Newchecker.in is an independent fact-checking initiative of NC Media Networks Pvt. Ltd. We welcome our readers to send us claims to fact check. If you believe a story or statement deserves a fact check, or an error has been made with a published fact check
Contact Us: checkthis@newschecker.in
Fact Check
Claim:কর্ণাটকের হিজাব আন্দোলনের প্রধান মুখ মুসকান দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে
Fact: সোশ্যাল মিডিয়াতে তাবাসুমের নামে হিজাব পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া মুসকানের ছবি ছড়িয়েছে
ফেসবুকে সম্প্রতি কর্ণাটকের বোর্ড পরীক্ষার কিছু পোস্ট ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে কর্ণাটকের হিজাব আন্দোলনের মুসকান দ্বাদশের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে। গত বছর কর্ণাটকের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরে যাওয়ার বিপক্ষে সওয়াল ওঠে এবং এই পরিস্থিতির মধ্যে মুসকান খানের হিজাব পরে ইসলামের নামে স্লোগান দিতে দিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের ভিডিও সারা দেশে তোলপাড় শুরু করে দিয়েছিলো। এখানে সেই মুসকানের ছবি ব্যবহার করে দাবি করা হচ্ছে সে কর্ণাটকের দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় প্রথমস্থানাধিকারী হয়েছে। ফেসবুকের পোস্টে মুসকানের সাথে আরো বলা হচ্ছে ১৭ বছরের তাবাসুম দ্বাদশের কলা বিভাগের পরীক্ষা প্রথম স্থান পেয়েছে।


ফেসবুকে মুসকানের ছবিকে ঘিরে লেখা হয়েছে – ‘ভারতের হিজাব আন্দোলনের #মুসকান পরীক্ষায় বোর্ড সেরা কর্ণাটকে প্রথম।’ সাথে আরো বলা হয়েছে – ‘ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে হিজাব আন্দোলনের সেই তাবাসসুম সাইক দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় কলা বিভাগে প্রথম হয়েছেন। মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষায় ১৭ বছরের এই কিশোরী ৫৯৩ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন। হিন্দি, সমাজবিজ্ঞান ও মনোবিজ্ঞানে তিনি ১০০–তে ১০০ পেয়েছেন। তবাসসুমের ইচ্ছা ‘ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি’ নিয়ে বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন’’
কর্ণাটকের হিজাব আন্দোলনের মুসকান দ্বাদশের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে, এই দাবিটি ভুল কারণ যে মেয়েটি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে তার নাম তাবাসুম। মুসকানের ছবিকে দাবি করা হয়েছে সেই তাবাসুম।
কর্ণাটকের হিজাব গার্ল মুসকান খানকে ঘিরে এর আগে কিছু ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে। যেমন – সোশ্যাল মিডিয়াতে মুসকানের সাথে অন্য এক ব্যক্তির ছবি তার বাবার নামে ভাইরাল হলো
কর্ণাটকের হিজাব গার্ল মুসকান খানের মৃত্যু ঘটেছে? সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়ালো মিথ্যে খবর
আমরা প্রথমে গুগলে অনুসন্ধান করি কর্ণাটকের তাবাসুম কে, তার কোনো ছবি বা সাক্ষাৎকার মিডিয়াতে প্রকাশ হয়েছে কিনা। Siasat Daily, The Indian Express ও The Telegraph এর রিপোর্টে আমরা তাবাসুম ও তার বাবা মায়ের ছবি পাই।

২৫শে এপ্রিলের রিপোর্টে বলা হয়েছে গতবছর যখন কর্নাটকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামী ছাত্রীদের হিজাব পড়তে নিঃশেষ করা হয়েছিল তখন তাবাসুম বেশ বিচলিত হয়ে পরে। টেলিগ্রাফকে জানিয়েছে সে যথেষ্ট অবাক ও অসন্তুষ্ট ছিল যেখানে সে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে বাস করেও নিজের ধর্ম ও শিক্ষার মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নেওয়ার মতো পরিস্থিতির সন্মুখন হয়েছিল। তার মতে তার বাবা মা তখন তাকে বুঝিয়েছিল, এই পর্যায়ে লেখাপড়া ছেড়ে দিলে সে আরো পিছিয়ে পড়বে। কর্ণাটকের ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খুম শেখ ও মা পারভিন শেখের দ্বিতীয় সন্তান তাবাসুম শেখ দ্বাদশের কলা বিভাগে ৬০০র মধ্যে ৫৯৩ পেয়ে প্রাক-কলেজ NMKRV PU College এ প্রথম হয়েছে।
অন্যদিকে হিজাব গার্ল মুসকান খানের সম্পর্কে জানার জন্য আমরা গুগলে কীওয়ার্ড দিয়ে খোঁজা শুরু করি। এই পর্যায়ে Times Of India র ২০২২ সালের ১৬ই মার্চের রিপোর্ট পাই। এখানে বলা হয়েছে কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক শুরু হওয়ায় মুসকানের সাহসী পদক্ষেপ সারা ভারতে আলোড়ন ফেলে। কিন্তু সে প্রথমে মিডিয়ার সামনে আস্তে না চাইলেও পরে জনসমক্ষে আসে। এখানেই বলা হয়েছে সে অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল। সামনে তার পরীক্ষা থাকায় সে ও তার পরিবারের সকলে বেশ চিন্তিত ছিল।
অর্থাৎ হিজাব গার্ল মুস্কান আগে থেকেই দ্বাদশ পাশ করে কলেজে পড়ছিলো এবং তাবাসুম এই বছর দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়েছে।
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে ফেসবুকে কর্ণাটকের হিজাব আন্দোলনের মুসকান দ্বাদশের পরীক্ষায় প্রথম হয়েছে এই দাবিটি ভুল এবং এই দাবি সমেত দ্বাদশ শ্রেণীর কলা বিভাগে প্রথম হওয়া তাবাসুম শেখের নামে মুসকানের ছবি ছড়িয়েছে।
Our Sources
Times Of India report from 16 March 2022
The Telegraph report of 25 April 2023
The Siasat Daily report from 25 April 2023
The Indian Express report published on 28 April 2023
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।
Kushel Madhusoodan
September 2, 2025
Tanujit Das
September 27, 2025
Tanujit Das
September 22, 2025