রবিবার, ডিসেম্বর 22, 2024
রবিবার, ডিসেম্বর 22, 2024

HomeCoronavirusটাটা ডিজিটাল হেলথকেয়ার কোনো COVID-19 মেডিক্যাল কিট বাড়িতে রাখার নির্দেশ দেয়নি,...

টাটা ডিজিটাল হেলথকেয়ার কোনো COVID-19 মেডিক্যাল কিট বাড়িতে রাখার নির্দেশ দেয়নি, WhatsApp ফরয়ার্ডের দ্বারা ছড়ালো ভুল তথ্য

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

ভাইরাল ম্যাসেজ

আমাদের কাছে সম্প্রতি একটি ম্যাসেজ আসে হোয়াটস্যাপের্ দ্বারা যেখানে বাড়িতে Covid মেডিক্যাল কিট বাড়িতে রাখার ব্যাপারে কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে।  এই বার্তাটির সাথে একটি লিংক দেওয়া হয়েছে যা টাটা ডিজিটাল হেলথকেয়ারের।  যে তথ্য এখানে দেওয়া হয়েছে তা হলো – 

কোভিড মেডিকেল কিটটি বাড়িতে রাখা প্রয়োজন :

1. প্যারাসিটামল

2. মাউথওয়াশ এবং গার্গেল করার জন্য বিটাডাইন

3. ভিটামিন সি এবং ডি 3

5. বি কমপ্লেক্স

6. ভ‍্যাপার নেওয়ার জন‍্য ক্যাপসুল

7. অক্সিমিটার

৮. অক্সিজেন সিলিন্ডার (শুধুমাত্র জরুরি কারণে)

9. আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশন

১০. শ্বাস প্রশ্বাসের ব‍্যায়াম

কোভিডের তিনটি স্তর:

1. কেবল নাকে অবস্থানকালে কোভিড – পুনরুদ্ধারের সময় অর্ধেক দিন। (ভেপার ইনহেলিং), ভিটামিন সি, এসময়ে সাধারণত জ্বর হয় না। Asymptomatic।

2. গলায় কোভিড – গলা ব্যথা, পুনরুদ্ধারের সময় 1 দিন (গরম জলে গারগল, গরম জল পান করা, যদি জ্বর হয় তবে প্যারাসিটামল। ভিটামিন সি, বি কম্প্লেক্স। অ্যান্টিবায়োটিক লাগতে পারে মারাত্মক হলে

3. ফুসফুসে কোভিড- কাশি এবং শ্বাসকষ্ট 4 থেকে 5 দিনের মধ্যে। (ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, গরম জলের গার্গেল, অক্সিমিটার, প্যারাসিটামল, অক্সিজেন সিলিন্ডার যদি গুরুতর হয় তবে, প্রচুর তরল প্রয়োজন, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম।

হাসপাতালে যাওয়ার মত অবস্থা :

অক্সিজেন স্তর পর্যবেক্ষণ করুন। যদি এটি 43 (স্বাভাবিক 98-100) এর কাছাকাছি যায় তবে আপনার অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রয়োজন। যদি বাড়িতে ব‍্যাবস্থা থাকে, তবে কোনও হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে না।

* সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন! *

 দয়া করে আপনার পরিচিতদের FWD করুন। আপনি কখনই জানেন না এটা কাকে সাহায্য করতে পারে।

টাটা গ্রুপ ভাল উদ্যোগ শুরু করেছে, তারা চ্যাটের মাধ্যমে অনলাইনে চিকিৎসকের পরামর্শ প্রদান করছে। আপনার জন্য এই সুবিধাটি শুরু করা হয়েছে যাতে আপনার চিকিৎসকদের পরামর্শের জন্য বাইরে যেতে না হয় এবং যাতে আপনি বাড়িতেই নিরাপদে থাকেন।

নীচে লিঙ্কটি দেওয়া হয়েছে, আমি প্রত্যেককে এই সুবিধাটি গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।

https://www.tatahealth.com/online-doctor-consultation/general-physician

পরামর্শ মেনে আইসোলেশন হাসপাতালগুলির ভিতরের পরিসেবা আমরা ঘরে বসেই করে নিতে পারি

আইসোলেশন হাসপাতালে নেওয়া ওষুধগুলি

 1. ভিটামিন সি -1000

 2. ভিটামিন ই (ই)

 3. (10 থেকে 11) ঘন্টা থেকে, 15- 20 মিনিটের জন্য রোদে বসা।

 4. ডিমের মিল একবার ..

 ৫. সর্বনিম্ন — ৮ ঘন্টা বিশ্রাম / ঘুম

 6. প্রতিদিন 1.5 লিটার জল পান করা

সমস্ত খাবার গরম হওয়া উচিত (ঠান্ডা নয়)।

শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হাসপাতালে এগুলোই করা হয় ।

মনে রাখবেন যে করোনাভাইরাসের পিএইচ লেভেল 5.5 থেকে 8.5 এর মধ্যে ঘোরাফেরা করে ।

 অতএব, ভাইরাসটি নির্মূল করার জন্য আমাদের যা করতে হবে তা হ’ল ভাইরাসের অম্লতা স্তরের বেশি ক্ষারযুক্ত খাবার গ্রহণ করা।

যেমন :

1. কলা

2. সবুজ লেবু – 9.9 পিএইচ

3. হলুদ লেবু – 8.2 পিএইচ

3. অ্যাভোকাডো – 15.6 পিএইচ

 * রসুন – 13.2 পিএইচ

 * আম – 8.7 পিএইচ

 * টেঞ্জারিন – 8.5 পিএইচ

 * আনারস – 12.7 পিএইচ

 * জলচক্র – 22.7 পিএইচ

 * কমলা – 9.2 পিএইচ

 আপনি কীভাবে জানবেন যে আপনি করোনার ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত?

 1. গলা চুলকানো

 2. শুকনো গলা

 ৩. শুকনো কাশি

 4. উচ্চ তাপমাত্রা

 5. শ্বাসকষ্ট

 6. গন্ধ বা স্মেল হারিয়ে ফেলা…

হালকা গরম জলে লেবু মিশিয়ে পান করলে ফুসফুসে পৌঁছানোর আগেই ভাইরাসটি দূরীভূত হয় …

এই তথ্যটি কেবল নিজের কাছে রাখবেন না। এটি আপনার সমস্ত পরিবার, সমস্ত বন্ধুদের এবং সকল পরিচিতদের সরবরাহ করুন।

ফ্যাক্ট-চেক 

এই ম্যাসেজে করোনা ভাইরাসের ph মাত্রা নিয়ে, রোদ  পোহান, ভিটামিনে সি ও ই ট্যাবলেট সেবন করা নিয়ে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে , সেগুলি সম্পূর্ণ রূপে ভুল এবং এর ফ্যাক্ট-চেক আমরা আগেও করেছি।  ভাইরাসের কোনো অম্ল বা ক্ষারীয় মাত্রা থাকে না, তাই অম্ল বা ক্ষারীয় জাতীয় খাবার এই ভাইরাসকেনির্মূল করতে সক্ষম, এমন ভাবাটাই ভুল।  এছাড়াও ভিটামিন সি ও ই দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে শুধু মাত্র।  এক ঘন্টা রোদ পোহানো কখনোই করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রে উপযোগী, তা প্রমাণিত নয়।  

এবার আমরা কথা বলবো টাটা ডিজিটাল হেলথকেয়ার থেকে এই ধরণের কোনো নির্দেশ জনসাধারণের জন্য দেওয়া হয়েছে কিনা।  

যে লিংকটি বার্তাটিতে দেওয়া হয়েছে, সেই লিংকটি খোলার পর যে পেজটি খোলে সেখানে বিনামূল্যে ডাক্তারদের সাথে কথোপকথন করার একটি চ্যাটবক্স রয়েছে।  

এই বার্তাটিতে কিছু এমন বিষয় যেমন রোদে দাঁড়ানো, অম্ল বা ক্ষারীয় মাত্রার খাবার খাওয়া, এই যুক্তিহীন  বিষয় গুলি টাটা হেলথকেয়ারের মতো একটি প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে উল্লেখ করা অবিশ্বাস্যকর।  

ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে গিয়ে Covid-19 কে নিয়ে যে নির্দেশ দেওয়া আছে সেখানে স্পষ্ট বাক্যে লেখা কোনো ভাবে যদি আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়,জ্বর দেখা দেয় সাথে সাথে নিকটবর্তী মেডিক্যাল সেন্টারে যোগাযোগ করুন। বাড়াবাড়ি হওয়ার আগেই ডাক্তাদের সাথে যোগাযোগ করুন, যাতে প্রাথমিক স্তরে থাকাকালীন চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।  

এবার আমরা টাটা হেলথকেয়ারের পক্ষ থেকে এই ধরণের কোন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিনা তা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করি।  টুইটার ও ফেসবুকে টাটা হেলথের যে পেজ আছে সেখান থেকে আমরা এই ভাইরাল whastapp ফরয়ার্ডের কথা জানতে পারি।  তাদের তরফ থেকে জানান হয়েছে – করোনা ভাইরাসের কোনো লক্ষণ দেখা দিলে  কোনো অ-যৌক্তিক বার্তার উপর নির্ভর না হয়ে  অনলাইন বা নিকটবর্তী চিকিৎসকদের সাথে কথা বলুন।  অর্থাৎ টাটা ডিজিটাল হেলথকেয়ারের নাম করে যে ম্যাসেজটি ভাইরাল হয়েছে তা আসলে জাল বার্তা।

উজ্জ্বল সাবারওয়াল নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে India Today ও Times of India, Tata health এবং Tata Company কে ট্যাগ করা হয়েছে এই ম্যাসেজে।  টাটা হেলথ থেকে প্রতিউত্তরে জানানো হয়েছে তাদের প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে এই ধরণের কোনো বার্তা দেওয়া হয়নি।  

উক্ত whatsapp ফরওয়ার্ড ম্যাসেজটি সম্পূর্ন জালি ও ভিত্তিহীন।  টাটা হেলথের তরফ থেকে এই ধরণের কোনো নির্দেশ জারি করা হয়নি।  

ফলাফল

জাল-তথ্য Fabricated information

আমাদের উৎস

(সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। )

Authors

With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Paromita Das
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.

Most Popular