Fact Check
Fact Check: ঈদ উপলক্ষে ‘রক্তের নদীতে’ ভাসল কলকাতার রাস্তা? না, নেটমাধ্যমে ছড়ালো বাংলাদেশের বেশকিছু পুরনো ছবি
Claim
ঈদ উপলক্ষে বিপুল পরিমাণ গো-হত্যা করায়, রক্তে লাল হয়ে গিয়েছে কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড বা চৌরঙ্গী বিধানসভা কেন্দ্র।
Fact
কোলাজের প্রথম তিনটে ছবির খোঁজ করলেও, সেই সম্পর্কে যথাযথ তথ্য আমাদের সামনে আসেনি। তবে কোলাজের বাকি দুটো ছবি কলকাতার নয়, সেটা প্রমাণ থেকেই স্পষ্ট। সেগুলো পুরনো বাংলাদেশের ছবি।
সম্প্রতি ইসলাম সম্প্রদাভুক্ত মানুষদের ঈদ উৎসব পালিত হয়েছে। এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঁচটি ছবি-সহ একটি ফটো কোলাজ খুব ভাইরাল হয়েছে। যে ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, লাল রঙের জলে রাস্তাঘাট ডুবে রয়েছে। সেই ছবিগুলোর সঙ্গে লেখা ফেসবুক পোস্টে অনেকেই দাবি করেছেন যে, ছবিগুলো কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড বা চৌরঙ্গী বিধানসভা কেন্দ্রের। নেটিজেনদের ওই অংশের আরও অভিযোগ যে, ঈদ উপলক্ষে গো-হত্যা করায়, রাস্তার জমা জলের সঙ্গে রক্ত মিশে, ওই লাল রঙের জল এলাকায় জমে রয়েছে।

Fact Check/ Verification
ভাইরাল কোলাজের চতুর্থ ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায় যে, ২০১৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর একই ছবি, indiatimes.com ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে ছবিটিকে বাংলাদেশে ঈদ উৎসব পালনের দৃশ্য বলে দাবি করা হয়েছিল।

একই সময়ে, জাপানের সংবাদ ওয়েবসাইটে, togetter.com-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও ছবিটিকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে, ঈদ উদযাপনের দৃশ্য বলা হয়েছিল।
এরপর, ভাইরাল কোলাজের পঞ্চম ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায় যে, ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সেটি hindustantimes.com ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৎকালীন সময়ে মুসলিমদের ঈদ উৎসব উদযাপনের জন্য, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রাস্তায় এত পরিমাণে গরু, ছাগল ও ভেড়া হত্যা করা হয়েছিল যে, রাস্তায় রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল।

একই সময়ে, huffpost.com ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনেও ছবিটি সম্পর্কে একই তথ্য পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ঈদের সময় অর্থাৎ ৭ এবং ৮ জুন, কলকাতার বেশ কয়েকটি এলাকায় লাল রঙের জল সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ও ভিডিয়ো পোস্ট করে অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, পুরসভা টাইম কল দিয়ে লাল রঙের ‘রক্ত মেশানো’ জল সরবরাহ করা হয়েছে।
এছাড়া কলকাতার পার্কসার্কাস এবং চৌরঙ্গী এলাকার দৃশ্যের দাবিতে বেশ কিছু ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এবং সেখানে দাবি করা হয়েছে যে, গোটা এলাকা কার্যত লাল রক্ত মেশানো জলে ভেসে গিয়েছে।
এই নিয়ে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারও।
Conclusion
কোলাজের প্রথম তিনটে ছবির খোঁজ করলেও, সেই সম্পর্কে যথাযথ তথ্য আমাদের সামনে আসেনি। তবে কোলাজের বাকি দুটো ছবি কলকাতার নয়, সেটা প্রমাণ থেকেই স্পষ্ট। সেগুলো পুরনো বাংলাদেশের ছবি।
Sources
Report by indiatimes.com, dated September 13, 2016
Report by hindustantimes.com, dated September 14, 2016