Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.
সম্প্রতি ফেসবুকে বাংলা ভাগ করা নিয়ে কিছু পোস্ট ভাইরাল হয়েছে যেগুলো মূলত করা হয়েছে তৃণমূলের ফ্যানপেজ থেকে। দাবি করা হয়েছে বাংলার ভোটে হার সহ্য করতে পারছে না বিজেপি বাংলাকে দুইভাগে ভাগ করতে চাইছে।
এই দাবিটি প্রথম করেছেন উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে বাড়লে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ পৃথক হলে তা তিনি সাদরে গ্রহণ করবেন। ঠিক এরপরে বিষ্ণুপুরের কেন্দ্রের সাংসদ ও বিজেপি-র রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ পৃথক রাঢ় বাংলার দাবি জানান তার ফেসবুকে ভিডিওর মাধ্যমে। সৌমিত্র বলেন তৃণমূল সরকারের শাসনকালে বিষ্ণুপুর, জঙ্গলমহলের কোনো উন্নতি তো দূর, এই দুই স্থানের ইতিহাসেরও অমর্যাদা হয়েছে। পুনরায় রাঢ় বাংলাকে তার হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে জঙ্গলমহল, বিষ্ণুপুরকে আলাদা করার ডাক দেন।
Fact-check / Verification
বিজেপি ২০২১ এর বাংলার বিধানসভা ভোটে ৭৭টি আসনটি পেয়েছে, যার মধ্যে উত্তরবঙ্গে বিজেপির হাতে এসেছে প্রায় ২৬টির মতো আসন। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর উত্তরবঙ্গে বেশকিছু স্থানে বিজেপি কর্মীদের উচ্ছাস ছিল চোখে পড়ার মতো। একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ বাংলায় ২০০টি আসন জেতার দাবি আনলেও মাত্র ৭৭রেই থিম যায় বিজেপির জয়।
সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গ থেকেই বাংলা জয়ের পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি এবং শুধু এই বছরের বিধানসভা ভোট নয়, এর আগেও গেরুয়া শিবিরকে উত্তরবঙ্গ নিয়ে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছিলো। বঙ্গের ভোটের আগে বিজেপি একগুচ্ছ পরিকল্পনা আনলেও শেষ কথা জোড়াফুলই বলে।
বিজেপি বাংলাকে দুইভাগে ভাগ করতে চাইছে এই দাবিটি কতটা সত্যি যাচাই করার জন্য আমরা সাম্প্রতিকতম সংবাদ ও বিজেপি সাংসদের বক্তব্যকে যাচাই করা শুরু করি।
ফেসবুকে ভাইরাল দাবি বিজেপি বাংলাকে দুইভাগে ভাগ করতে চাইছে এই দাবিটি বিভ্রান্তিকর
গুগলে খোঁজার পর আমরা এই সময়, News ১৮ বাংলা, এবিপি আনন্দর প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী জন বার্লা ও সৌমিত্র খাঁয়ের বাংলা থেকে উত্তরবঙ্গ ও বিষ্ণুপুর, জঙ্গলমহল পৃথক করার দাবিকে নস্যাৎ করেছে বঙ্গের বিজেপি। এই সময়ের প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে বঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানিয়েছেন বাংলা ভাগের দাবি বিজেপির নয়, বিজেপি এই ধরণের কোনো দাবিকে সমর্থন করে না। দিলীপ ঘোষের মতে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কখনই বাংলাকে ভাগ করার কোনো প্রস্তাব আনেনি। এর আগে পাহাড়ে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি উঠেছে ছিলো, কিন্তু তা এখনো পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি বলে জানান সভাপতি।
বিজেপি বাংলাকে দুই ভাগে ভাগ করতে চায় এই দাবিটি একান্তই জন বার্লা ও সৌমিত্রের বলেও দাবি করেছেন রাজ্যের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। এবিপি আনন্দের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন জন ও সৌমিত্র দুজনেই জনপ্রতিনিধি। এদের কাছে প্রত্যহ এমন অনেক মানুষের আর্জি আসে যারা দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে প্রতারিত হয়ে আসছে।তাদের কথা শুনে ও বাংলার পুরোনো গৌরবের কথা মাথায় রেখেই হয়তো এই ধরণের মন্তব্য করেছে এই সাংসদ। জয়প্রকাশ আরও বলেন বাংলাকে ভাগ করবে এই জাতীয় কোনো মতামত বিজেপির অন্দরমহলে আলোচনা হয়নি।
বিজেপি বাংলাকে দুইভাগে ভাগ করতে চায় এই দাবি ওঠার পর সৌমিত্র খাঁ জানান রাঢ় বাংলাকে পৃথক করার দাবি তার একান্ত নিজের, এর সাথে সমগ্র দলের কোনো সম্পর্ক নেই। যদিও ওনার এই দাবির পর ক্ষুব্ধ হয়ে আছেন দিলীপ ঘোষ ও সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা। দিলীপ ঘোষ নিজের মতামত দেওয়ার পরেও অনেকেই দাবি করেছে বাংলা থেকে বিষ্ণুপুর ও জঙ্গলমহলকে আলাদা করার দাবিতে বেশ অনড় সৌমিত্র। মূলত মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে নিজের ঘরে ফেরার পর বিজেপি কার্যত কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। উত্তরবঙ্গের বিজেপি সাংসদ গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা তৃণমূলে যোগদান করার পর এই দাবি আরও জোরালো হয়েছে।
Conclusion
বিজেপি বাংলাকে দুইভাগে ভাগ করতে চাইছে এই দাবি ফেসবুকে বেশ ভাইরাল হয়েছে। বলা হচ্ছে ব্রিটিশ সরকারের পর বিজেপি এখন আবার ভোটে হেরে বাংলাকে দুই ভাগে ভাগ করে জন্য পরিকল্পনা নিচ্ছে। কিন্তু আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত বঙ্গের বিজেপির এই ধরণের কোনো পরিকল্পনা নেই। বাংলাকে ভাগ করার দাবিটি একমাত্র জন বার্লা ও সৌমিত্র খাঁয়ের।
Result- Misleading
Our sources
ABP Ananda- https://www.facebook.com/abpananda/videos/1042565212948546
News18 Bangla- https://bengali.news18.com/news/kolkata/bjp-president-j-p-nadda-summons-soumitra-khan-in-delhi-dmg-615335.html
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Authors
With a penchant for reading, writing and asking questions, Paromita joined the fight to combat and spread awareness about fake news. Fact-checking is about research and asking questions, and that is what she loves to do.