Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
শীতলকুচিতে চতুর্থদফা ভোটের দিন পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান ৪জন। সোশ্যাল মিডিয়াতে কোচবিহারের শীতলকুচির বিক্ষোভের নামে একটি ভিডিও শেয়ার হচ্ছে যেখানে দেখা যাচ্ছে পোলিং বুথের ভেতর থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠি দিয়ে তাড়া করে বের করছে একদল মানুষদের। ঐ নির্বাচনী কেন্দ্রের সামনেও কিছু মানুষের জটলা দেখা যাচ্ছে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর তাড়া খেয়ে তারাও এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে।
টুইটারে Subha Rao নামের এক ব্যক্তি কাল এই ভিডিওটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন – “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থকরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে একটি ভোটকেন্দ্রে ঝড় তুলছেন।গুন্ডাদের দূরে সরিয়ে সিআরপিএফ দ্বারা দুর্দান্ত কাজ …”
এই ভিডিওটি টুইটারে আরও অনেকেই নিজেরদের প্রোফাইলে শেয়ার করেছে।
কীওয়ার্ড দিয়ে খোঁজার পর ফেসবুক থেকেও কোচবিহারের শীতলকুচির বিক্ষোভের নামে ভাইরাল এই ভিডিওটি আমরা পাই। ফেসবুকে ভিডিওটি শেয়ার করে বলা হয়েছে CRPFদের উপর তৃণমূলের দুধেল গাইদের করা আক্রমণের ভিডিওটি সবার দেখা দরকার। ফেসবুকে কিছু তৃণমূল ও সিপিএম মুখোশধারীরা শীতলকুচি ঘটনা হওয়ার পর ঐ সব দুধেল গাইদের প্রতি ভালোবাসা দেখাচ্ছে। কিন্তু যখন মাওবাদীদের দ্বারা দেশের জওয়ান মারা গেলো বা এই শীতলকুচিতে যখন CRPF জওয়ানদের উপর গ্রামবাসী চড়াও হয়েছিল তখন এদের কাউকে কিছু বলতে দেখা যায়নি।
ফেসবুকে শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে ভাইরাল ভিডিওটি নিচে দেখা যেতে পারে –
Fact -check / Verification
কোচবিহারের শীতলকুচির বিক্ষোভের পর থেকে কার্যত উত্তপ্ত হয়ে আছে বাংলার রাজনীতি। শীতলকুচির পাঠানটুলিতে প্রথমে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ যায় বছর আঠেরোর এক যুবকের।জানা গেছে এটিই ছিল তার প্রথম ভোট, এর পর উত্তেজনার পারদ ছড়াতে থাকে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে CRPF এর গুলিতে ১২৬ নম্বর বুথে ৪জন ভোটারের মৃত্যু হয়।
কোচবিহারের শীতলকুচির বিক্ষোভের ঘটনা যথেষ্ট চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে তৃণমূলে। এই ঘটনার পর বরাহনগরে দিলীপ ঘোষ নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বলেন যদি এই ধরণের বাড়াবাড়ি হয় তাহলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে। মমতা ব্যানার্জী চতুর্থদফা ভোটের আগে বলেছিলেন প্রয়োজনে ‘বিজেপির CRPF’কে ঘেরাও করতে এবং এই ধরনের প্ররোচনামূলক মন্ত্যবের জন্য নির্বাচন কমিশন আজ সন্ধ্যে আটটা পর্যন্ত তাকে কোথাও সভা করার অনুমতি দেয়নি। তৃণমূল নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তুলে দাবি করেছে মুখ্যমন্ত্রীর সভা নিষিদ্ধ হলে দিলীপ ঘোষকে কেন নোটিস দিলো না কমিশন?
আরও পড়ুন- শীতলকুচিতে তৃণমূলের গুন্ডাদের দ্বারা আক্রান্ত হলেন CISF জওয়ান?
সোশ্যাল মিডিয়াতে কোচবিহারের শীতলকুচির বিক্ষোভের নামে ছড়ানো ভিডিওটি নিয়ে আমরা অনুসন্ধান শুরু করি। Invid টুলের দ্বারা ভিডিওটিকে কিছু ফ্রেমে ভাগ করে নিয়ে আমরা খোঁজ করতে শুরু করি। Yandex এর দ্বারা ভাইরাল ভিডিওটির একটি লিংক আমরা পাই।
কোচবিহারের শীতলকুচির বিক্ষোভের নামে ভাইরাল ভিডিওটি ২০১৯ সালের মনিপুরের লোকসভা নির্বাচনের
কোচবিহারের শীতলকুচির বিক্ষোভের নামে ভাইরাল ভিডিওটি Yandex টুলের মাধ্যমে খোঁজার পর KANGLEI THAWAN নামের ইউটিউব চ্যানেলে পাই যা ২০১৯ সালে আপলোড হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা আছে ক্যামেগি মুসলিম এলাকায় ছাপ্পা ভোট চলছে। গুগলে খোঁজার পর জানা যায় এই অঞ্চলটি মনিপুরের। মনিপুরের ক্যামেগি অঞ্চলে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময় মুসলিম ভোটারদের ছাপ্পা ভোট দেওয়ার দাবি করা হয়েছে।
এই ভিডিওটির সূত্র ধরে গুগলে কীওয়ার্ড দ্বারা খোঁজ করার পর পূর্ব ভারতের সংবাদ সংস্থা EastMojo র টুইটার ও ফেসবুকে পোস্ট পাই যেখানে এই ভিডিওটি রয়েছে। ২০১৯ সালের ১৮ই এপ্রিল পোস্ট করা হয়েছে নির্বাচন কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাথে গন্ডগোলের ভিডিওটি যা বর্তমানে কোচবিহারের শীতলকুচির বিক্ষোভের নামে ভাইরাল হয়েছে।
EastMojo র আপলোড করা এই ভিডিও মনিপুরের ৬/১০ ক্যামেগি মুসলিম মাখা লেইকাই নির্বাচন কেন্দ্রের। এই ভিডিওটি ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের সময়ের।বলা হয়েছে এই অঞ্চলের ভোটাররা উত্তেজিত হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাথে হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছায় যখন তারা জানতে পারে যে EVM মেশিন ও VVPAT এর সমস্যার জন্য EVM মেশিনে ত্রুটি দেখা গেছে। উত্তেজিত জনতা EVM মেশিন নষ্ট করে ফেলে এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী বন্দুক, লাঠি হাতে নেমে পরে।
টুইটার থেকে Firstpost এর এটি টুইট পাই এই ঘটনাকে নিয়ে। টুইটে আমরা কোচবিহারের শীতলকুচির বিক্ষোভের নামে ভাইরাল ভিডিওটি দেখি।
Conclusion
সোশ্যাল মিডিয়াতে কোচবিহারের শীতলকুচির বিক্ষোভের নামে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে নির্বাচন কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথের ভেতর থেকে প্রায় লাঠি পেটা করে কিছু বিক্ষোভকারীদের বের করে আনছে। আমাদের অনুসন্ধানে এটি প্রমাণিত যে এই ভিডিওটি শীতলকুচির ভিডিও নয়। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় মনিপুরের ৬/১০ ক্যামেগি মুসলিম মাখা লেইকাই নির্বাচন কেন্দ্রে উত্তেজিত জনতা EVM মেশিন খারাপ হয়ে যাওয়ার পর ভোট মেশিন ভাঙচুর করার সময়কার ভিডিও।
Result- Misleading
Our sources
EastMojo Facebook & Twitter post- https://www.facebook.com/EastMojo/videos/1157168297784145 https://twitter.com/EastMojo/status/1118823082750173184
Firstpost tweet- https://twitter.com/firstpost/status/1118803326982709253
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.