখ্যাত জগন্নাথ মন্দিরে।  রাজশাসন থেকে শুরু করে ইংরেজ শাসন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেমন সুনামি, সাইক্লোন প্রভৃতির সাক্ষী এই মন্দির প্রতিসময়ে এর ভক্ত ও অনুগামীদের মনে বিশ্বাসের সঞ্চার করেছে যে খুব শীঘ্রই সব দুর্যোগ কেটে গিয়ে আবার সবকিছু শান্ত হবে।  তবে বুধবার যে ঘটনা ঘটেছে তাতে মন্দির সেবক ও ভক্তদের মনে অশনি সংকেতের সূচনা করেছে।  

ঘটনাটি ঘটে বুধবার সন্ধ্যায়।  এই দিন পাপনাশিনী একাদশী ছিল, প্রতিবারের নিয়ম অনুসারে এই দিনও মন্দিরের সেবকদের থেকে কিছু লোক মন্দিরের চূড়ায় ‘মহাদ্বীপ’ রেখে আসে।  এর কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায় মন্দিরের চূড়া থেকে আগুনের ধোয়া বেরোচ্ছে। করোনা ভাইরাসের কারণে এখন সারা বিশ্বে যে প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরী হয়েছে তার মধ্যে এই ধরণের একটি ঘটনা মানুষকে আরও ভয় পাইয়ে দিয়েছে।  

সোশ্যাল মিডিয়াতে  আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ছে সেই আগুনের ভিডিও আর সাথে বলা হচ্ছে স্বয়ং জগন্নাথ করোনা ভাইরাসের মহামারী রূপের  ফলে কি দুর্যোগ আসতে চলেছে তার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। মানুষের প্রাণ সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে এমন আরো কত কি। কিন্তু সত্যি কি কারণে এই মন্দিরের পবিত্র ধ্বজায় আগুন ধরলো তা জানার জন্য আমরা এই ঘটনা সম্পর্কিত কিছু Keyword নিয়ে google খোঁজ শুরু করি। 

সংবাদ প্রতিদিননিউজ ১৮ বাংলার তরফ থেকে আমরা এই ঘটনার ব্যাপারে রিপোর্ট পাই। সেখানে এই ঘটনা করে ঘটে এবং তার ভয়াবহতার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।  বুধবার এই ঘটনাটি ঘটে সন্ধ্যে ৮.২০ নাগাদ। বহু প্রাচীন এই প্রথা হলো যে জগৎ সংসারের মঙ্গলের উদ্দেশ্যে ‘ মহাদ্বীপ ‘ জ্বালানো হয় মন্দিরের চূড়ায় নীলা চক্র ও প্রধান পতাকা ‘বানা’-এর নিচে।  সেদিন আবহাওয়াও ছিল খারাপ। সমুদ্রের ঝোড়ো হাওয়া বেশ বেগেই বইছিলো। এর ফলে এই ধ্বজা মহাদ্বীপের আগুনের সংস্পর্শে আসে এই দ্বীপের আসে পাশে থাকা পতাকা উড়ে এসে পরে এই দ্বীপ শিখার উপর আর তৎক্ষণাৎ তাতে আগুন ধরে যায়।  

The Indian Express ও  Kalinga TV -এর তরফ থেকেও এই ঘটনার কথা বিবরণ আমরা পাই।  উড়িষ্যার অন্যতম সংবাদ সংস্থা Kalinga TV- এই ঘটনার উল্লেখ করে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। এখানে বলা হয়েছে যে শুধু মাত্র আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে বিকেল থেকে। সন্ধ্যের পর তার গতিবেগ বাড়লে মহাদ্বীপের শিখার তীব্রতা বাড়িয়ে তোলে আর পাশে থাকা পতাকাতে আগুন ধরে যায়। আরও  জানা যায় যে এই ঘটনার ফলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়, ভক্ত ও মন্দিরের পান্ডারা সকলে জগন্নাথ দেবের উদেশ্যে প্রার্থনা শুরু করে। মন্দিরের পক্ষ থেকে কিছু পরেই এই আগুন নিভিয়ে দেন। যদিও এই আগুনে প্রধান পবিত্র ধ্বজা ‘বানা’ ও অষ্টধাতুর তৈরি নীলাচক্রটির কোনো ক্ষতি হয়নি।  

এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। এর পেছনে কোনো অশুভ ইঙ্গিত বা অশনি সংকেতের ঘটনা কে খুঁজতে যাওয়া বৃথা। করোনার ভয়াবহতা সত্যি একটি চিন্তার বিষয় কিন্তু পুরীর মন্দিরে এই ঘটনার সাথে তাকে জুড়ে সোশ্যাল  মিডিয়াতে যে ইঙ্গিতে শেয়ার করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভুল।  

ব্যবহৃত টুলস

  • Google keywords search
  • Media report

ফলাফল: বিভ্রান্তিকর Misleading

(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে)

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Paromita Das
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Most Popular