রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari), ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, স্বভাব বা ব্যবহার পরিবর্তন না করলে, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি থাকবে না। এমনকী, ওই ভিডিয়োতে তাঁকে আরও বলতে শোনা যাচ্ছে, “বিজেপি সবাইকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। সবাইকে বাংলাদেশি বলছে।”
ভিডিয়োটি ফেসবুকে পোস্ট করে একজন লিখেছেন, “বিজেপি দলনেতা কথা শুনুন জনগণ শুভেন্দু অধিকারী”।

Fact Check/ Verification
ভাইরাল ভিডিয়োর একটি কি-ফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায় যে, ১৭ অগাস্ট, শুভেন্দু অধিকারীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে, একই ফ্রেমের একিটি দীর্ঘ ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলেও একই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছিল। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, সেটি ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলকাতার তারাতলায় ‘জনগর্জন সভা’র ভিডিয়ো।

ওই ভিডিয়োর ১৩ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড সময়ে, শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) ভাইরাল ভিডিয়োর বক্তব্যগুলো বলে শোনা যায়। যেখানে, “অনুপ্রবেশকারী’ প্রসঙ্গে, বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের তরফ থেকে তোলা অভিযোগগুলো নিয়ে কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। হিন্দিতে তিনি বলেন, “ওরা এখানে কী বলেছে? বলেছে, বিজেপির নাম, চিহ্ন মিটিয়ে দেব। এখানে বিজেপি থাকবে না। বিজেপি ব্যবহার ঠিক করো। রাস্তায় আসো। বিজেপি কী করছে? বিজেপি সবাইকে তাড়াচ্ছে। সবাইকে বাংলাদেশি বলছে। আরে ভাই না! এবার কান খুলে শুনন- ১৫ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন যে, বিশ্বের কোনও দেশে অনুপ্রবেশকারীদের রাখা হয় না। আমাদের দেশেও রাখা হবে না। আপনাদের এত ভয় কেন। আমরা তো বারবার বলছি। বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, সুকান্ত মজুমদার বলছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এবং শান্তনু ঠাকুর বলছেন, আমিও স্পষ্ট করে বলছি- যারা ভারতীয় হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিস্টান তাদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। কেবল ভারতীয় নয়। নিজের ধর্মকে বাঁচাতে বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে এসেছেন, তাঁরাও অনুপ্রবেশকারী নন। তাঁরা আমাদের আত্মীয়, শরণার্থী। তাঁদের আশ্রয় দেওয়ার জন্যই সিএএ আইন আনা হয়েছিল।”
একই দিনে, Asianet News Bangla-র অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলেও একই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছিল।
Conclusion
এখান থেকে প্রমাণিত হয় যে, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নিজের দলের বিরুদ্ধে কথা বলছিলেন না, বরং তৃণমূল দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছিলেন। তাঁর বক্তব্যের একটা অংশ কেটে, ভুল ব্যাখ্যা-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হচ্ছে।
Sources
Facebook post, Suvendu Adhikari, August 17, 2025