Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
দাবি
সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতালির করোনাতে ক্ষতি গ্রস্ত কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে যার মধ্যে সব থেকে বেশি শেয়ার হয়েছে ইতালির হসপিটালের কিছু ছবি। এই ছবি গুলির সাথে ‘#ইতালির হাসপাতালগুলিতে আর কোনো জায়গা নেই ‘ – এই বার্তা সমেত শেয়ার করা হয়েছে। ফেসবুক থেকে আমরা এই ধরণের কিছু পোস্ট ও ভিডিও পাই নিচে সেই পোস্টগুলো দেওয়া হলো।
বিশ্লেষণ
সম্প্রতি ইতালি করোনা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মানব ইতিহাসের সংক্রামক রোগের সব থেকে ভয়ঙ্কর রূপটি উপলব্ধি করছে। প্রায় প্রতিদিনই ইতালিতে মানুষ মারা যাচ্ছে এই অণুজীবাণুর জন্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে প্রাপ্ত নথির দ্বারা ইতালিতে মোট ৭৪,৩৮৬ জন এই করোনাতে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৭৫০৫ জনের এতে বলি হয়েছে, যা চীনের মৃতদের সংখ্যার থেকেও বেশি।
এই সংক্রমণ রোগ প্রমান করছে যে শুধু মাত্র উন্নত দেশ বা উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা হলেই এই রোগকে আটকানো যাবে তা নয়। সারা বিশ্ব অপেক্ষায় রয়েছে কবে এই তান্ডবলীলার অবসান হবে কারণ এখনও পর্যন্ত এই সংক্রমণের প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি।
করোনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে অনেক বার্তা/ভিডিও/ ছবি ভাইরাল হয়েছে। এই ধরণেরই কিছু ছবির কোলাজ পোস্ট ভাইরাল হয়েছে যার কথা আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনের প্রথমেই উল্লেখ করেছি। এর ছবিগুলির পরিস্থিতি বর্ণনা স্বরূপ বলা হয়েছে যে ইতালিতে করোনা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্তদের সংখ্যা দিন দিন এতো বেড়ে চলেছে যে হাসপাতালগুলিতে আর জায়গা হচ্ছে না রুগীদের রাখার। ছবি অনুযায়ী কোথাও দেখা যাচ্ছে রাস্তায় হাসপাতলের কিছু বিছানা সারি দিয়ে রাখা আছে , আবার কোথাও রোগীরা কম্বল গায়ে ভীত মুখে রাস্তায় চেয়ারের উপর বসে আছে। ভাইরাল এই ছবিগুলি নিয়ে আমরা আমাদের অনুসন্ধান শুরু করি। ছবি অনুযায়ী আমার আমাদের রিপোর্ট গুলি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
ফেসবুকে পাঁচটি ছবি আপলোড করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ছবির বিবরণ আমরা আমাদের রিপোর্টে দেব। বিবরণ গুলি নিচে দেওয়া হলো-
– একটি দেওয়াল ঘেঁষে সার দিয়ে হাসপাতালের রোগীদের বিছানা সাজানো রয়েছে। এই ছবিটি হলো ইতালির ক্রোয়েশিয়ার একটি হাসপাতালের ছবি। ভূমিকম্পের সময় হাসপাতালের সব রোগীদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য বিছানা ও রোগীদের বাইরে নিয়ে আসা হয়।
দ্বিতীয় ছবিটি হলো রাস্তার মধ্যিখানে এলোমেলো ভাবে রোগীর বিছানা রাখা। এখানে বলে রাখি প্রথম ও দ্বিতীয় ছবিটি আমরা Vrisak.info নামক একটি ক্রোয়েশিয়ান পত্রিকা থেকে পেয়েছে। যেখানে ঘটনার পরিপূর্ণ বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
এবার আশা যাক বাকি ছবি গুলির কথায়। বাকি যে তিনটি ছবি রয়েছে যেখান দেখা যাচ্ছে একজন রোগী সাদা চাদর গায়ে চড়িয়ে বসে আছেন ও তার পাশে অন্যান্য রোগীরা কেউ বসে বা কেউ দাঁড়িয়ে, আর একটিতে দেখা যাচ্ছে তিন চারজন অসুস্থ ব্যক্তিরা কম্বল গায়ে জড়িয়ে অসহায়ের মতো রাস্তায় চেয়ারে বসে আছে। আর সব শেষের ছবিটি হলো কিছু পুরুষ কতগুলি ইনকিউবেটর সারি দিয়ে নিয়ে চলেছেন। এই তিনটি ছবির হদিস আমরা পাই Ecowatch ও ABC.net এর ওয়েবসাইট থেকে। রিপোর্ট ছাড়াও আমরা একটি টুইট পাই যেখানে এই ছবিগুলি দিয়ে এই ঘটনার প্রতি দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
A destructive 5.4 magnitude #earthquake hit Zagreb, Croatia this morning – the strongest in 140 years! It breaks my heart to see the hospitals evacuated like this during #coronavirus with patients and mothers with their newborn babies out in the cold pic.twitter.com/YC6rikESHs
— Angjelina (@angjelinaahmeti) March 22, 2020
আসলে গত ২২সে মার্চ ইতালির ক্রোয়েশিয়াতে এক বিধ্বংসী ভূমিকম্প হয়। যার ফলে ১৫ বছরের একটি বাচ্চার প্রাণ যায় ও আরও ১৬ জন সাধারণ মানুষের গুরুতর আঘাত লাগে।
আমরা Google keyword search এর দ্বারা The Guardian, BBC, Voanews প্রভৃতি সংবাদ সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে এই খবরের পূর্ণ বিবরণ পাই।
করোনার এই করাল প্রকোপের সামনে দাঁড়িয়ে ইতালিকে প্রাকৃতিক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। সরকারের তরফ থেকে সাধারণ মানুষদের পার্ক, রেস্তোরাঁ বা কোনো বিল্ডিং এ আশ্রয় নিতে মানা করা হয় কিন্তু একে করোনার রুগী তার মধ্যে এই ভূমিকম্প, মানুষ বিভ্রান্তের মতো এদিক ওদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। শুধু সাধারণ মানুষেরই নয় ,এই ভূমিকম্পের জেরে জিগ্র্যাবের প্রাচীন ক্যাথেড্রাল গির্জা ও মিউজিয়ামের ক্ষতি হয়েছে চোখে পড়ার মতো। এই ঘটনার জেরে পোপ ক্রোয়েশিয়া বাসীদের উদ্দেশ্যে নিজের শোকবার্তা দিয়েছেন।
অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়াতে সে বার্তাটি ভাইরাল হচ্ছে যে ইতালিতে করোনা রুগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়াতে রুগীদের রাস্তায় রাখা হচ্ছে, এই বার্তাটি সম্পূর্ণ ভুল ও যে ছবি গুলি ব্যবহার করা হয়েছে তার পরিস্থি সম্পূর্ণ আলাদা।
আমাদের সব রকম তথ্যগুলিকে ভালো করে যাচাই করার পর আমরা এই পোস্টটিকে বিভ্রান্তিকর বলে প্রমান করি।
ব্যবহৃত টুলস
- Google Reverse Image Search
- Facebook Search
- Twitter Search
ফলাফল: আংশিক মিথ্যা Partially false
(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে)
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.