শুক্রবার, নভেম্বর 22, 2024
শুক্রবার, নভেম্বর 22, 2024

HomeFact CheckFact Check: হাতে বন্দুক ধরা এই চার মহিলা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না,...

Fact Check: হাতে বন্দুক ধরা এই চার মহিলা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, ফেসবুকে ছড়ালো ভুল দাবি 

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Claim: হাতে বন্দুক ধরা এই চার মহিলার ছবি ১৯৭১ এ তোলা হয়েছিল, এনারা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা
Fact: দাবিটি ভুল, ছবিটি ১৯৬১ সালে তোলা হয়েছিল। এনারা তৎকালীন বাংলাদেশের বিত্তবান পরিবারের চার মহিলা সদস্যা 

ফেসবুকে একটি সাদাকালো ছবিকে ঘিরে দাবি করা হয়েছে হাতে বন্দুক ধরা এই চার মহিলা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তখনকার ছবিকে এখন আবার পুনঃনির্মান করলেন।  

ভাইরাল ছবিতে চারজন মিহিলাকে একটি জীপ গাড়িতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে তিন জনের হাতে বন্দুক ও একজনের হাত গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে উপর। বলা হচ্ছে ছবির এই চার মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে জীপ গাড়িটিও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এই তথ্যের উৎস হলো BBC News .

হাতে বন্দুক ধরা এই চার মহিলা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা image 1
Courtesy: Facebook/SimaPal
হাতে বন্দুক ধরা এই চার মহিলা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা image 2
Courtesy: Facebook/Krishna Mukherjee

Fact Check / Verification 

হাতে বন্দুক ধরা এই চার মহিলা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, সাদাকালো এই ছবিকে নিয়ে ফেসবুকে ছড়ালো ভুল দাবি। 

ছবিটির কমেন্টে আমরা দেখি হুমায়রা রহমান পিঙ্কি লিখেছেন এই ছবিটি ওনার খালার, রোকেয়া আহমদের যিনি ২০২০ সালেই মারা গিয়েছেন। ছবিটি তুলেছিলেন ওনার স্বামী এবং বাকি যে মহিলাদের দেখা যাচ্ছে তারা ওনার খালার শ্বশুরবাড়ির। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। 

গুগলে ‘রোকেয়া আহমেদ মুক্তিযোদ্ধা’ কথাটি লিখে খোঁজার পর প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন পাই। ২০২১ সালের ৩১শে মার্চের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশের ষাটের দশকের এই ছবি ফেসবুকে ভুল দাবি সমেত ভাইরাল হয়েছে। বাংলাদেশের মানিকগঞ্জের জাহাজ ব্যবসায়ী ছিলেন শামসুদ্দীন আহমেদ। ওনার ছিল শিকারের নেশা, তিনি নাকি প্রায়ই শিকারে যেতেন এবং মাঝেমাঝে পরিবারের লোকদেরও সাথে নিয়ে যেতেন। যে চার মহিলাকে দেখা যাচ্ছে ওনারা শামসুদ্দীন আহমেদের পরিবারের। যিনি গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসা তিনি শামসুদ্দীনের মেয়ে আয়েশা রহমান। ওনার পাশে বসা মহিলা ওনার বৌদি রোয়েকা আহমেদ এবং পেছনের দুজন শাহানার ও রাশিদা আহমেদ। এরমধ্যে পেছনের দুজন মারা গিয়েছেন। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৬০এর দশকের পর ২০১৫ বা ২০১৭ সালে এই চারজন একসাথে হন এবং পুনরায় তাদের জীপের ছবির আদলে ছবিতোলা হয়। রঙিন ছবিটি তুলেছেন রোকেয়া আহমেদের ছেলে আমিনউদ্দিন আহমেদ। সবুজ রঙের জীপে বসা আমীনুদ্দীনের ছবিও আমরা পাই এই প্রতিবেদনে। ওনাদের সাদাকালো এবং রঙিন চিবিয়ে ঘিরে সমাজ মাধ্যমে যে দাবি করা হয়েছে তাতে ওনারা খুবই বিব্রত। ছবিটি মুক্তিযুদ্ধর অনেক আগে তোলা বলা আহমেদ পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। 

প্রথম আলোর প্রতিবেদন ছাড়াও আমরা NewsBangla24.com এর ২০২১ সালের ৩১শে মার্চের রিপোর্ট পাই। ফেসবুকে রোকেয়া আহমেদের পুত্রবধূর সাক্ষাৎকার পাই নিউজবাংলা ২৪ এর পেজ থেকে। রিফাত আহমেদ জানিয়েছেন ফেসবুকে মুক্তিযোদ্ধার নামে এই চার মহিলার ছবি ভাইরাল হলেও আসলে এটি একটি পারিবারিক ছবি। ২০১৭ সালে রিফাতের ছেলের বিয়ের সময় চার ননদ বৌদি এক সাথে হলে তাদের নিয়ে জীপ গাড়িতে বসিয়ে এই ছবিটি তোলা হয়। শামসুদ্দীন আহমেদ তৎকালীন বাংলাদেশের একজন নামী ব্যবসায়ী ছিলেন। রিফাত জানান পঞ্চাশের দশকেই শামসুদ্দীন বিশ্ব ভ্রমণ করে আসেন। সৌখিন শামসুদ্দীনের ছিল ক্যামেরা ও গাড়ির শখ। 

Conclusion 

আমাদের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য থেকে বলতে পারি ফেসবুকে হাতে বন্দুক ধরা এই চার মহিলা বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এই দাবিতে যে ছবিটি তোলা হয়েছে তা ষাটের দশকের ছবি। এনারা কেউই মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না বলে তাদের পরিবার জানিয়েছেন। 

Result: False 

Our Sources 
Prothom Alo report published on 31 March 2023
NewsBangla24.com report on 31 March 2023


সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Paromita Das
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Most Popular