Claim
উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা হাকিম সালাউদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে তিন হাজার লোকাল মেড পিস্তল ও ৫০ হাজার বুলেট। ভাইরাল ছবিটি সেই সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্রের।

Fact
ভাইরাল ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হলে, ২০২১ সালের একটি X পোস্ট , ২০২০ সালের একটি ফেসবুক পোস্ট এবং ২০১৭ সালের আরও একটি পোস্ট দেখতে পাওয়া যায়। তবে, সেই পোস্টগুলোতে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা ছিল না যে, ছবিটি কোন স্থানের। এখান থেকে স্পষ্ট হয় যে, লখনউয়ের বাসিন্দা হাকিম সালাউদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের সঙ্গে, ভাইরাল ছবির কোনও সম্পর্ক নেই।
এরপর, স্টক ছবির এজেন্সি Alamy-র ওয়েবসাইটে, ভাইরাল ছবির মতো আরও একটি ছবি দেখতে পাওয়া যায়। যার ক্যাপশনে লেখা ছিল, “লোওয়া ডিপার্টমেন্ট অফ ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের ক্রিমিনোলজিস্ট কার্ল বেসম্যান, মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০০৫ তারিখে, আইওয়ার অ্যাঙ্কেনির ব্যালিস্টিক ল্যাবে সংরক্ষিত ৩,৩০০ টিরও বেশি বন্দুকের মধ্যে একটি দেখছেন। এই বন্দুকগুলি তদন্তে ব্যবহৃত হয়।” ছবিটি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের স্টিভ পপের।
অ্যানকেনি, আমেরিকার লোয়া প্রদেশের একটি শহর। এই পরীক্ষাগারটি অপরাধমূলক তদন্তে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে।
Alamy-র ছবি এবং ভাইরাল ছবিটির তুলনা করলে, দুটির মধ্যে স্পষ্ট মিল দেখতে পাওয়া যায়। ছবিতে থাকা ব্যক্তিকে সরিয়ে দিলে, সামনের দেওয়ালে দৃশ্যমান বৈদ্যুতিক তার এবং সকেটগুলো স্পষ্টভাবে মিলে যায়। একই ছবি ২০০৫ সালে, he Quad City Times .-এর একটি প্রতিবেদনেও ব্যবহার করা হয়েছিল।

লোয়া ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক সেফটি-এর ওয়েবসাইটে একটি ইউটিউব ভিডিওর লিঙ্ক পাওয়া যায়। যাতে লোয়া ডিভিশন অফ ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ক্রিমিনালিস্টিকস ল্যাবরেটরির একটি ভার্চুয়াল ট্যুর দেখতে পাওয়া যায়। সেই ভিডিয়োর, ৪:১১ সেকেন্ড থেকে ৪:১৩ সেকেন্ড এবং ৪:৪৮ সেকেন্ড থেকে ৪:৫৪ সেকেন্ড পর্যন্ত, ভাইরাল ছবির দৃশ্যটি দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে প্রচুর সংখ্যক পিস্তল সুন্দরভাবে সাজানো রয়েছে।large number of pistols are seen arranged neatly.

এর থেকে স্পষ্ট যে লখনউতে সালাউদ্দিনের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে যে ছবিটি পোস্ট করা হচ্ছে, সেটা আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লোয়া প্রদেশের ক্রিমিনালিস্টিকস ল্যাবরেটরির ছবি।