Authors
Claim: বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় দেশবাসীকে রাস্তায় নেমে নিজের অধিকারের স্বার্থে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দিতে বলেছেন
Fact: এমন ধরণের কোনো বার্তা দেননি বিচারপতি, যে দাবিটি ভাইরাল হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়ো
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে জাস্টিস ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নামে একটি বার্তা ভাইরাল হয়েছে যেখানে দাবি করা হচ্ছে তিনি ভারতবাসিদের উদ্দেশ্যে বলেছেন নিজের গণত্রান্ত্রিক স্বাধীনতা ও অধিকার নিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামুন।
বর্তমানে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় আর্টিকেল ৩৭০ রদ করার বিরুদ্ধে জমা করা পিটিশন শুনছেন। ২০১৯ সালের ৫ই অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা প্রদান করা ৩৭০কে রদ করা হয়। এর বিপক্ষে বহু আইনজীবী, এক্টিভিস্ট, রাজনৈতিক দল অভিযোগ তুলে আদালতে নিজেরদের আর্জি জানায়।
Fact check
জাস্টিস চন্দ্রচূড়ের নামে ভাইরাল যেখানে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে আওয়াজ তুলতে বলেছেন, এই দাবিটির সত্যতা যাচাই করার সময় আমরা এমন কোনো তথ্য বা রিপোর্ট পাইনি যেখানে বলা হয়েছে যে সত্যিই চিফ জাস্টিস এমন ধরণের কথা বলেছেন।
এছাড়াও কীওয়ার্ড দ্বারা খোঁজার পর আমরা সোনাজয়ী বক্সার বিজেন্দ্র সিংহের ফেসবুক পোস্ট পাই। উল্লেখ্য এখানে ভাষার গঠন ও ব্যাকরণে ভুল আমাদের চোখে পড়েছে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ১৪ই অগাস্ট একটি প্রেসনোটে জানিয়েছে, সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নামে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ওনার একটি ফাইল চিত্রের সাথে বলা হয়েছে তিনি দেশবাসীকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হতে আহ্বান জানিয়েছেন- এই দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভুয়ো। এই জাতীয় কোনো কথাই বলেননি জাস্টিস চন্দ্রচূড়।
সলিসিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া তুষার মেহেতাও জানিয়েছেন এমন ধরণের অর্থহীন কোনো বার্তা বিচারপতি চন্দ্রচূড় দেননি।
জাস্টিস চন্দ্রচূড়কে নিয়ে অনুসন্ধানের সময় আমরা কিছু তথ্য পাই যেখানে ২০২২ সালে বোম্বে হাইকোর্টে যুক্ত হওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন, ‘ বিচারালয়ের অবিচল সিদ্ধান্ত দেশকে ১৯৭৫ সালে রক্ষা করেছিল। বিচারপতি রানের মতো মানুষ সেই সময় সত্যের ও সুস্থ বিচারব্যবস্থার শিখা জ্বালিয়ে রেখেছিলেন বলেই অন্ধকারে দুটি থাকা দেশ ১৯৭৫ সালে উঠে দাঁড়াতে পেরেছিলো।’ তিনি আরো বলেন ভারতের বিচারব্যবস্থা দাঁড়িয়ে আছে কারণ ভারতীয় বিচারালয়ে নির্ভীক ভাবে বিচার করা হয় যা দেশকে অনেক সমস্যার হাত থেকে বাঁচিয়েছে।
যদিও এই ছাড়া আমরা এমন কোনো রিপোর্ট বা তথ্য হাতে পেয়েছি যা বিচারপতি চন্দ্রচূড়কে নিয়ে এই দাবির সত্যতা প্রকাশ করে।
আমরা ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টের সাথে যোগাযোগ করে এই বিষয়টিকে নিয়ে আরো তথ্য জোগাড় করার কাজে নিযুক্ত রয়েছি। কোনো উত্তর পেলে তা আমাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করবো।
Conclusion
আমাদের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে জাস্টিস চন্দ্রচূড়ের নামে সরকারের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে আওয়াজ তুলতে বলার ভাইরাল দাবিটি সর্বৈব মিথ্যা।
Result: False
Sources
Supreme Court of India press release, August 14, 2023
India Today report, August 14, 2023
সন্দেহজনক কোনো খবর ও তথ্য সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া জানাতে অথবা সত্যতা জানতে আমাদের লিখে পাঠান checkthis@newschecker.in অথবা whatsapp করুন- 9999499044 এই নম্বরে। এছাড়াও আমাদের সাথে Contact Us -র মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন ও ফর্ম ভরতে পারেন।