Authors
Claim: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শিশু চুরির ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। বাচ্চাদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে এবং শরীরের অংশ কেটে দেওয়া হচ্ছে।
Fact: যে ভিডিয়োটি থেকে ভাইরাল দাবির ছবিগুলো নেওয়া হয়েছিল, সেটা কে বা কারা তৈরি করেছিল আমরা জানতে পারিনি। তবে এটা নিশ্চিত যে দাবিটি সত্যি নয়।
জুন মাসের শেষের দিকে বারাসতের কাজিপাড়ায় এক বালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ছেলেধরার খপ্পরে পড়ে গিয়েছিল ওই বালক। সেই ছেলেধরাই বালককে খুন করে চোখ উপড়ে, কিডনি বার করে তার পর ঝুলিয়ে দিয়েছে। যদিও পরে সেই দাবি অস্বীকার করে খুন তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্যের একের পর এক এলাকায় শিশুচুরির গুজব ছড়াতে শুরু করেছে। ঠিক যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হয়েছে যে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শিশু চুরির ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। বাচ্চাদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে এবং শরীরের অংশ কেটে দেওয়া হচ্ছে। (আর্কাইভ লিঙ্ক)
Fact
ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে একই ধরনের, কিন্তু আরও বড় দৈর্ঘের একটি ভিডিয়ো আমাদের নজরে পড়ে। ২০২২ সালের ৩০ জুন যেটা ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন Gafoor Ibrahim নামের এক ব্যক্তি। পোস্টে লেখা ছিল, “একটি গ্রুপ যারা স্কুল পড়ুয়াদের অপহরণ করে এবং বিক্রি করে দেয়।”
সেই ভিডিয়োটির ৩০ সেকেন্ডে সময়ে হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় একটি বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দেখতে পাওয়া যায়। যেখানে স্পষ্ট ভাবে লেখা ছিল যে ভিডিয়োতে দেখানো ঘটনাটি সত্য়ি নয়।
এরপর ১ মিনিট ২০ সেকেন্ড সময়ে স্ক্রিনে আরও একটি বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দেখতে পাওয়া যায়। যাতে লেখা ছিল, “ভিডিয়োটি পুরোটাই সাজানো, যা ঘটছে সবটাই নাটক, সচেতনতা প্রচারের জন্য ভিডিয়োটি তৈরি করা হয়েছে। কারও ভাবাবেগে আঘাত করা এই ভিডিয়োর উদ্দেশ্য নয়। সত্য়ি ঘটনার সঙ্গে এই ভিডিয়োর কোনও মিলি নেই।”
Conclusion
যে ভিডিয়োটি থেকে ভাইরাল দাবির ছবিগুলো নেওয়া হয়েছিল, সেটা কে বা কারা তৈরি করেছিল আমরা জানতে পারিনি। তবে এটা নিশ্চিত যে দাবিটি সত্যি নয়।
Result: Missing Context
Sources
Facebook video Gafoor Ibrahim on 30th June, 2022