Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্প্রতি জ্বালানির দাম বৃদ্ধির আবহে এলপিজি গ্যাসের ট্যাক্স নিয়ে কিছু পোস্টে ছড়িয়েছে যেখানে বলা হয়েছে গ্যাসের উপর কেন্দ্র সরকারের তুলনায় রাজ্য সরকারের ট্যাক্সের পরিমান বেশি। এলপিজি গ্যাসের ছবি দেওয়া একটি ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে যেখানে কেন্দ্র, রাজ্য, পরিবহন খরচ, ডিলারের কমিশন সব মিলিয়ে ৮৬১.১৮ টাকার মতো হয় গ্যাসের দাম বলে দাবি করা হয়েছে।
ভাইরাল পোস্ট অনুসারে এলপিজি গ্যাসের মূল দাম ৪৯৫টাকা, এতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ২৪.৭৫টাকা ও রাজ্য সরকারের ২৯১.৩৬ টাকা ট্যাক্স ও আরও অন্যান্য মূল্য জুড়ে দাঁড় দাঁড়ায় ৮৬১.১৮ টাকা। অর্থাৎ এলপিজি গ্যাসে কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্য সরকারের ট্যাক্সের পরিমান বেশি থাকে বলে দাবি করা হয়েছে।
ফেসবুকে যথেষ্ট ভাইরাল হয়েছে এই পোস্টটি।
Fact-check / Verification
লকডাউনে ক্রমাগত গ্যাস, পেট্রল, ডিজলের দাম বৃদ্ধির কারণে সারা দেশে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। পশ্চিমবঙ্গেও এর বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ, মিছিল। তৃণমূল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় জ্বালানি তেল, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়াতে এলপিজি গ্যাসের উপর কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্য সরকারের করে পরিমান বেশি এই পোস্টটি শেয়ার করে অনেকে বলছে রাজ্য সরকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে গলা ফাটালেও আসলে রাজ্যের ভাঁড়ারে ঢুকছে সব থেকে বেশি ট্যাক্সের টাকা।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কেন্দ্রের থেকে বেশি কর নিচ্ছে পেট্রোল- ডিজেলের উপর?
এলপিজি গ্যাসের উপর কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্য সরকারের চাপানো ট্যাক্সের পরিমান বেশি এই দাবি সমেত ভাইরাল পোস্টটিতে কোথাও উল্লেখ্য নেই এই ডাটা কথা প্রকাশিত হয়েছে বা কোনো নির্দিষ্ট রাজ্যের নামও এখানে উল্লেখ নেই। এই দাবিটি সত্যতা কি জানার জন্য আমরা অনুসন্ধান শুরু করি।
গ্যাসের উপর কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্য সরকার বেশি শুক্ল নিচ্ছে এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যে,
Domestic Liquefied Petroleum Gas (LPG) ২০১৭ সাল থেকেই পণ্য ও পরিষেবা শুল্ক (Goods & Services Tax) GST এর আওতায় এসেছে এবং তবে থেকে এলপিজি গ্যাসের ক্ষেত্রে ৫% কর ধার্য করা আছে। এখানে জানিয়ে রাখি, এলপিজি গ্যাসের ট্যাক্সের পরিমান কেন্দ্র ও রাজ্যেও সরকারের মধ্যে সমান ভাগে ভাগাভাগি হয়। অর্থাৎ ২.৫ থাকে কেন্দ্রের ও বাকি ২.৫ আসে রাজ্যের কাছে(CGST – ২.৫% + SGST- ২.৫%) । Central Board of Indirect Taxes and Customs (CBIC) এর ওয়েবসাইট থেকে আমরা এই তথ্যটি পেয়েছি। অর্থাৎ গৃহস্থ গ্যাসে কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্য সরকারের করে পরিমান বেশি এই দাবিটি মিথ্যে।
GST র বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করে বলা হয়েছে যে গার্হস্থ্য ব্যবহারের জন্য এলপিজির GST থাকবে ৫%।
এলপিজি গ্যাসে ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটর ৫.৫০% কমিশন ময় বলে দাবি করা হয়েছে ভাইরাল পোস্টে। Petroleum Planning & Analysis Cell (PPAC) অনুসারে গৃহস্থ কাজে ব্যবহৃত ১৪.২কেজি গ্যাসে ডিলার বা ডিস্ট্রিবিউটরদের কমিশন থাকে ৬১.৮৪টাকা বং এটি নির্ধারিত করা হয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে একটি সরকারি নোটিশে এলপিজি গ্যাস ডিলারদের কমিশনের দাবি পরিবতন করে ৬১.৮৪ টাকা করা হয়েছে বলে আমরা জেনেছি।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের রান্নার গ্যাসের দাম ভিন্ন হয়, কারণ কিছু ক্ষেত্রে স্থান ও পরিবহন খরচও নির্ভর করে এলপিজি গ্যাসের দামের উপর।
এলপিজি গ্যাসের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের শুল্কের পরিমান কি থাকে – এই তথ্য অনুসন্ধানে Nikita Vashisth সাহায্য করেছে।
Conclusion
ফেসবুকে ভাইরাল দাবি রান্নার গ্যাসে কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্য সরকারের শুল্কের পরিমান বেশি থাকায় গ্যাসের দাম এতো বেড়েছে। আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে এলপিজি গ্যাসে ৫% GST ধার্য করা হয়েছে যা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে সমান থাকে।
Result- False claim
Our sources
Central Board of Indirect Taxes and Customs: https://cbic-gst.gov.in/gst-goods-services-rates.html
Government of India circular: https://www.cbic.gov.in/resources//htdocs-cbec/gst/Circular-No-80.pdf;jsessionid=CF2174E6F711134C16FF3FA9496DB532
Petroleum Planning & Analysis Cell: https://www.ppac.gov.in/content/149_1_PricesPetroleum.aspx
Government of India order: http://petroleum.nic.in/sites/default/files/LPGDC.pdf
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.