Claim: রাজ্যের উচ্চশিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যেহেতু একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে তাই, পুনরায় পরীক্ষা হবে
Fact: যে বিজ্ঞপ্তিটি ছড়িয়েছে তা জাল, পর্ষদের ওয়েবসাইট থেকে আসল বিজ্ঞপ্তিতে পুনরায় পরীক্ষা হওয়ার মতো কোনো নির্দেশ নেই
সম্প্রতি আমাদের হোয়াট্সঅ্যাপে পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষা পর্ষদের নামে ২৭শে ফেব্রুয়ারির একটি বিজ্ঞপ্তি এসেছে যেখানে বলা হয়েছে ‘সকল উচ্চ মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান, সকল উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রী, ২০২৩ এর একাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী ও অবিভাবকদের উদ্দেশ্যে জানানো হচ্ছে ব্যাপকভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকল করার কারণে, ২০২৩ সালের একাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা পুনরায় নেওয়া হবে। পরীক্ষার রুটিন সচলের থেকে দেওয়া হবে।
ভাইরাল বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ই এপ্রিলে এই পরীক্ষা হওয়ার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটির নিচে রয়েছে ডেপুটি সেক্রেটারি উৎপল কুমার বিশ্বাসের সাক্ষর।

Fact check / Verification
প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কারণে পুনরায় একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা হবে এমন ধরণের কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা পর্ষদ।
মার্চ মাসে শুরু হয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু এই বিজ্ঞপ্তিটিতে যে তারিখ দেখা যাচ্ছে, ২৭শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩, সেই তারিখে পর্ষদের তরফ থেকে আদৌ কোনো নোটিশ প্রকাশিত হয়েছিল কিনা বা নোটিশ বের হলে সেটি কি বিষয়কে কেন্দ্র করে ছিল তা জানার জন্য আমরা WBCHSE এর ওয়েবসাইটে যাই।
২৭শে ফেব্রুয়ারিতে দুটি নোটিশ আমরা পাই। একটিতে রয়েছে ২০২৩এর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, পরীক্ষার সেন্টার ইনচার্জ, সেন্টার সেক্রেটারিদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে এই বছরের উচ্চমধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে পরীক্ষাকে আরো সুস্থ ভাবে পরিচালনা করার জন্য।
মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করা যাবেনা, প্রশ্নপত্রের Manual Tracking আরো জোরদার করতে হবে। প্রতিটি পরীক্ষা কক্ষে ২জন করে Invigilator বা পরিদর্শক থাকবে। তারা যখন নিশ্চিত হবেন যে কক্ষে কারোর কাছে মোবাইল নেই, তখনই যেন তারা প্রশ্নপত্র বিলি করেন ইত্যাদি। সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তিটি নিম্নে দেওয়া হলো।
দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তিটি একাদশ ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য। ২৭শে ফেব্রুয়ারির এই বিজ্ঞপ্তিতে উত্তরপত্রের নমুনা পত্র দেওয়া হয়েছে।
আমরা ২৭শে ফেব্রুয়ারির আগে ও পরের নোটিশও পরীক্ষা করি। কোনো নোটিশে এমন কোনো নির্দেশিকা নেই যে একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ব্যাপক ভাবে নকল করা ও প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ার কারণে পুনরায় এই পরীক্ষা হবে।
উপরে উল্লেখ করা রাজ্যের উচ্চশিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত নোটিশ ছাড়াও আমরা নিজেরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া নোটিশটির। আসল নোটিশে প্রতি শব্দ, লাইন যথেষ্ট পরিষ্কার, সহজে বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু নকল নোটিশটির লেখাগুলো ঝাপসা।
আসল বিজ্ঞপ্তিতে পুনরায় পরীক্ষা হওয়ার কোনো নির্দেশ নেই।
এই বছরে মার্চ থেকে শুরু হওয়া উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জীবনবিজ্ঞানের প্ৰশ্নপত্র পত্র পরীক্ষা শুরু দুই ঘন্টার মধ্যে ফাঁস হয়েছে যায়। যদিও রাজ্যের উচ্চশিক্ষা পর্ষদ এই বিষয়কে সত্যি বলে দাবি করেনি। উচ্চমাধ্যমিক পর্ষদের সভাপতি জানিয়েছেন পরীক্ষা শুরুর দুই আড়াই ঘন্টা পর যদি কোনো পরীক্ষার্থী বেরিয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট তা কোনো ভাবেই পরীক্ষার উপর প্রভাব ফেলতে পারে না। যদিও এখানে কথা বলা হয়নি পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে হোয়াট্সঅ্যাপে প্রাপ্ত রাজ্যের উচ্চশিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি যেখানে বলা হয়েছে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কারণে পুনরায় একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা হবে, ভাইরাল বিজ্ঞপ্তিটি জাল। পর্ষদের তরফ থেকে এমন কোনো নির্দেশিকা জারি হয়নি।
Result: False
Our Sources
West Bengal Council Of Higher Secondary Education
Self Observation
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।