Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
সম্প্রতি বিহারে বালি খননের বিষয়কে নিয়ে নীতিশ কুমারের রাজ্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে আছে আর এই আবহে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে কিছু মহিলা ও বয়স্ক ব্যক্তিদের হাত পিছমোড়া করে বাধা। এই ভিডিওটিকে শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে বিহার রাজ্যের বিজেপি পুলিশ গ্রামের নিরীহ মহিলা ও পুরুষদের হাত পা বেঁধে বন্দি করে রেখেছে। এই গ্রামবাসীরা বিহারের বালি মাফিয়াদের পক্ষে। বিহার পুলিশদের এই ব্যবহারকে তালিবানদের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
ফেসবুকে শেয়ার হওয়া এই ভিডিওর কিছু স্ক্রিনশট আমরা এখানে দিলাম।
সম্প্রতি বিহারের গয়াতে নদীতীরবর্তী অঞ্চলে বালি খননকে চাঞ্চল্যকর অবস্থা তৈরী হয়েছে। বালি খননের সরকারি নোটিশ পেয়ে বালি তুলতে গিয়ে গ্রামবাসীদের সাথে সমস্যায় জোড়ায় গয়া পুলিশ। এই ঘটনার পর কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ বলেন জানা গেছে।
Fact check / Verification
বিহারের বালি খননের ঘটনাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে যে দাবি সমেত ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেই দাবিটির সত্যতা যাচাই করা শুরু করি আমরা। দাবি মতো কি কারণে গ্রামের নিরীহ মহিলা ও বয়স্কদের হাত বেঁধে রেখেছিলো পুলিশ তা জানার জন্য আমরা প্রথমে গয়া পুলিশের সাথে যোগাযোগ করি। গয়ার সিটি এসপি জানান ১২ই ফেব্রুয়ারি এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল। সরকারি টেন্ডার বের হওয়ার পর আধাতপুর অঞ্চলে বিহারের উর্ধতন পুলিশ আধিকারিক, জেলা শাসক, বিহারের মাইনিং কর্তৃপক্ষ, সমেত আরো কিছু ব্যক্তি যান এবং সেখানে সরেজমিনে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে। এরপর ১৫ই ফেব্রুয়ারি খনন কার্য শুরু করার সময় উপস্থিত গ্রামবাসী পুলিশ, জেলাশাসক ও উপস্থিত অন্যান্য আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে পাথর ছুঁড়তে থাকে। এরফলে পুলিশের কিছু কর্মী বিশেষ করে মহিলা কনস্টবলদের মাথায়, মুখে হাতে বেশ গুরুতর চোট লাগে।একই অবস্থা হয়েছে জেলা শাসকের সাথে আসা ব্যক্তিদের ও মাইনিং অফিসারদের। এই ঘটনার পর বিহার পুলিশ কিছু মহিলা ও বয়স্ক ব্যক্তিদের আটক করেছে এবং আহতদের তৎক্ষণাৎ জেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
গয়া সিটি এসপি আমাদের ওই দিনের ঘটনার কিছু ভিডিও পাঠিয়েছেন যা দেখে বোঝা যাচ্ছে গ্রামবাসীদের পাথর ছোড়ার কারণে গয়া পুলিশ তাদের আটক করেছে।
বিহারের বালি খননের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভ্রান্তিকর দাবি সমেত ভিডিও ছড়ালো
পুলিশের বয়ান ছাড়াও আমরা The New Indian Express ও The Quint এর রিপোর্ট পাই। রিপোর্টে বলা হয়েছে বেআইনি খননের কিছু ঘটনা বার বার উঠে আসছিলো গয়ার আধাতপুর অঞ্চল থেকে। এরপর সরকারি আধিকারিকরা খননের জন্য সেখানে পৌঁছালে শুরু হয় পাথর বর্ষণ। এই ঘটনার পর FIR দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে বলেও জানা গেছে। রাষ্ট্রীয় জনতা দলের বেলাগঞ্জের বিধায়ক সুরেন্দ্র প্রসাদ যাদব এই ঘটনার পর বিহারের নীতিশ কুমারের সরকারকে আফগানিস্তানে তান্ডব চালানো তালিবানদের সাথে তুলনা করার দাবীটিকে নস্যাৎ করেছেন।
Conclusion
আমাদের পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিহারের বালি খননের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাইরাল ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে বিহার পুলিশ নিরীহ গ্রামবাসীদের হাতপা বেঁধে অত্যাচার করেছে এই দাবিটি বিভ্রান্তিকর। গ্রামবাসীরা বেআইনি খনন কার্যের সাথে যুক্ত ছিল এবং পুলিশ দেখে তারা পাথর ছুড়তে থাকে বলে জানা গেছে।
Result: Misleading content
Our sources
Ground verification
The New Indian Express – https://www.newindianexpress.com/nation/2022/feb/17/bihar-women-pelt-stones-on-officials-in-gaya-district-get-handcuffed-by-police-2420595.html
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.