Authors
Claim
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে একটি মন্দির জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Fact
ভাইরাল ভিডিয়োর একটি কি-ফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে দেখা যায় ৫ অগাস্ট Kalbela-র ওয়েবসাইটে একই ধরনের ছবি সম্বলিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সাতক্ষীরা জেলায় একটি মিছিল হয়েছিল এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লিগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে হামলার তথ্যও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু মন্দিরে অগ্নিসংযোগের তথ্য মেলেনি।
আরও তদন্তে, আমরা এইচবি রিতা প্রথম আলো সংবাদমাধ্যমের একজন সাংবাদিকের একটি পোস্ট দেখতে পাই। ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছিল যে, ভাইরাল ভিডিয়ো কোনও মন্দিরের নয়। বরং সাতক্ষীরার কলারোয়ায় অবস্থিত ‘রাজ প্রসাদ’ নামের একটি কফি শপ ও হোটেলের।
সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে আমরা কি-ওয়ার্ডগুলি সার্চ করি এবং YouTube-তে ‘রাজ প্রসাদ’-এর একাধিক খুঁজে পাই। যা দেখতে পাওয়া যাবে, এখানে , এখানে এবং এখানে। প্রায় সাত মাস আগে পোস্ট করা একটি ভিডিয়োর ক্যাপশনে ‘রাজ প্রসাদ রেস্তোরাঁ কলারোয়া, সাতক্ষীরা’ লেখা রয়েছে এবং ভিডিয়োতে দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায় যে, রাজ প্রসাদ হোটেলটির মালিকের নাম কাজি শাহজাদা ভাই। ভাইরাল ভিডিয়োর বাড়িটির সঙ্গে ইউটিউবের ভিডিয়োর বাড়িটির তুলনা করলেই স্পষ্ট হয়ে যায় যে, দুটো বাডি় একই।
‘রাজ প্রসাদ রেস্তোরাঁ এবং রিসোর্ট’-এর ট্যুর ভিডিও দেখে এটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে ভিতরে কোথাও কোনও মন্দির তৈরি হয়নি।
গুগল ম্যাপে ‘রাজ প্রসাদ রেস্টুরেন্ট কলারোয়া, সাতক্ষীরা’ সার্চ করলে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির একটি ছবি দেখতে পাওয়া যায়।
সুতরাং, এখান থেকেই স্পষ্ট যে ভাইরাল ভিডিয়োটি কোনও মন্দিরে অগ্নিসংযোগের নয়। বরং একটি রেস্তরাঁর।
Result: False
Source
Report by Kalbela