Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
ফেসবুকে অগ্নিপথ প্রকল্পকে নিয়ে কিছু দাবি ছড়িয়েছে যেখানে বলা হয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অগ্নিবীর নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতি এবং ধর্মের উল্লেখ করতে হবে। অগ্নিপথ প্রকল্পের আওতায় অগ্নিবীরদের সেনাবাহিনীতে যোগদানের ক্ষেত্রে এবার আবেদনকারীর জাতি, ধর্ম উল্লেখ করতে হবে।
সম্প্রতি আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংহ টুইট করে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রশ্ন করেছেন কেন অগ্নিবীর আবেদনকারীদের আবেদনপরতে উল্লেখ করতে হবে, দলিত, পিছিয়ে পড়া জনজাতি, আদিবাসীদের কি নরেন্দ্র মোদির সরকার অগ্নিবীরের পদে যোগ্য বলে মনে করেন না? এমনই টুইট করে কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা মেরেছেন সঞ্জয় সিংহ।
অন্যদিকে সঞ্জয় সিংহের এই প্রশ্নকে সমর্থন জানিয়ে এবিপি আনন্দকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত সেন বলেছেন এর আগে কোনো দিন ভারতীয় সেনা নিয়োগে এর ধরণের প্রশ্ন করা হতো না, এখন নতুন করে কেন এই জাত-পাত ব্যবস্থা করা হলো?
শুধু সৌগত রায় নয়, বামপন্থী নেতা সুজন চক্রবর্তীও একই কথা বলেছেন। তার মতে অগ্নিবীর নিয়োগের দ্বারা দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থাকে সংকীর্ণ করে আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। অগ্নিবীর পদে সেনা নিয়োগ দেশকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে থেকে দিচ্ছে।
Fact check / Verification
অগ্নিবীর নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতি এবং ধর্মের উল্লেখ করতে হবে কিনা এই দাবিটির সত্যতা জানার জন্য আমরা কীওয়ার্ড দ্বারা খোঁজার পর ANI এর একটি টুইট পাই। এখানে ভারতীয় সেনার তরফ থেকে বলা হয়েছে অগ্নিবীরদের জন্য জাতি, ধর্মের উল্লেখ কোনো নতুন বিষয় নয়। ভারতীয় সেনা নিয়োগের সময় আবেদনকারীকে জানাতে হয় সে কোন ধর্মের এবং জাত কি। এই প্রথা অনেক বছর ধরেই চলে আসছে। আরো বলা হয়েছে সীমান্তে মোতায়েন থাকা সেনারা যখন যুদ্ধের কারণে বা গোলাগুলির কারণে প্রাণ হারান তখন তাদের দেহ দাহ করার ক্ষেত্রে সুবিধা হয় ধর্ম জানা থাকলে।
অন্যদিকে The Hindu র ২০১৩ সালের একটি রিপোর্ট পাই আমরা। এখান থেকে জানতে পারি ২০১৩ সালের ৪ঠা ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্টেও ভারতীয় সেনাতে ভর্তি হওয়ার সময় নিজের জাতি, ধর্ম জানানো প্রক্রিয়া বন্ধ করা দরকার। এই বিষয়গুলির উপর নজর রেখে সেনাতে ভর্তি করা করা হয়। যদিও সুপ্রিম কোর্টের এই মামলার বিষয়ে ভারতীয় সেনা থেকে জানানো হয়েছিল আবেদনকারীকে তার জাতি, ধর্মের ভিত্তিতে কখনই গ্রহণ করা হয় না, তার যোগ্যতার নিরিখেই সেনাতে স্থান দেওয়া হয়।
অগ্নিবীর নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতি এবং ধর্মের উল্লেখ করতে হবে দাবিটি বিভ্রান্তিকর
অর্থাৎ অগ্নিপথ প্রকল্পের অগ্নিবীরদের নিয়োগের ক্ষেত্রে ধর্মী, জাতির উল্লেখ করার বিষয়টি নতুন নয়, অনেক দিন আগে থেকেই রয়েছে। মিডিয়া রিপোর্ট ছাড়াও আমরা PIB এর একটি টুইট পাই. এখানে বলা হয়েছে ভারতের ইতিহাসে প্রথমবার সেনা নিয়োগের সময় আবেদনকারী কোন ধর্মের, কোন জাতি সম্প্রদায়ের তা জানা হচ্ছে। এই দাবিটি বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যে।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংহ ও তৃণমূলের সৌগত রায়ের করা দাবি অগ্নিবীর নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতি এবং ধর্মের উল্লেখ করতে হবে আসলে বিভ্রান্তিকর। অনেক আগে থেকেই ভারতীয় সেনাতে নিয়োগের সময় ধর্ম ও জাতের উল্লেখ করতে হয়।
Result: Partly False
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.