Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
দাবি
বর্তমানে ভারত ও চীনের যুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে কিছু ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে ইন্ডিয়ান ও আমেরিকার সেনা এখন এক সাথে লাদাখ সীমান্তে যুদ্ধে নামবে। আবার কোথাও বলা হয়েছে ভারতে প্রচুর পরিমান মার্কিনসেনা আস্তে শুরু করেছে , চীন ও পাকিস্তান এবার যোগ্য জবাব পাবে। নিম্নে ভাইরাল হওয়া ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হলো।
https://www.facebook.com/indiatalk90/videos/563451231199206/
https://www.facebook.com/103715231365065/videos/742062283209437/
https://www.facebook.com/Somu3744/videos/287465399291960/
বিশ্লেষণ
গালওয়ান প্রদেশে চীনের সেনার অবৈধ অনুপ্রবেশ, সেনা ঘাঁটি নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। চীনের তরফ থেকে কথা-বার্তার দ্বারা এই সমস্যার সমাধানের ইঙ্গিত দিলেও, দিনের পর দিন একটু একটু করে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকাকে গ্রাস করে চলেছে কমিউনিস্ট চীন। চীনের আগ্রাসনের এই নীতির যথেষ্ট কড়া নিন্দা শুরু হয়েছে ভারতের রাজনৈতিক মহলেও। দিনের পর দিন সবার অলক্ষ্যে লাদাখের মাটির উপর নিজেদের সেনা ঘাঁটি তৈরী করা, প্রয়োজনীয় রসদ মজুত করা, কি করে চীন এতটা ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে তারই চুলচেরা বিশ্লেষণে ব্যস্ত সারাটা দেশ। এই সমস্যার মধ্যে যদিও আশার আলো হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা।
আমেরিকার ও ভারতের সেনাদের নিয়ে ভিডিও ও কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ ভাইরাল হয়েছে। কোথাও দেখা যাচ্ছে মার্কিন সেনাকে কাঁধে নিয়ে ভারতের সেনার মুখের হাসি, তো আবার কোথাও দুই দেশের সেনারা একে অপরকে করমর্দন করছে। কিন্তু এই ছবিগুলো এই পরিস্থিতির সাথে সম্পর্কিত নয়।
- প্রথম ছবি: ছবিতে ভারত ও আমেরিকার সেনাদের করমর্দন করতে দেখা যাচ্ছে। ২০১৩ সালে তোলা এই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। যুদ্ধ-অভ্যাসের প্রশিক্ষণের অস্ত্র পরিসরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার প্রশান্ত মিশ্র কে স্বাগতম জানাচ্ছে মার্কিন সেনার ক্যাপ্টেন কুল্লেন লিন্ড যিনি ৮২তম এয়ারবনের প্রথম ব্রিগেড কমব্যাট টিমের দায়িত্বভারে ছিলেন। ছবিটি তোলা হয় ২০১৩ সালের ৪ঠা মে নিউ কারোলিনার ফোর্ট ব্রঞ্জ-এ . ছবিটির আসল উৎস এখানে দেখতে পারেন।
- দ্বিতীয় ছবি: এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয়ও এক সেনার কাঁধে আমেরিকার এক সেনাকে দেখা যাচ্ছে এবং দুজনেই খুব হাসছে। ২০১৬ সালের যুদ্ধ-অভ্যাসের সময়কার ছবিটি। Defense forum India আমরা ছবিটি পাই থেকে।
- তৃতীয় ছবি: ভারতীয় এবং আমেরিকার সেনা একটি যুদ্ধ অস্ত্র নিয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। ২০১৮ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর চৌবাটিয়া মিলিটারি ঘাঁটিতে এই ছবিটি তোলা হয়েছে যখন ভারত এবং আমেরিকার সেনাদের মধ্যে যুদ্ধ-অভ্যাস ১৮ এর প্রশিক্ষণ চলছিল। Flickr ও Devishub ওয়েবসাইট থেকে ছবিটি আমরা পেয়েছি। ছবিতে দেওয়া অস্ত্রটি হলো M249 squad automatic weapon এর কি ভাবে চালনা করতে হয় তার বর্ণনা দিচ্ছে ভারতীয় সৈনিকটিকে।
- চতুর্থ ছবি: এখানে দুই দেশের সেনাকে এক ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে। এই ছবিটি ২০১৪ সালে উত্তরাখণ্ডের রানীক্ষেতের সেনা ছাউনিতে তোলা হয়েছিল। মার্কিন সেনার লেফট্যানেন্ট ড্যান মায়ার ২০১৪ সালে আয়োজিত যুদ্ধ-অভ্যাসের একটি অংশ যেখানে তাদের পাহাড়ের উপর দিয়ে যাওয়ার প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন, সেই সময়ে তোলা হয় এই ছবিটি। এখানে ও এখানে আসল ছবিটি দেখতে পারেন।
এবার আসা যাক ভিডিওর প্রসঙ্গে। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, দেখা যাচ্ছে ভারতের ও আমেরিকার সেনারা একে অপরকে প্যারাসুট, যুদ্ধ অস্ত্র রাখার যে ব্যাগ তা বাঁধতে সাহায্য করছে। ভিডিটিকে আমরা কিছু কীফ্রেমে ভাগ করে নিয়ে গুগলে সার্চ করি। ২০১৩ সালের যুদ্ধ অভ্যাসের একটি ইউটুবের লিংক পাই।
এই ভিডিওটি Joint Indian and American Chinook Jump 15May 2013 (Youdh Abhyas 2013) টাইটেল দিয়ে আপলোড করা হয়েছে ৩০ মে তে। নিউ কারোলিনার ফোর্ট ব্রঞ্জ-এ আয়োজিত ভারতীয়-মার্কিন সেনাদের যুদ্ধ-অভ্যাসের একটি যোগ্য ছিল CH-47 চিনুক হেলিকপ্টার থেকে ঝাঁপ দেওয়া।
defense.gov ওয়েবসাইটটি থেকে আমরা ভারতীয় সেনার হেলিকপ্টার থেকে ঝাঁপ দেওয়ার আগের মুহূর্তে হাসি মুখের একটি ছবি ও প্রশিক্ষণের বর্ণনা পাই।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল ভারত ও আমেরিকার সেনাদের ভিডিও ও ছবি এখনার নয়, ভারত ও চীনের সীমান্ত যুদ্ধ নিয়ে আমেরিকা ভারতকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঠিকই কিন্তু এই ছবিগুলোর দাবি অনুসারে ভারতে কোনো মার্কিন সেনাদের আনানো হয়নি।
ব্যবহৃত টুলস
- Google reverse image search
- Facebook search
- Youtube search
- Flickr.com
- Dvidshub.net
ফলাফল- অপ্রাসঙ্গিক Misleading
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। )
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.