শুক্রবার, নভেম্বর 22, 2024
শুক্রবার, নভেম্বর 22, 2024

HomeFact CheckFact Check: আমের সাথে ঠান্ডা পানীয় পান করলে মৃত্যু হতে পারে? জানুন...

Fact Check: আমের সাথে ঠান্ডা পানীয় পান করলে মৃত্যু হতে পারে? জানুন সত্যতা 

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Claim: আম খাওয়ার পর ঠান্ডা পানীয় পান করলে সাথে সাথে অ্যাসিড তৈরী হয় যা থেকে মৃত্যু হয় 
Fact: দাবিটি পুরোপুরি মিথ্যে, এমন ধরণের কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই যে আম ও ঠান্ডা পানীয় এক সাথে খেলে অ্যাসিড তৈরী হয় যা কিনা জীবন কেড়ে নিতে পারে 

আমাদের হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বরে(9999499044)সম্প্রতি একটি মেসেজ এসেছে যেখানে বলা হয়েছে – ‘ আম খান এবং তার উপর ঠান্ডা পানীয় পান করবেন না! কয়েকজন পর্যটক চণ্ডীগড়ে গিয়েছিলেন। আম খাওয়ার পরপরই কোল্ড ড্রিংক পান করেন তিনি। তারা সবাই অসুস্থ এবং অজ্ঞান বোধ করতে শুরু করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের সবাইকে মৃত ঘোষণা করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আম খাওয়ার পর কোনো কোল্ড ড্রিংক বা কোমল পানীয় পান করা উচিত নয়। আমের সাইট্রিক অ্যাসিড এবং কোল্ড ড্রিংকের জৈব অ্যাসিড একত্রিত হয়ে বিষ তৈরি করে। দয়া করে এই বার্তাটি আপনার সমস্ত প্রিয়জনকে ফরোয়ার্ড করুন। বর্তমানে আমের মৌসুম শুরু হয়েছে।’

আমের সাথে ঠান্ডা পানীয় পান করলে মৃত্যু হতে পারে image 2

ফেসবুকে ও একই দাবি ছড়িয়েছে – 

আমের সাথে ঠান্ডা পানীয় পান করলে মৃত্যু হতে পারে image 3
Courtesy: Facebook/mono.ghosh
আমের সাথে ঠান্ডা পানীয় পান করলে মৃত্যু হতে পারে image 4
Courtesy: Facebook/Sanjay Biswas

Fact check / Verification 

এই দাবিটি ভুল যে আমের সাথে ঠান্ডা পানীয় পান করলে মৃত্যু হতে পারে। আম ও ঠান্ডা পানীয়ের দাবিতে উল্লেখ করা হয়েছে চন্ডিগড়ে একদল পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে কারণ তারা আম খাবার পরেই ঠান্ডা পানীয় বা কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করেছিল। জানিয়ে রাখি আমরা এমন কোনো সংবাদ পাইনি যেখানে এই ধরণের ঘটনার কথা বলা হয়েছে না কোনো চিকিৎসকের মন্তব্য পাই যিনি বলছেন এই দুটি খাবার এক সাথে খেলে মৃত্যু হতে পারে। 

প্রথমে আমরা অনুসন্ধান করি আম খাবার পর মানব দেহে কি কোনো অ্যাসিড বা ক্ষারের উৎপত্তি হয় এবং যদি হয় তাহলে তা কি ধরণের? 

ভারতে গ্রীষ্ম কালের অন্যতম জনপ্রিয় ফল হলো আম। গরমের হাত থেকে সাময়িক রেহাই পাওয়ার লক্ষে আম খাওয়া হয়। গুগলে অনুসন্ধানে পর আমরা National Library Of Medicine এর ২০১৯ সালের ১৭ই অক্টোবরের একটি তথ্য পাই। এখানে বলা হয়েছে আম এমন একটি ফল যার মধ্যে পুষ্টিকর গুণ ও স্বাস্থ্যকারী উপাদানে ভরা। আমের মধ্যে ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টস রয়েছে যেমন – ফ্যাটি অ্যাসিড, সাইট্রিক অ্যাসিড,অ্যামিনো অ্যাসিড, লিপিড ও জৈব ক্ষার থাকে। তাছাড়া থাকে ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। কাঁচা আমের তুলনায় পাকা আমে ওমেগা ৩ ও ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। এখানে আমের মধ্যে কি কি ধরণের ক্ষার ও পুষ্টিগুণ থাকে তার তালিকা রয়েছে। 

আমের সাথে ঠান্ডা পানীয় পান করলে মৃত্যু হতে পারে image 5

অন্যদিকে আমরা অনুসন্ধান করি ঠান্ডা পানীয় বা কোল্ডড্রিঙ্কস কি সত্যিই কোনো ক্ষতি করে কিনা আম খাওয়ার পর। ঠান্ডা পানীয়ের মধ্যে মূলত কার্বন-ডাই-অক্সাইড মেশানো থাকে। এই পানীয়ের মধ্যে অতিরিক্ত চাপ দিয়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড থাকে যা মূলত বোতলের ঢাকনা খোলার সাথে সাথেই মিলিয়ে যায়। কার্বোনেটেড এই পানীয়ের মধ্যে স্বাদ ও গন্ধ যুক্ত করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

কিন্তু আমের মধ্যে থাকা অ্যাসিড ও ঠান্ডা পানীয়ের অ্যাসিড এক সাথে মিলে গেলে কোনো বিকার ঘটায় না। কারণ  আমের মধ্যে থাকা টক জাতীয় ক্ষার ও কার্বনেট পানিও দুই মিলে গ্যাস উৎপন্ন করে। যা মূলত বুদ্বুদ উৎপন্ন করে। 

আমরা মহারাষ্ট্রে Dr. KLE Hospital এর ডঃ মাদব প্রভুর সাথে যোগাযোগ করে এই বিষয়টি জানাই। তিনি বলেন ‘আম ও ঠান্ডা পানীয় এক সাথে বা পর পর খেলে এমন কোনো অ্যাসিড তৈরী হয়না যা কিনা মৃত্যুর কারণ হয় দাঁড়ায়। এটি দাবিটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। 

যশোদা হাসপাতালের শ্রুতিকা সিঙ্গারের সাথে কথা বলি আমরা যেখানে তিনি জানিয়েছেন পাকা আমের মধ্যে সাইট্রিক অ্যাসিড অনেক কম পরিমানে থাকে এবং এটি কার্বনেট পানীয়ের সাথে মিলে কোনো বিকার ঘটায় না। তবে প্রতিদিন যদি কেউ ঠান্ডা পানীয়ের সেবন করে থাকে তাহলে তার পাকস্থলীর মধ্যে অস্বাভাবিক পরিমানে গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়। 

পুষ্টিবিদ রাজেস্বরী সেলকে জানিয়েছেন সাইট্রিক অ্যাসিড ও ঠান্ডা পানীয় একে ওপরের সাথে মিলে প্রাণঘাতী অ্যাসিড উৎপন্ন করে এমন কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমান নেই।

Conclusion

আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে  আমের সাথে ঠান্ডা পানীয় পান করলে মৃত্যু হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল এই দাবিটি মিথ্যা। 

(প্রতিবেদনটি সর্বপ্রথম Newschecker Marathiতে প্রকাশিত হয়েছে)

Result: False

Our Sources
Article published by National Library of Medicine on October 17, 2019
Article published by Britannica on February 14, 2023
Conversation with Dr. Madhav Prabhu, KLE Hospital
Conversation with Dr. Shrutika Shingaare, Yashoda Hospital


সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Paromita Das
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Most Popular